কানের আসরে মধুবালা, রেখা, হেমা, শ্রীদেবীকে নীতাংশির অন্যরকম শ্রদ্ধা
Published: 16th, May 2025 GMT
কিরণ রাও নির্মিত আলোচিত সিনেমা ‘লাপাতা লেডিস’। এতে ফুল চরিত্রে অভিনয় করে খ্যাতি কুড়ান নীতাংশি গোয়েল। ৭৮তম কান চলচ্চিত্রে উৎসবের লাল গালিচায় প্রথমবার পা রাখলেন এই অভিনেত্রী। শুরুতেই তার দুর্দান্ত ফ্যাশন স্টেটমেন্ট নজর কেড়েছে।
কান উৎসবের তৃতীয় দিনে ডোমিনিক মলের ‘দোসি ১৩৭’ সিনেমার প্রিমিয়ারে যোগ দেন নীতাংশি গোয়েল। ফরাসি ক্রাইম-ড্রামা ঘরানার সিনেমাটির প্রদর্শনীতে এ অভিনেত্রী পরেছিলেন কাস্টমাইজড ব্ল্যাক অ্যান্ড গোল্ড গাউন। এটি ডিজাইন করেন জোড়ি মনিকা অ্যান্ড কারিশমা।
গাউনটির কোরসেট বডিসে ছিল সোনালি ফুলের মোটিফ এবং নিচের অংশে ম্যাক্রামে ও তুলের কারুকাজ। ডিজাইনার মনিকা শাহ বলেন, “নীতাংশির মধ্যে যে কোমলতা আর চোখের দীপ্তি আছে, তা ফুটিয়ে তুলতেই এই ফ্যান্টাসি গাউন তৈরি করা হয়েছে।”
আরো পড়ুন:
‘জলে সন্তান জন্ম দিয়ে অনেক কটাক্ষের শিকার হয়েছি’
আবার একসঙ্গে আমির-হিরানি
রেড কার্পেটের আগেই, কানের ইন্ডিয়া প্যাভিলিয়নের উদ্বোধনে উপস্থিত হন নীতাংশি। সেখানে পরেছিলেন মুক্তার কাজ করা আইভরি রঙের কাস্টম প্রি-ড্রেপড শাড়ি। চুলের বেণিতে হেয়ার অ্যাকসেসরিস। তাতে শোভা পাচ্ছে বলিউডের কিংবদন্তিদের প্রতিকৃতি। এ তালিকায় রয়েছেন— মধুবালা, রেখা, শ্রীদেবী, হেমা মালিনীর ছবি। আন্তর্জাতিক মঞ্চে তার এই শ্রদ্ধা প্রশংসা কুড়াচ্ছে।
কানের আসরে গণমাধ্যমকে নীতাংশি গোয়েল বলেন, “আমার পেটের ভিতর এখন প্রজাপতি উড়ছে! আমি সেই মেয়ে, যে স্বপ্ন দেখা মেয়েদের সাহস দিতে পারে। এটা আমার মুহূর্ত— আর আমি চাই এই মুহূর্তটা অন্যদেরও স্বপ্ন দেখতে অনুপ্রাণিত করুক।”
২০০৭ সালের ১২ জুন উত্তরপ্রদেশের নদিয়াতে জন্মগ্রহণ করেন নীতাংশি গোয়েল। মজার বিষয় হলো— ১৭ বছর বয়সি এই অভিনেত্রীকে ইনস্টাগ্রামে অনুসরণ করেন ১০.
‘লাপাতা লেডিস’ সিনেমায় অভিনয় করার আগে বেশ কিছু সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। এ তালিকায় রয়েছে— এম. এস. ধোনি: দ্য আনটোল্ড স্টোরি, মাসুম সাওয়াল, ময়দান, ইনসাইড এজ, ইন্দু সরকার প্রভৃতি। তা ছাড়া কত্থক নাচেও প্রশিক্ষণ নিয়েছেন এই কিশোরী অভিনেত্রী।
ঢাকা/শান্ত
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র
এছাড়াও পড়ুন:
ভালো ফলনের আশায় গাছকে খাওয়ান তাঁরা
চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের পাহাড়ি প্রদেশ গুইঝৌতে প্রাচীনকাল থেকে ‘গেলাও’ জনগোষ্ঠীর বসবাস। ভিয়েতনামেও এই জনগোষ্ঠীর মানুষ বাস করেন। চীনে তাঁদের সংখ্যা প্রায় ৬ লাখ ৭৭ হাজার।
কৃষিনির্ভর গেলাও জনগোষ্ঠীর সদস্যরা আজও প্রাচীনকালের পুরোনো এক ঐতিহ্য আগলে রেখেছেন। বছরের নির্দিষ্ট দিনে তাঁরা গাছকে খাওয়ান, যা চীনা ভাষায় ‘ওয়েই শু’ রীতি নামে পরিচিত।
এই প্রাচীন রীতি মূলত একধরনের প্রার্থনা। স্থানীয় অধিবাসীদের বিশ্বাস, এতে প্রকৃতি তুষ্ট হয়, ফসল ভালো হয়, পরিবারে শান্তি ও সমৃদ্ধি আসে। প্রতিবছর দুটি উৎসবের সময় এই অনুষ্ঠান পালন করা হয়—চীনা নববর্ষে, যা বসন্ত উৎসব নামে পরিচিত। আর গেলাও নববর্ষে, যা চান্দ্র পঞ্জিকার তৃতীয় মাসের তৃতীয় দিনে পালিত হয়।
অনুষ্ঠানের দিন সকালে আত্মীয়স্বজন ও গ্রামবাসী পাহাড়ের ঢালে জড়ো হন। তাঁরা সঙ্গে করে চাল থেকে তৈরি মদ, শূকরের মাংস, মাছ ও লাল আঠালো চাল নিয়ে আসেন। পাহাড়ে পৌঁছে প্রথমে আতশবাজি পোড়ানো হয়। এতে করে উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
এর মধ্যেই একটি পুরোনো ও শক্তিশালী গাছ বাছাই করা হয়। এরপর সবাই ধূপ জ্বালিয়ে নতজানু হয়ে প্রার্থনা করেন। সবশেষে মূল পর্ব ‘গাছকে খাওয়ানো’ শুরু হয়।
একজন কুঠার বা ছুরি দিয়ে গাছে তিনটি জায়গায় ছোট করে কেটে দেন। সেই ক্ষতস্থানে চাল, মাংস ও মদ ঢেলে দেওয়া হয়, যাতে গাছ তাঁদের দেওয়া ভোগ গ্রহণ করতে পারে। পরে ওই জায়গা লাল কাগজে মুড়ে দেওয়া হয়।
এ ছাড়া গাছের গোড়া ঘিরে আগাছা পরিষ্কার করা হয়, মাটি আলগা করে দেওয়া হয়। এতে নতুন জীবনের বার্তা মেলে বলে মনে করেন গেলাও জনগোষ্ঠীর সদস্যরা।
যে গাছকে খাওয়ানো হয়, সেটি যদি ফলদ হয়, তাহলে ভোগ দানকারীরা একটি আশাব্যঞ্জক শ্লোক উচ্চারণ করেন। বলেন, ‘তোমায় চাল খাওয়াই, ফল দিয়ো গুচ্ছ গুচ্ছ; তোমায় মাংস খাওয়াই, ফল দিয়ো দলা দলা।’