মানিকগঞ্জের আদালতে মমতাজ, হত্যা মামলার শুনানি আজ
Published: 22nd, May 2025 GMT
হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলার আসামি সাবেক সংসদ সদস্য ও কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগমকে মানিকগঞ্জ আদালতে নেওয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে আদালতের হাজতখানায় নেওয়া হয়েছে তাঁকে।
মানিকগঞ্জ আদালত পুলিশের পরিদর্শক আবুল খায়ের বলেন, আজ বেলা ১১টার দিকে মমতাজ বেগমকে আদালতে হাজির করা হবে। সিঙ্গাইর থানার হত্যা মামলার বিষয়ে শুনানি হবে।
আদালত-সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালে মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর উপজেলার গোবিন্দল এলাকায় হরতালের মিছিলে গুলিতে চারজন নিহত হন। এ ঘটনায় গত ২৫ অক্টোবর গোবিন্দল গ্রামের মজনু মোল্লা বাদী হয়ে সিঙ্গাইর থানায় মমতাজ বেগমকে প্রধান আসামি করে হত্যা মামলা করেন।
এ ছাড়া মমতাজ বেগমের নির্বাচনী এলাকা হরিরামপুর থানায় হামলা, মারধর ও ভাঙচুরের অভিযোগে আরেকটি মামলা রয়েছে। গত ২৯ অক্টোবর হরিরামপুর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন মামলাটি করেন।
এদিকে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা আদালত চত্বরে জড়ো হচ্ছেন। মমতাজ বেগম সংসদে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে নিয়ে অশালীন বক্তব্য দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ করে তাঁরা এর প্রতিবাদ জানাচ্ছেন।
এর আগে ঢাকায় কয়েকটি থানায় দায়ের করা হত্যা মামলায় মমতাজ বেগম চার দিনের রিমান্ডে ছিলেন। রিমান্ড শেষে তাঁকে গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কারাগারে পাঠানো হয়। সেখান থেকে আজ সকালে তাঁকে মানিকগঞ্জ আদালতে আনা হয়।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের ছত্রভঙ্গ করতে জলকামান, সাউন্ড গ্রেনেড
চাকরিতে পুনর্বহালসহ তিন দফা দাবিতে কাকরাইল মোড়ে অবস্থান নেওয়া চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের ওপর জলকামান নিক্ষেপ, লাঠিচার্জ ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে পুলিশ।
সোমবার (৭ জুলাই) সকালে শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেয় বিভিন্ন সময়ে চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা। পরে সেখান থেকে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় যাওয়ার চেষ্টা করেন তারা। পরে কাকরাইল মসজিদের সামনে পুলিশ তাদের বাধা দেয়।
তাদেরকে সরে যেতে ১০ মিনিটের আল্টিমেটাম দেয় পুলিশ। তারা পুলিশের আহ্বানে সাড়া না দিলে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সেখান থেকে সরিয়ে দিতে জলকামান ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে পুলিশ। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
রমনা থানার পরিদর্শক আতিকুল ইসলাম বলেন, “সচিবালয়, প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন ‘যমুনা’ ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকায় যেকোনো ধরনের সভা, সমাবেশ, গণজমায়েত, মিছিল ও শোভাযাত্রা নিষিদ্ধ করেছে ডিএমপি। এরপরও যমুনার উদ্দেশে পদযাত্রা করায় তাদের ছত্রভঙ্গ করা হয়েছে।”
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা চাকরি ফেরত, বিজিবির নাম আবার বিডিআর করাসহ ৩ দাবিতে বেশ কিছু দিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন।
তাদের দাবিগুলো হলো—ক্ষতিপূরণ দিয়ে চাকরিতে পুনর্বহাল, পিলখানা হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে গঠিত স্বাধীন তদন্ত কমিশনের বিভিন্ন ধারা বাতিল এবং বিডিআর নাম পুনর্বহাল ও কারাগারে বন্দি থাকা সদস্যদের মুক্তি।
ঢাকা/রায়হান/ইভা