গোয়েন্দা ‘মির্জা’ হয়ে আসছেন মোশাররফ করিম
Published: 22nd, May 2025 GMT
৫০ বছর বয়সী মির্জা একজন অবিবাহিত প্রাইভেট ডিটেকটিভ। সাত বোনকে নিয়ে তার পরিবার। বোনদের বর্তমানে একটাই লক্ষ্য-ভাইয়ের জন্য যোগ্য পাত্রী খুঁজে বের করা। স্বভাবে আনাড়ি, খেয়ালে হেয়ালি হলেও মির্জা অত্যন্ত বুদ্ধিমান এবং কৌশলী একজন ব্যক্তি। গোয়েন্দাগিরিতে তার পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা ঈর্ষা করার মতো।
একটি মামলার ঘটনা নিয়েই আগামী ২৩ মে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম বঙ্গ-তে আসছে ওয়েব ফিল্ম ‘মির্জা’। ফিল্মটির নামভূমিকায় রয়েছেন অভিনেতা মোশাররফ করিম। হাস্যরস ও রহস্যের মিশেলে তৈরি এই ওয়েব ফিল্মটি ধরাবাঁধা গোয়েন্দা গল্পের ধারা ভেঙে দর্শকদের সামনে ভিন্ন কিছু নিয়ে আসছে।
গল্পের শুরুতে দেখা যায়, লুনা নামের একজন সুন্দরী তরুণী তার নিখোঁজ যমজ বোনের হদিস পেতে মির্জার কাছে সাহায্য চাইতে এসেছে। আপাতদৃষ্টিতে সাদামাটা একটি মামলা ধীরে ধীরে পরিণত হয় এক বিপদজনক গোলকধাঁধায়। আসলে এই মির্জা দেখতে যতটা সহজ, ঠিক ততটা সহজ নয়; বরং গভীরে আরও কিছু উন্মোচনের বাকি থাকে। যেখানে রয়েছে এক ভয়ঙ্কর মাফিয়া, একজন সন্দেহপ্রবণ পুলিশ কর্মকর্তা আর কিছু ভয়ঙ্কর গোপন সত্য।
পরিচালক সুমন আনোয়ার তাঁর ‘রাতারগুল’, ‘কালাগুল’ ও ‘সদরঘাটের টাইগার’-এর মতো কাজের জন্য সুপরিচিত। মির্জা-তেও তিনি নিজের মুন্সিয়ানা ধরে রেখেছেন। ফিল্মটিতে রহস্য, হিউমার ও বাস্তবজীবনের এক অদ্ভুত রসায়ন তৈরি করেছেন, যা গোয়েন্দা ঘরানায় এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে বলে আশাবাদী সংশ্লিষ্টরা।
সুমন আনোয়ার বলেন, ‘মির্জা একটি জটিল গল্পের গোয়েন্দা আখ্যান। আপনি যখনই ভাববেন সব বুঝে গেছেন, ঠিক তখনই মির্জা এমন কিছু দেখাবে, যা কখনও আপনার চিন্তায় ছিল না।’
এ ফিল্মে মোশাররফ করিম ছাড়াও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন পারসা ইভানা, জুনায়েদ বোগদাদী, খালিদ হাসান রুমি, রাসেল, মামুন, অরণ্য, সৌমি, সামিরা, দোয়েল, বর্না, ঐশী ও শিবলু।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
চিকিৎসায় আর্থিক সহায়তা নয়, সবার কাছে দোয়া চাইলেন ফরিদা পারভীনের ছেলে
বাংলা লোকসংগীতের প্রবাদপ্রতিম শিল্পী, লালনসাধনার অঙ্গনে এক উজ্জ্বল তারকা ফরিদা পারভীন আজ অসুস্থ। তাঁর এই অসুস্থতা যেন কেবল একজন শিল্পীর শরীরের দুর্বলতা নয়-এ যেন বাংলা গানের এক প্রিয় কণ্ঠের স্তব্ধ হয়ে যাওয়া। কিন্তু তবুও, এই দুঃসময়ে আর্থিক সহায়তার কথা উচ্চারণ করেননি তিনি। বরং হাত জোড় করে চেয়েছেন-সবাই যেন তার জন্য দোয়া করে।
যদিও ইতোমধ্যে ফরিদা পারভীনের অনেক শুভাকাঙ্খীই ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে জানিয়ে আসছিলেন, আর্থিক সঙ্কটের কারণে ফরিদা পারভীনের চিকিৎসা হচ্ছিল না। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ছড়িয়ে পড়ে। তবে বিষয়টি একেবারেই অস্বাীকার করেছেন শিল্পীর ছেলে ইমাম জাফর। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া বিভ্রান্তিকর তথ্যকে দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, আমরা আমাদের মায়ের চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করতে সক্ষম। প্রয়োজন হলে তার নিজস্ব সঞ্চয় দিয়েই চিকিৎসা সম্ভব। তাই কেউ যেন ভেবে না বসেন, মা আর্থিক সংকটে আছেন।’
একজন শিল্পী, যিনি সারাজীবন আমাদের হৃদয়ে গেয়েছেন আত্মার গান, মানবতার গান, আজ তার পাশে দাঁড়ানোর সময়। আর তিনি চেয়েছেন শুধু একটি জিনিস-প্রার্থনা।
ইমাম জানান, ‘আম্মার কিডনির সমস্যাটা ২০১৯ সাল থেকেই চলছে। এখন ডায়ালাইসিস শুরুর পর শরীর আরও দুর্বল হয়ে গেছে। আমাদের সবাই—আমি, আমার ভাইবোন, তাদের জীবনসঙ্গীরা-নিজ হাতে আম্মার সেবা করছি। এই সময়ে সরকার থেকেও জানতে চাওয়া হয়েছে, কোনো সহায়তা দরকার কি না। কিন্তু মা স্পষ্ট জানিয়েছেন, তিনি তা নিতে চান না।’
এই প্রজ্ঞাময় শিল্পীর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা রেখে ইমাম জাফর সবার প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন-গুজব নয়, দোয়া ছড়ান।
তিনি আরও বলেন, ‘আমার মা যেন আবার গানে ফিরতে পারেন, আবার মঞ্চে দাঁড়িয়ে গেয়ে ওঠেন-এই প্রার্থনা করি। আপনারাও তার জন্য দোয়া করবেন।’
বাংলাদেশের সংগীতাঙ্গনে ফরিদা পারভীনের অবদান অনস্বীকার্য। নজরুলসংগীত ও দেশাত্মবোধক গান দিয়ে শুরু করে সাধক মোকসেদ আলী শাহের কাছে তালিম নেওয়া লালনের গান দিয়ে যিনি পৌঁছে গেছেন বাংলার হৃদয়ে। আজ সেই শিল্পীর জন্যই আমাদের প্রার্থনা দরকার।