পৃথক মিছিল নিয়ে তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশে যোগ দিয়েছেন খুলনা মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ও খুলনা-২ আসনের সাবেক এমপি নজরুল ইসলাম মঞ্জুর অনুসারীরা। শনিবার বিকেল ৪টায় নগরীর পাওয়ার হাউজ মোড় থেকে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী নিয়ে মিছিল শুরু করেন নজরুল ইসলাম মঞ্জু। এ সময় তার সঙ্গে যোগ দেন খুলনা মহানগর বিএনপির আগের কমিটির শীর্ষ নেতারা। 

কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে খুলনার সার্কিট হাউজ মাঠে চলছে ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের ডাকা সমাবেশ। খুলনা ও বরিশাল বিভাগের তরুণ নেতাকমীরা সমাবেশে যোগ দিচ্ছেন। সমাবেশ সফল করতে গত কয়েকদিন ধরে কেন্দ্রীয় নেতারা খুলনায় এসে নানা ধরনের দিক-নির্দেশনা দিলেও কোথাও দেখা যায়নি মঞ্জু অনুসারীদের।

বিএনপি নেতাকর্মীরা জানায়, বিএনপির কেন্দ্রীয় ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুলের সঙ্গে সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জুর বিরোধ রয়েছে। এর জের ধরেই ২০২১ সালের ৯ ডিসেম্বর নজরুল ইসলাম মঞ্জুর নেতৃত্বাধীন মহানগর বিএনপির কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে খুলনা মহানগর, থানা ও ওয়ার্ড বিএনপির কমিটি থেকে মঞ্জু অনুসারীদের বাদ দেওয়া হয়। খুলনা মহানগর ও জেলা বিএনপির সব নেতাই এখন রকিবুল ইসলাম বকুলের অনুসারী। খুলনার বিএনপির রাজনীতিতে কোনঠাসা মঞ্জু অনুসারীরা। তারপরও কেন্দ্রীয় ঘোষিত বিভিন্ন কর্মসূচিতে নজরুল ইসলাম মঞ্জু ও তার অনুসারীদের সরব উপস্থিতি দেখা যায়। 

এ বিষয়ে নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, আমরা জিয়াউর রহমানের আদর্শ থেকে বিএনপি করি। কে আমাদের ডেকেছে, কে ডাকেনি-এজন্য আমরা কখনও থেমে থাকিনি। কোনো পদে না থাকলেও ফ্যাসিস্ট বরোধী আন্দোলনে রাজপথে সক্রিয় ছিলাম, ভবিষ্যতেও থাকব।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: সম ব শ র ব এনপ র অন স র

এছাড়াও পড়ুন:

ফেসবুকে বিদ্বেষপূর্ণ মন্তব্য না করার নির্দেশনা সিলেট জেলা বিএনপির

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দায়িত্বহীন, অশালীন বা বিদ্বেষপূর্ণ পোস্ট, মন্তব্য কিংবা তথ্য শেয়ার থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে সিলেট জেলা বিএনপি। দলের কেউ এ নির্দেশনা লঙ্ঘন করলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে।

গতকাল রোববার রাতে জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক এমরান আহমদ চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিবৃতিটি গণমাধ্যমে পাঠিয়েছেন জেলা বিএনপির সহদপ্তর সম্পাদক মাহবুব আলম।
এদিকে দলের একজন জ্যেষ্ঠ নেতার বিরুদ্ধে ফেসবুকে কুরুচিপূর্ণ ও শিষ্টাচার–বহিভূর্ত মন্তব্য করায় গতকাল রাতে বিশ্বনাথ উপজেলার লামাকাজী ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবেদুর রহমানকে (আছকির) সাময়িক বহিষ্কারের পাশাপাশি সাত দিনের মধ্যে কারণ দর্শাতে বলেছে জেলা বিএনপি। এ ছাড়া অনলাইন গণমাধ্যমে দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী বক্তব্য দেওয়ার জন্য জেলা বিএনপির সহসভাপতি ফখরুল ইসলামকে (ফারুক) সতর্কীকরণ নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

জেলা বিএনপির বিবৃতিতে বলা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে সিলেট জেলা বিএনপির আওতাধীন কিছু ইউনিটের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম কার্যক্রমে অনভিপ্রেত ও পরস্পরবিরোধী বক্তব্য পরিলক্ষিত হয়েছে। বিশেষ করে বিশ্বনাথ উপজেলা, বিশ্বনাথ পৌরসভা ও ওসমানীনগর উপজেলা বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কিছু নেতা-কর্মীর মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিদ্বেষমূলক মন্তব্য, কটূক্তি ও বিভাজন সৃষ্টিকারী পোস্ট প্রচারিত হয়েছে। যা দলীয় শৃঙ্খলা ও ঐক্যের পরিপন্থী।

বিএনপি সব সময় সংগঠনের ঐক্য, শালীনতা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের রাজনীতি বিশ্বাস করে উল্লেখ করে বিবৃতিতে আরও বলা হয়, দলের কোনো পর্যায়ের নেতা বা কর্মীর কাছ থেকে বিভেদমূলক আচরণ, বিদ্বেষ ছড়ানো বা প্রকাশ্যে অপপ্রচার কখনোই কাম্য নয়। অতএব জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট সব ইউনিটের নেতা-কর্মীদের কঠোরভাবে সতর্ক করা হচ্ছে, যেন ভবিষ্যতে তাঁরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দায়িত্বহীন, অশালীন বা বিদ্বেষপূর্ণ পোস্ট, মন্তব্য বা শেয়ার থেকে সম্পূর্ণ বিরত থাকেন।

যোগাযোগ করলে জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, সম্প্রতি ফেসবুকে কিছু নেতা-কর্মীকে একে অন্যের বিরুদ্ধে বিষোদ্‌গার করতে দেখা গেছে। এ অবস্থায় জেলা বিএনপি একটি নির্দেশনা দিয়েছে। তা অমান্যকারী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ