প্রেমের পর অন্যত্র বিয়ে, চাচাতো ভাইয়ের গোপনাঙ্গ কাটলেন নারী
Published: 23rd, May 2025 GMT
রাজশাহীর বাগমারায় এক নারী তার চাচাতো ভাইয়ের গোপনাঙ্গ ব্লেড দিয়ে কেটে দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার (২২ মে) রাত সোয়া ১০টার দিকে উপজেলার গোয়ালকান্দী ইউনিয়নের চন্দ্রপুর গ্রামের মণ্ডলপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার পর জাহিদুল ইসলাম (৩৫) নামের ওই যুবককে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। জাহিদুলের বাড়ি চন্দ্রপুর মণ্ডলপাড়া গ্রামে।
আরো পড়ুন:
শাবিপ্রবিতে নারী কমিশনের বিতর্কিত সুপারিশ বাতিলের দাবি
চবিতে নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাতিলের দাবি
স্থানীয়রা বলছেন, চাচাতো বোনের সঙ্গে জাহিদুলের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সম্প্রতি তিনি অন্যত্র বিয়ে করেন। এ কারণে হয়তো জাহিদুলের গোপনাঙ্গ কেটে দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে ওই নারীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সম্ভব হয়নি।
পুলিশ জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ওই নারীর বাড়িতে প্রবেশ করেন জাহিদুল। এসময় তার হাতে দুটি কোমল পানীয়র বোতল দেখেছেন এলাকাবাসী। দীর্ঘ সময় পর ওই নারীর বাড়ির পাশের খড়ের ঘর থেকে চিৎকার দিয়ে বেরিয়ে আসেন জাহিদুল। আশপাশের লোকজন ছুটে গিয়ে দেখেন, রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন তিনি। দ্রুত তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
বাগমারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে খোঁজখবর নেওয়া হয়েছে। তবে, এ বিষয়ে থানায় কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
ঢাকা/কেয়া/রাজীব
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
আফতাবনগরে দগ্ধ শিশু মিথিলাও মারা গেছে
রাজধানীর আফতাবনগরের বাসায় ‘গ্যাসের আগুনে’ দগ্ধ শিশু মিথিলা (৮) মারা গেছে। শুক্রবার রাত সোয়া ৮টার দিকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ নিয়ে দগ্ধ একই পরিবারের পাঁচ সদস্যের চারজনেরই মৃত্যু হলো।
ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান জানান, শরীরের ৬০ শতাংশ ও শ্বাসনালী পুড়ে যাওয়ায় শুরু থেকেই মিথিলা সঙ্কটাপন্ন অবস্থায় ছিল। তাকে হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিটে (এইচডিইউ) রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল। সেখানেই মৃত্যু হয় তার। পরিবারটির আরেক সদস্য তানিশা (১১) এখনও চিকিৎসাধীন। তার শরীরের ৩০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। তাকেও শঙ্কামুক্ত বলা যাচ্ছে না।
এর আগে ওই ঘটনায় দগ্ধ মিথিলার বাবা তোফাজ্জল হোসেন, মা মানসুরা ও ছোট বোন তানজিলা মারা যায়।
গত ১৬ মে রাত সাড়ে ১১টার দিকে আফতাবনগরের দক্ষিণ আনন্দনগর এলাকায় একটি তিনতলা ভবনের নিচতলায় জমে থাকা গ্যাস থেকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে পরিবারের পাঁচ সদস্য দগ্ধ হন।