লক্ষ্ণৌকেও ডোবাল আগেই ডুবে যাওয়া হায়দরাবাদ
Published: 19th, May 2025 GMT
ম্যাচ জেতো, প্লে-অফ খেলার স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখো—এই মন্ত্র নিয়েই আজ সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিপক্ষে খেলতে নেমেছিল লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস। তবে ভারত রত্ন শ্রী অটল বিহারি বাজপেয়ি একানা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মন খারাপ করেই মাঠ ছাড়তে হলো লক্ষ্ণৌকে। লক্ষ্ণৌর দেওয়া ২০৬ রানের লক্ষ্য ১০ বল ও ৬ উইকেট হাতে রেখেই পেরিয়ে ম্যাচটি জিতে গেছে আগেই প্লে-অফের স্বপ্ন বিসর্জন দেওয়া হায়দরাবাদ।
ওপেনার মিচেল মার্শ ও এইডেন মার্করামের গড়ে দেওয়ার ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে ৭ উইকেটে ২০৫ রান করেছিল লক্ষ্ণৌ। মার্শ ৩৯ বলে ৬৫ ও মার্করাম ৩৮ বলে ৬১ রান করেন। ১০.
এরপর দলটির হয়ে যা করার একাই করেছেন নিকোলাস পুরান। ২৬ বলে ৪৫ রান করেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ব্যাটসম্যান। শেষ ২ ওভারে ৩৫ রান তোলে লক্ষ্ণৌ। হায়দরাবাদের পেসার হর্শাল প্যাটেল এইডেন মার্করামকে বোল্ড করে আইপিএল ক্যারিয়ারের ১৫০তম উইকেট পেয়েছেন। ২৩৮১তম বলে ১৫০তম উইকেট পেয়েছেন হর্শাল। আইপিএলে সবচেয়ে কম বলে ১৫০ উইকেট নেওয়ার রেকর্ড এটি। ২৪৪৪তম বলে ১৫০ উইকেট নিয়ে আগের রেকর্ডটি শ্রীলঙ্কার তারকা পেসার লাসিথ মালিঙ্গার।
রান তাড়ায় হায়দরাবাদ দ্বিতীয় ওভারে ১৭ রানে হারায় ওপেনার অথর্ব তাইদেকে (১৩)। আরেক ওপেনার অভিষেক শর্মা এরপর ঈশান কিষানকে নিয়ে দ্বিতীয় উইকেটে ৩৫ বলেই যোগ করেন ৮২ রান। ২০ বলে ৬ ছক্কায় ৫৯ রান করে অভিষেকের বিদায়ে ভাঙে জুটি।
অভিষেক ৫০ ছুঁয়েছেন ১৮ বলে। আইপিএল ক্যারিয়ারে চতুর্থবার ২০ বলের কমে ফিফটি ছুঁলেন ভারতীয় ওপেনার। ২০ বলের কমে সবচেয়ে বেশিবার ৫০ ছোঁয়ার রেকর্ডে নিকোলাস পুরানের রেকর্ড ছুঁয়েছেন অভিষেক।
অভিষেকের বিদায়ের পর কিষান (২৮ বলে ৩৫), হাইনরিখ ক্লাসেন (২৮ বলে ৪৭) ও কামিন্ডু মেন্ডিসরা (২১ বলে ৩২) ব্যাটন তুলে নেন হাতে।
এই জয়ের পরও ১২ ম্যাচে ৯ পয়েন্ট নিয়ে হায়দরাবাদ আছে আটে। সমান ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে লক্ষ্ণৌর আছে সাতে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: হ য়দর ব দ র র কর ড ম র কর ম লক ষ ণ র ন কর উইক ট
এছাড়াও পড়ুন:
ছেলেরা তার বাবার রক্ত দেখেছে: কারিনা
গত ১৫ জানুয়ারি দিবাগত মধ্যরাতে সাইফ আলী খানের মুম্বাইয়ের বান্দ্রার বাড়িতে এক দুর্বৃত্ত ঢুকে পড়ে। সে সময় বাড়ির সবাই ঘুমাচ্ছিলেন। স্টাফ নার্স লিমার চিৎকারে ঘুম ভাঙে সাইফের। এরপর ওই দুর্বৃত্তের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়; একপর্যায়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে একাধিকবার সাইফকে আঘাত করে পালিয়ে যায়। এই দৃশ্যপটের সাক্ষী সাইফ-কারিনার দুই শিশু পুত্র।
কয়েক দিন আগে বরখা দত্তকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন কারিনা কাপুর খান। এ আলাপচারিতায় ভয়ংকর সেই ঘটনা কারিনা ও তার সন্তানদের ওপরে কতটা প্রভাব পড়েছে তা ব্যাখ্যা করেছেন এই অভিনেত্রী।
কারিনা কাপুর খান বলেন, “সন্তানের ঘরে অন্য কাউকে দেখলে কেমন অনুভূতি হয়, তা নিয়ে আমি এখনো কিছুটা সংগ্রাম করছি। মুম্বাইতে এমন ঘটনা ঘটেছে, তা আপনি কখনো শুনেননি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এটি খুবই সাধারণ ব্যাপার। মুম্বাইয়ে বাড়িতে হাঁটছে এবং কারো স্বামীর ওপরে আক্রমণ করার কথাও কখনো শুনিনি। আমরা এখনো শতভাগ ঠিকঠাকভাবে বুঝতে পারিনি। অন্তত আমি না। প্রথম কয়েক মাস আমি খুবই উদ্বিগ্ন ছিলাম। ঘুমানো এবং স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা কঠিন ছিল।”
ঘটনাটিকে ‘মৃত্যুর’ সঙ্গে তুলনা করে কারিনা কাপুর খান বলেন, “সময়ের সঙ্গে সঙ্গে উপলদ্ধি করতে পারছি, স্মৃতি ক্রমশ ম্লান হয়ে যায়! তবে এটি আপনার হৃদয়ে থাকে। এটি মৃত্যুর মতো। আপনি যখন কাউকে হারান, তখন সত্যি এটি কাটিয়ে উঠতে পারেন না। আমি সবসময় অনুভব করেছি, আপনি কখনো এটি কাটিয়ে উঠতে পারেন না। কিন্তু স্মৃতি দিন দিন ম্লান হয়ে যায়।”
আরো পড়ুন:
প্রাক্তন স্বামীর শেষকৃত্যে কারিশমা
সালমান খুব বাজে অভিনেতা, কারিনার বক্তব্য ভাইরাল
দুই পুত্রকে ভালো রাখার জন্য ভয়-উদ্বেগ থেকে দ্রুত বের হওয়ার চেষ্টা করেন কারিনা কাপুর খান। এ অভিনেত্রীর ভাষায়, “সন্তানদের জন্য আমি ভয় নিয়ে বাঁচতে চাইনি। কারণ তাদের উপর এই চাপ চাপিয়ে দেওয়া ভুল সিদ্ধান্ত। ভয়-উদ্বেগের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আমি একজন মা, একজন স্ত্রী। সুতরাং এই সত্যের ভারসাম্য বজায় রাখার জার্নিটা কঠিন ছিল। এটি আমাকে মোকাবিলা করতে হয়েছে। আমরা নিরাপদে আছি, এজন্য আনন্দিত। ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানাই।”
সাইফ আলী খানের ওপরে হামলার ঘটনা তার পুত্রের উপরে প্রভাব ফেলেছে। এ বিষয়ে কারিনা কাপুর খান বলেন, “আমি আশা করি, আমার ছেলেরা দৃঢ় মানসিকতা নিয়ে বেড়ে উঠবে। কারণ তারা বাবাকে ছুরিকাঘাত হতে দেখেছে। বড় ছেলে (জে) এখনো বলে, ‘আমার বাবা ব্যাটম্যান এবং আয়রন ম্যান, যে কারো মোকাবিলা করতে পারে।”
ব্যাখ্যা করে কারিনা কাপুর খান বলেন, “তারা তার বাবার রক্ত এবং সবকিছু দেখেছে। আশা করি, এই অভিজ্ঞতা তাদের আলাদা মানুষ হিসেবে গড়ে তুলবে। তারা আশ্রয় পেয়েছে, তারপর তারা এটি দেখেছে। তাই আমার মনে হয়, এই অভিজ্ঞতা তাদের সেই আশ্রয়হীন জীবন থেকে বের করে এনেছে। এটি ঘটতে পারে— এই বাস্তবতায় তাদের নিয়ে এসেছে। অবশ্যই, ৪ এবং ৮ বছর বয়সে তাদের এটি দেখা উচিত নয়।”
অভিনেত্রী অমৃতা সিংয়ের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের পর বলিউড অভিনেত্রী কারিনা কাপুরের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান সাইফ আলী খান। ২০০৭ সালে ‘টশান’ সিনেমার শুটিংয়ের সময় পরস্পরের প্রেমে পড়েন তারা। এরপর দীর্ঘ পাঁচ বছর লিভ-ইন সম্পর্কে ছিলেন এই জুটি।
২০১২ সালে বিয়ে করেন সাইফ-কারিনা। ২০১৬ সালে জন্ম নেয় এ দম্পতির প্রথম সন্তান তৈমুর আলী খান। ২০২১ সালের ২১ ফ্রেব্রুয়ারি এ জুটির সংসার আলো করে জন্ম নেয় দ্বিতীয় সন্তান জাহাঙ্গীর আলী খান।
তথ্যসূত্র: লাইভ মিন্ট
ঢাকা/শান্ত