বরগুনা জেলা বিএনপির কার্যালয় ভাঙচুর ও বিস্ফোরক আইনের মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২২ মে) দুপুরে বরগুনার অতিরিক্ত মুখ্য হাকিম মো. মনিরুজ্জামানের আদালতে মামলার শুনানি হয়। শুনানি শেষে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

আদালত প্রাঙ্গণে এজলাস থেকে বের হওয়ার সময় শম্ভুকে বহনকারী প্রিজনভ্যান লক্ষ্য করে ডিম নিক্ষেপ করেন ছাত্রদল ও যুবদলের নেতা-কর্মীরা। এর আগে, বুধবার শম্ভুকে ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বরগুনা কারাগারে আনা হয়।

আরো পড়ুন:

টাঙ্গাইলে হাসিনার নামে মামলা ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তুলে নেওয়ার আবেদন

১১৮ বার পেছাল সাগর-রুনি হত্যা মামলার প্রতিবেদন

আসামিপক্ষের আইনজীবী ভুবন চন্দ্র হালদার বলেন, ‘‘ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু অসুস্থ থাকায় আমরা জামিন আবেদন করেছিলাম। বিচারক জামিন বাতিল করায় তার চিকিৎসার জন্য আবেদন করি। বিচারক চিকিৎসার আবেদন মঞ্জুর করেছেন।’’

বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর নুরুল আমিন বলেন, ‘‘আসামিপক্ষ জামিনের আবেদন করেছিল। রাষ্ট্রপক্ষে যৌক্তিক কারণ উল্লেখ করায় বিচারক জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন।’’

২০২৪ সালের ১২ নভেম্বর রাজধানীর উত্তরা থেকে মহানগর গোয়েন্দা শাখার একটি টিম সম্ভুকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাকে নিউমার্কেট থানায় দায়ের হওয়া একটি হত্যা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এছাড়া, আশুলিয়া থানার অন্য একটি মামলায়ও গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

বরগুনা জেলা বিএনপির কার্যালয় ভাঙচুরের অভিযোগে মামলাটি করেন জেলা বিএনপির প্রয়াত সাধারণ সম্পাদক এসএম নজরুল ইসলামের ছেলে এসএম নইমুল ইসলাম। মামলায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীসহ ১৫৮ জনকে আসামি করা হয়েছে।

ঢাকা/ইমরান/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব চ রক বরগ ন

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাকা থেকে উড্ডয়নের পরপরই তার্কিশ এয়ারের ইঞ্জিনে আগুনের স্ফুলিঙ্গ, জরুরি অবতরণ

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তার্কিশ এয়ারলাইন্সের একটি উড়োজাহাজ উড্ডয়নের পরপরই ইঞ্জিনে স্পার্ক (আগুনের স্ফুলিঙ্গ) দেখা দিয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে উড়োজাহাজটি জরুরি অবতরণ করে। ফ্লাইটে থাকা ২৯০ জন যাত্রীর সবাইকে নিরাপদে বের করে আনা হয়েছে।

মঙ্গলবার সকাল ৭টায় এ ঘটনা ঘটে। যাত্রীর সবাইকে হোটেলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এসএম রাগীব সামাদ ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জানা গেছে, তার্কিশ এয়ারলাইন্সের টিকে৭১৩ ফ্লাইটটি (এয়ারবাস এ৩৩০-৩০৩) শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সকাল ৭টার দিকে ২৯০ জন যাত্রী নিয়ে তুরস্কের ইস্তাম্বুলের উদ্দেশে রওনা দেয়। উড্ডয়নের ১৫ মিনিটের মাথায় পাইলট এর একটি ইঞ্জিনে (দুটি ইঞ্জিন থাকে) স্পার্ক দেখতে পান। পাইলট প্লেনটি দ্রুত অবতরণের সিদ্ধান্ত নেন। এ অবস্থায় প্রায় দেড় ঘণ্টা আকাশে চক্কর দিয়ে তেল পুড়িয়ে সোয়া ৮টায় জরুরি অবতরণ করেন।

গ্রুপ ক্যাপ্টেন এসএম রাগীব সামাদ বলেন, উড্ডয়নের পরপরই পাইলট একটি ইঞ্জিনে কিছুটা স্পার্ক দেখতে পান। ধারণা করা হচ্ছে, বার্ড হিটের ঘটনা ঘটতে পারে। তখন পাইলট তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্তে বিমানবন্দরে ফিরে আসেন। যাত্রীরা নিরাপদ আছেন।

বিমানবন্দর সূত্র জানায়, যাত্রীদের প্লেন থেকে অফলোড করা হয়েছে। এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ তাদের হোটেলে নিয়ে যাচ্ছে।

উল্লেখ্য, গত ১৬ মে কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ছেড়ে আসা বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটের চাকা (বাম পাশের ল্যান্ডিং গিয়ার) খুলে নিচে পড়ে যায়। তবে ফ্লাইটটি পাইলটের দক্ষতায় নিরাপদে অবতরণে সক্ষম হয়। ফ্লাইটে শিশুসহ মোট ৭‌১ জন যাত্রী ছিল।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আদালতে সাবেক খাদ্য উপমন্ত্রী ধীরেন্দ্র দেবনাথকে লক্ষ্য করে ডিম নিক্ষেপ
  • চবিতে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের মাঝে কোরআন ও স্মার্টফোন বিতরণ
  • শাহজালাল থেকে উড্ডয়নের পরই প্লেনের ইঞ্জিনে আগুন, জরুরি অবতরণ
  • ঢাকা থেকে উড্ডয়নের পরপরই তার্কিশ এয়ারের ইঞ্জিনে আগুনের স্ফুলিঙ্গ, জরুরি অবতরণ