বিড়াল। নামটি শুনলেই জ্বলজ্বলে চোখের নরম আদুরে একটি চেহারা ভেসে ওঠে। এই ছোট্ট প্রাণীটিকে দেখলে মন ভালো হয়ে যায়। চুপচাপ গাঘেঁষে এসে বসছে কিংবা নিজের মতো দৌড়ঝাঁপ করে বেড়াচ্ছে নিঃশব্দে। কিংবা চোখ ফেরালে দেখা যাচ্ছে, কোনো কারণ ছাড়াই শরীর এলিয়ে ঘুমুচ্ছে। এ রকম আদুরে প্রাণী যান্ত্রিক জীবনে অনেকে পোষ্য হিসেবে রাখেন। নিজের একাকিত্বের সঙ্গী কিংবা ঠিক সন্তানের মতো করে। পড়ন্ত বিকেলে তাকে নিয়ে অনেকে হাঁটতেও বের হন। কিন্তু এ প্রাণীটিকে নিয়ে হঠাৎ করে কোনো রেস্টুরেন্টে ঢুকে আয়েশ করে এক কাপ কফিতে চুমুক দিতে দিতে অন্য বিড়ালদের সঙ্গে নিজের বিড়ালকে খেলতে দেখা কিংবা কফি খেতে খেতে বিড়ালদের সঙ্গে সময় কাটানোর উপায় কিছুদিন আগেও ঢাকায় ছিল না। এখন ট্রেন্ডের সঙ্গে তাল মিলিয়ে পেটপুজো, মনপুজো ও প্রাণী সেবা– এই তিনকে এক করে ধানমন্ডির ২৭-এর নাভানা মাশিরার প্রথম তলায় ২০১৯ সালে গড়ে ওঠে দেশের প্রথম বিড়ালবান্ধব একটি ক্যাফে– ‘ক্যাপওচিনো ক্যাট ক্যাফে’।
ফিরোজা, নীল, সাদার মতো প্রশান্তিময় রঙের মিশেলে তৈরি ইন্টেরিয়র সমৃদ্ধ ক্যাফেটিতে ঢুকলে মন ভরে যায়। সোফায় বসে পুরো ক্যাফেটিতে চোখ ঘোরালে একটি কাচ দিয়ে ঘেরা ঘরের দিকে তাকালে আদুরে প্রাণীগুলোর দেখা মেলে। তারা যে যার মতো নিজেদের কাজকর্ম করে যাচ্ছে। এ ক্যাফেতে থাকা বিড়ালগুলোর বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, সব বিড়ালই উদ্ধার করে আনা হয়েছে এখানে। নির্বাক এ আদুরে প্রাণীগুলোর একেকটি ছিল মহাবিপদে। বিড়াল ও এই ক্যাফে সম্পর্কে মালিক রাহাত রহমান বলেন, ‘ক্যাফের উদ্যোগটা নেওয়া হয় ২০১৮ সালে। অফিসিয়ালি যাত্রা শুরু হয় ২০১৯ সালে।
আমার বাসায় অনেক বিড়াল। তাই আমি ভেবেছিলাম, এমন একটা জায়গা তৈরি করার, যেখানে বিড়ালের সঙ্গে সময় কাটানো ও আদর করার পাশাপাশি কফিও খাওয়া যাবে। এ চিন্তা থেকে মিরপুরে আমার বাসার নিচে ক্যাফেটি শুরু করি। সেই থেকে আমাদের পথচলা শুরু।
দেশের বাইরে এ ধরনের পেট ক্যাফেতে বিড়ালের পাশে বসে মানুষ রেস্তোরাঁয় খাবার খান। আমাদের দেশের পরিবেশ ও মানসিকতার কথা চিন্তা করে আমরা সম্পূর্ণ আলাদা দুটো জোন তৈরি করি এক ছাদের নিচে। তবে অনলাইনে অনেক প্রশ্ন পাই, খাবার স্বাস্থ্যসম্মত হবে কিনা কিংবা বিড়ালের লোমের বিষয়টি। যারা সরাসরি আসেন আমাদের ক্যাফেতে, তারা এসে সম্পূর্ণ পরিবেশ দেখে আশ্বস্ত হন। হাইজিনের ব্যাপারে আমরা কঠোর সচেতনতা অবলম্বন করি। প্রতি সপ্তাহে বিড়ালদের চেকআপ করেন ডাক্তার।’
ক্যাফের আয় থেকে বড় একটা অংশ ব্যয় হয় বাইরের প্রাণীদের বিভিন্ন সেবা-শুশ্রূষার পেছনে; যা আমাদের মার্কেটিংয়ের আওতায় রাখি না কখনোই। এ ছাড়া ভবিষ্যতে ভেটেরিনারি ক্লিনিক, স্যালুনসহ নানা কাজ করার ইচ্ছে রয়েছে। রাস্তার কুকুর, বিড়ালদের এক টুকরো বিস্কুট কিংবা পাউরুটি খেতে দিলে তারা যিনি দিচ্ছেন তার জন্য জীবনও দিতে পারে। এ অবলা প্রাণীদের প্রতি রাস্তায় কিংবা ঘরে অত্যাচার কাম্য নয় বলে জানান রাহাত।
ক্যাফেটিতে বর্তমানে রয়েছে ২০টি বিড়াল। যেগুলোর সবই উদ্ধার করা বিড়াল। ২০১৮ সালে মিরপুর থেকে রাহাতের উদ্ধার করা দুটি বিড়াল চার্লি ও পান্ডার সঙ্গে যাত্রা শুরু হয় ক্যাফেটির। কিছুদিন আগে চার্লির মৃত্যু হয়। বেশ কিছুদিন আগে ইনফ্লুয়েন্সার সুনেরাহ’র উদ্ধার করা এক চোখ অন্ধ একটি বিড়ালকে নিজেদের ক্যাফেতে ঠাঁই দেন তারা। বিড়ালগুলোর নামও সুন্দর। এখন ক্যাফেতে রয়েছে– পান্ডা, রাইজেন, ব্যাটম্যান, ক্লাউস, লুনা, জিগি, ডিম, চার্লি জুনিয়র, মুডি, কাইলি, নোবিতা, নিনি, তারাসহ অনেক আদুরে বিড়াল।
এ ক্যাফের প্রতিটি বিড়ালের সঙ্গে জড়িয়ে আছে একেকটি গল্প। ক্যাফেটি দুই ভাগে বিভক্ত। এক ভাগে কাচ দিয়ে ঘেরা বিড়ালদের ঘর। অন্যদিকে সম্পূর্ণ আলাদা রেস্তোরাঁ। বিড়ালদের ঘরে শুধু কফি ও ড্রিংকস, সেটিও ঢাকনাসহ নিয়ে ঢোকা যায় ২০০ টাকা প্রবেশমূল্যের মাধ্যমে। যে টাকার সম্পূর্ণ অর্থই ব্যয় হয় বিড়ালদের বিভিন্ন পরিচর্যার পেছনে। কোনো নতুন বিড়াল ক্যাফেতে আনার আগে বিভিন্ন পরিচর্যা শেষে এক সপ্তাহ কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়। এ ক্যাফের বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো, স্লট খালি থাকার ওপর নির্ভর করে উদ্ধার করা বিড়াল এনে রাখা যায় এবং যে কেউ সঠিকভাবে পরিচর্যা করতে পারবেন– এই ভিত্তিতে বিড়াল দত্তকও নিতে পারেন।
দুপুর ১২টায় খুলে যায় এই প্রশান্তিময় স্থানের দরজা, বন্ধ হয় রাত ১১টায়। সপ্তাহে সাত দিন।
ঢাকায় প্রাণীবান্ধব এ রকম রেস্টুরেন্টের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। যান্ত্রিকজীবনে একাকিত্ব দূরীকরণ ও যান্ত্রিকতার সঙ্গে যুদ্ধ শেষে মুক্তি মেলার জন্যও অনেকে এ ক্যাফেগুলোয় যান। বাসায় ১২টি বিড়াল পালেন আয়েশা। মধ্যবয়স্ক চাকরিজীবী এ নারী বলেন, ‘আমি মাঝেমধ্যে এসব ক্যাট ক্যাফেতে যাই। আমার ভালো লাগে। কেননা, বিড়াল একটা শান্তির নাম। কোনো ধরনের অভিযোগ নেই, কিছুটা সময় কাটালে সব ক্লান্তি দূর হয়ে যায়। এ ছাড়া ঢাকার মতো জায়গায় চলতি পথে কিছু খাওয়ার জন্য কোথাও ঢুকে যদি মনের মতো প্রাণীদের দেখি পাশে মুখ উঁচিয়ে বসে আছে, তাহলে মনটা আরও ভরে যায়।’
মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, পোষা বিড়ালের সান্নিধ্যে থাকলে মানুষের কর্টিসল লেভেল কমায়, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং মানসিক উদ্বেগ প্রশমনে সাহায্য করে।
ঢাকার বনানী, মোহাম্মদপুর, মিরপুর, গুলশানেও রয়েছে ক্যাট ক্যাফে। যেখানে এ রকম বিড়ালের সঙ্গে বসে বসে কফির স্বাদ উপভোগ করার সুযোগ রয়েছে। কিছু উদ্যোক্তার নিছক শখ থেকে এই ক্যাট ক্যাফে শুরু হলেও করোনা-পরবর্তী মানসিক স্বাস্থ্য সংকটে বিড়ালের মতো প্রশান্তিময় প্রাণীর চাহিদা বাড়তে থাকে; যা বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি লাইফস্টাইল হয়ে উঠেছে।
ঢাকায় বর্তমানে উল্লেখযোগ্য ১৫টির বেশি রেস্টুরেন্ট ও ক্যাফে রয়েছে, যাদের থিম গড়ে উঠেছে বিড়ালকেন্দ্রিক। এর মধ্যে ৭টি পুরোপুরি ক্যাট-ক্যাফে ও বাকি ৮টি রেস্টুরেন্ট পোষা বিড়ালদের বসবাসের সুযোগ সমৃদ্ধ।
মূলত বিড়াল শান্ত ও পরিচ্ছন্ন প্রাণী। যে কোনো ক্যাফে বা রেস্টুরেন্টে এরা পরিবেশ নষ্ট না করে অতিথির সঙ্গে এক ধরনের মানসিক সংযোগ তৈরি করে। যেটি কিনা প্রশান্তি দেয় অতিথিদের।
ঢাকার রেস্টুরেন্টগুলো এখন শুধু গিয়ে খাবার খেয়ে চলে আসার জায়গা নয়; বরং তা হয়ে উঠেছে থেরাপি স্পেস ও প্রাণীর সঙ্গে সহাবস্থানের মডেল।
এ বিড়ালকেন্দ্রিক ক্যাফের বিবর্তন শুধু একটি ট্রেন্ড নয়। এটি মানুষ ও প্রাণীর অদ্ভুত সুন্দর এক সম্মিলন। এখানে কফির কাপের পাশে বিড়ালের মিউমিউ ডাক ও নরম গাঘেঁষে বসা যেন আলাদা তৃপ্তি দেয় আত্মাকে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
চবিতে শিক্ষক-সাংবাদিকের ওপর হামলা: ৬ ছাত্রীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষক-সাংবাদিকের ওপর হামলার অভিযোগে বহিষ্কৃত ১০ ছাত্রীর মধ্যে ছয়জনের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। তবে একজনের স্থায়ী ও তিনজনের ৬ মাস করে বহিষ্কারাদেশ বহাল রেখেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বুধবার (২১ মে) বোর্ড অব রেসিডেন্স হেলথ অ্যান্ড ডিসিপ্লিনারি কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
স্থায়ী বহিষ্কারাদেশ বহাল রাখা শিক্ষার্থী হলেন, ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের আইন বিভাগের আফসানা এনায়েত এমি।
আরো পড়ুন:
জকসু নির্বাচনের দাবি সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের
গোপালগঞ্জে নার্স-মিডওয়াইফ শিক্ষার্থীদের শাটডাউন কর্মসূচি
বহিষ্কারাদেশ বাতিল হওয়া ছয় শিক্ষার্থী হলেন, ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের মেরিন সায়েন্সেস ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থী এলিসা স্বর্ণা চৌধুরী, ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী ফৌজিয়া আহমেদ পল্লী মজুমদার, একই বর্ষের ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ সায়েন্সস বিভাগের শিক্ষার্থী উম্মে হাবিবা বৃষ্টি, ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ব্যাংকিং অ্যান্ড ইন্স্যুরেন্স বিভাগের শিক্ষার্থী ফারজানা ইয়াসমিন পুতুল, ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের চারুকলা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী ফাতেমাতুজ আশফিয়া নাহার এশা এবং একই বর্ষের সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মাইসারা জাহান ইশা। তাদের প্রত্যেককেই ২ বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছিল।
অন্যদিকে, ৬ মাসের বহিষ্কারাদেশ বহাল রাখা শিক্ষার্থীরা হলেন ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ সায়েন্সেস বিভাগের শিক্ষার্থী রওজাতুল জান্নাত নিশা, ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের একই বিভাগের শিক্ষার্থী জান্নাতুল মাওয়া মিথিলা এবং ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী সুমাইয়া সিকদার। তাদের বহিষ্কারাদেশ ২ বছর থেকে কমিয়ে ৬ মাস করা হয়েছে।
গত ২২ ফেব্রুয়ারি ৫৫৯তম বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় যেসব ছাত্রীদের বহিষ্কার করা হয়েছিল, তাদেরকে ১৫ দিনের মধ্যে আত্মপক্ষ সমর্থনের সময় দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আত্মপক্ষ সমর্থনের পর বিষয়গুলো পূনরায় তদন্তের ভিত্তিতে এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানা গেছে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছে, শিক্ষকের গায়ে হাত তোলা ছাত্রীর স্থায়ী বহিষ্কারাদেশ বহাল থাকবে। এছাড়া নয়জনের মধ্যে ছয়জন ক্ষমা চাওয়ায় তাদের বহিষ্কারাদেশ বাতিল করা হয়েছে এবং বাকি তিনজন ক্ষমা না চাওয়ায় ও সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে তাদের বহিষ্কারাদেশ দেড় বছর কমিয়ে ৬ মাস করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দিন বলেন, “সিনিয়র প্রক্টর অধ্যাপক ড. কোরবান আলীর গায়ে আঘাত করার কারণে একজনের স্থায়ী বহিষ্কার বহাল রয়েছে। বাকি বহিষ্কৃত নয়জনের মধ্যে নিজ ভুলের লিখিত ও মৌখিক ক্ষমা চাওয়ায় ছয়জনের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। আর ক্ষমা না চাওয়ায় তিনজনের ৬ মাসের বহিষ্কারাদেশ বহাল রাখা হয়েছে।”
তিনি আরো বলেন, “আমাদের শিক্ষার্থীরা আমাদের সন্তানের মতো। তারা অনেকসময় অনেক ভুল করে। শিক্ষার্থীরা ভুলের ক্ষমা চাইলে আমরা সেটি ইতিবাচকভাবেই দেখি। শিক্ষার্থীদের কাছে অনুরোধ, তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক পরিবেশ বজায় রাখার জন্য আমাদের সার্বিক সহযোগিতা করবে। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আমাদের কোনো বৈরিতা নেই। তবুও কেউ যদি বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে, সে ক্ষেত্রে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে তাদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শাস্তি দিতে হয়।”
গত ৫ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জননেত্রী শেখ হাসিনা হলের (বর্তমান নাম বিজয়-২৪ হল) নামফলক ও হলের সামনে কংক্রিট নির্মিত নৌকা ভাঙতে গেলে শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও সাংবাদিকদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন ওই হলের শিক্ষার্থীরা। একপর্যায়ে সেখানে উপস্থিত আফসানা এনায়েত এমি সিনিয়র প্রক্টর অধ্যাপক ড. কোরবান আলীকে থাপ্পড় দেন।
এছাড়া ঘটনাস্থলে সংবাদ সংগ্রহ করতে যাওয়া এক সাংবাদিকের মোবাইল কেড়ে নেওয়া ও অন্য সাংবাদিকদের হেনস্তার ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আইন বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী আফসানা এনায়েত এমিকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার ও তার সনদ বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়। এছাড়া শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় নয়জনকে দুই বছরের জন্য বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয়। পরে এ বহিষ্কারাদেশ প্রহসনমূলক বলে দাবি করে এর বাতিল চেয়ে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছিলেন বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা।
ঢাকা/মিজান/মেহেদী