আদালত প্রাঙ্গণে সাবেক এমপি শম্ভুর ওপর ডিম নিক্ষেপ
Published: 22nd, May 2025 GMT
বরগুনা জেলা বিএনপির কার্যালয় ভাঙচুর ও বিস্ফোরক আইনের মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২২ মে) দুপুরে বরগুনার অতিরিক্ত মুখ্য হাকিম মো. মনিরুজ্জামানের আদালতে মামলার শুনানি হয়। শুনানি শেষে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আদালত প্রাঙ্গণে এজলাস থেকে বের হওয়ার সময় শম্ভুকে বহনকারী প্রিজনভ্যান লক্ষ্য করে ডিম নিক্ষেপ করেন ছাত্রদল ও যুবদলের নেতা-কর্মীরা। এর আগে, বুধবার শম্ভুকে ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বরগুনা কারাগারে আনা হয়।
আরো পড়ুন:
টাঙ্গাইলে হাসিনার নামে মামলা ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তুলে নেওয়ার আবেদন
১১৮ বার পেছাল সাগর-রুনি হত্যা মামলার প্রতিবেদন
আসামিপক্ষের আইনজীবী ভুবন চন্দ্র হালদার বলেন, ‘‘ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু অসুস্থ থাকায় আমরা জামিন আবেদন করেছিলাম। বিচারক জামিন বাতিল করায় তার চিকিৎসার জন্য আবেদন করি। বিচারক চিকিৎসার আবেদন মঞ্জুর করেছেন।’’
বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর নুরুল আমিন বলেন, ‘‘আসামিপক্ষ জামিনের আবেদন করেছিল। রাষ্ট্রপক্ষে যৌক্তিক কারণ উল্লেখ করায় বিচারক জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন।’’
২০২৪ সালের ১২ নভেম্বর রাজধানীর উত্তরা থেকে মহানগর গোয়েন্দা শাখার একটি টিম সম্ভুকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাকে নিউমার্কেট থানায় দায়ের হওয়া একটি হত্যা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এছাড়া, আশুলিয়া থানার অন্য একটি মামলায়ও গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
বরগুনা জেলা বিএনপির কার্যালয় ভাঙচুরের অভিযোগে মামলাটি করেন জেলা বিএনপির প্রয়াত সাধারণ সম্পাদক এসএম নজরুল ইসলামের ছেলে এসএম নইমুল ইসলাম। মামলায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীসহ ১৫৮ জনকে আসামি করা হয়েছে।
ঢাকা/ইমরান/রাজীব
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব চ রক বরগ ন
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাইবিরোধী শক্তির শাস্তি দাবিতে ইবিতে বিক্ষোভ
জুলাইবিরোধী শক্তির শাস্তির দাবিতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
রবিবার (২ নভেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে ক্যাম্পাসের বটতলা থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন তারা। পরে ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রশাসন ভবনের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশে মিলিত হন।
আরো পড়ুন:
নড়াইলে ৩ দিন ধরে স্কুলছাত্রী নিখোঁজ
যবিপ্রবিতে বাতাস হলেই বিদ্যুৎ চলে যায়, অভিযোগ শিক্ষার্থীদের
মিছিলে তারা ‘আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘লেগেছে রে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে’, ‘দিয়েছি তো রক্ত, আরো দেব রক্ত’, ‘আবু সাঈদ মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ’, ‘একটা একটা লীগ ধর, ধইরা ধইরা জেলে ভর’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।
মিছিল পরবর্তী সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ইবি শাখার সাবেক সমন্বয়ক এসএম সুইট, সাবেক সহ-সমন্বয়ক ইয়াসকিরুল কবীর সৌরভ, গোলাম রব্বানী, ছাত্রদল নেতা নূর উদ্দিন, রাফিজ, শিবির নেতা রায়হান নেজামী প্রমুখ।
এসএম সুইট বলেন, “যারা গণহত্যার বৈধতা দিয়েছিল তাদের শাস্তির আওতায় আনতে প্রশাসন থেকে একটা তালিকা করা হয়েছে। কিন্তু সেই তালিকায় অনেক রাঘববোয়ালদের নাম আসেনি। যারা গণহত্যার দায়ে অভিযুক্ত ও বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেছে, তাদেরও নাম আসেনি। আগামী সপ্তাহের মধ্যে জুলাইবিরোধী সবাইকে শাস্তির আওতায় আনতে হবে।”
তিনি বলেন, “শিক্ষার্থীদের বিপক্ষে আমরা কখনোই না। কিন্তু অভ্যুত্থানের বিরোধী শক্তি শিক্ষার্থীদের ম্যানিপুলেট করে জুলাইবিরোধী কাজগুলো করানোর চেষ্টা করছে। আশা করছি, এটি ধোপে টিকবে না। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দায়-দায়িত্ব যেহেতু শহীদ ও আহত ভাই-বোনদের প্রতি। সে জায়গা থেকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শক্তিশালী ভূমিকা রাখবে বলে আমার বিশ্বাস।”
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কতিপয় শিক্ষককে বহিষ্কৃত সিদ্ধান্তকে নাটক ও প্রহসন দাবি করে ছাত্রদল নেতা নূর উদ্দিন বলেন, “প্রশাসন কতিপয় শিক্ষককে বহিষ্কার ও হাতেগোনা কয়েকজন ছাত্রের ছাত্রত্ব বাতিল করেছে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসী সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি আরাফাতের নাম বাদ দিয়েই তারা বাদবাকি চুনোপুঁটিদের বহিষ্কার করার যে নাটক, যে প্রহসন, সেই প্রহসনকে আমরা সে ঘৃণ্যাভরে প্রত্যাখ্যান করছি।”
ঢাকা/তানিম/মেহেদী