ভয় দেখানো আরব আমিরাতকে হারাল বাংলাদেশ
Published: 17th, May 2025 GMT
বড় লক্ষ্য তাড়ায় নেমে দারুণ লড়াই করলেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের ব্যাটাররা। টপ অর্ডার ব্যাটারদের দারুণ লড়াইয়ে বাংলাদেশের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলে দিচ্ছিল। সেই অস্বস্তি দূর করে দিলেন পেসাররৈা। বিশেষ করে কাটার মাস্টার মোস্তাফিজুর রহমান, তরুণ তানজিম হাসান সাকিব ও হাসান মাহমুদ। শেষ ১০ রানে আরব আমিরাতের ৫ ব্যাটারকে ফিরিয়ে প্রথম ম্যাচে জয় তুলে নিলেন লিটন-মোস্তাফিজরা।
বিস্তারিত আসছে.
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
তেজগাঁওয়ে গাড়ি আটকে দেড় কোটি টাকা মূল্যের বিদেশি মুদ্রা ডাকাতিতে ওই প্রতিষ্ঠানের কর্মী জড়িত
রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রাইভেট কার আটকে এম এম আয়াত ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস নামের একটি প্রতিষ্ঠানের ১ কোটি ৬৪ লাখ টাকা মূল্যের বিদেশি মুদ্রা ডাকাতির ঘটনায় ওই প্রতিষ্ঠানের এক কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। তুহিন নামের ওই কর্মীই সেদিন প্রাইভেট কারে করে বিদেশি মুদ্রাগুলো পল্টন থেকে উত্তরায় যাচ্ছিলেন।
পুলিশ জানিয়েছে, তুহিনকে আটকের পর তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে লুটে নেওয়া বিদেশি মুদ্রার মধ্যে ৪ লাখ সৌদি রিয়াল উদ্ধার এবং ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এসব তথ্য জানান।
বিদেশি মুদ্রা ডাকাতির এ ঘটনায় তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় একটি মামলা হয়। তাতে বলা হয়, মেসার্স এম এম আয়াত ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলসের কর্মী তুহিন গত মঙ্গলবার নগদ ৪ লাখ ৯১ হাজার ৫০০ সৌদি রিয়াল, ৪০০ ওমানি রিয়াল, ৩০ কুয়েতি দিনার এবং ১২ হাজার ৩৫০ সংযুক্ত আরব আমিরাতের দিরহাম নিয়ে প্রাইভেট কারে করে পল্টন থেকে উত্তরায় যাচ্ছিলেন। সন্ধ্যার দিকে তিনি তেজগাঁওয়ের পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট–সংলগ্ন কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের (সিএমএসডি) প্রধান ফটকের উত্তর পাশে যাত্রীছাউনির সামনে পৌঁছান। তখন ডাকাত দল প্রাইভেট কারটি ঘিরে ফেলে। অস্ত্রের মুখে তুহিনের কাছ থেকে বিদেশি মুদ্রাগুলো লুট করেন তারা। অজ্ঞাতপরিচয় ১০-১২ জনের একটি দল মুখোশ পরে দেশি অস্ত্র দেখিয়ে ওই ডাকাতি করে।
মামলার তদন্তসংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তারা বলেন, মামলার তদন্তে নেমে পুলিশ আয়াত ট্যুরসের কর্মী তুহিনের যোগসাজশ পায়। তাঁকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ জানতে পারে, তুহিনসহ অন্যরা কয়েক দিন আগে ‘গল্প সাজিয়ে’ ডাকাতির পরিকল্পনা করে। সেই অনুযায়ী, তুহিন বায়তুল মোকাররম এলাকা থেকে ভাড়া করা প্রাইভেট কারযোগে বিদেশি মুদ্রাভর্তি লাগেজ নিয়ে উত্তরা যাওয়ার পথে তার লাইভ লোকেশন হোয়াটসঅ্যাপে ডাকাতদের কাছে পাঠান।
গাড়িটি তেজগাঁওয়ে কেন্দ্রীয় ঔষধাগার এলাকায় যাত্রীছাউনির সামনে পৌঁছালে প্রাইভেট কারের গতিরোধ করে বিদেশি মুদ্রাভর্তি লাগেজ নিয়ে পালিয়ে যায় ডাকাত দল। তারা মুদ্রাগুলো নিজেদের মধ্যে ‘ভাগ বাঁটোয়ারা’ করে ‘আত্মগোপনে’ চলে যায়।
তুহিনের সঙ্গে গ্রেপ্তার অন্যরা হলেন তালহা নূর (৩৫), শারমিন (২৫), মো. শাহিন শিকদার (৩৭), ইয়াসিন আরাফাত (৩৬), মো. রফিকুল ইসলাম (৩৬), মো. শুভ হাওলাদার (২৫), মো. আবদুল্লাহ আল মামুন (২৫), মো. আরিয়ান (১৯), মো. সাব্বির হোসেন (২০), মো. জাহিদুল ইসলাম ওরফে সোহাগ (২৫), মো. জয়(২৩) ও মো. বিজয় (২০)।