বরগুনায মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি সালাউদ্দিন গাজী গ্রেপ্তার
Published: 24th, May 2025 GMT
বরগুনার আলোচিত অনিক হত্যা মামলার পলাতক মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি সালাউদ্দিন গাজীকে দণ্ডাদেশের ৬ বছর পরে গ্রেপ্তার করেছে বরগুনা থানা পুলিশ।
শনিবার (২৪ মে) বেলা সাড়ে এগারোটায় সংবাদ সম্মেলন করে এই তথ্য জানান বরগুনা থানার ওসি দেওয়ান জগলুল হাসান।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২৩ মে) রাত সাড়ে ৯ টার দিকে তালতলী উপজেলা ফকির হাট এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ওসি দেওয়ান জগলুল হাসান বলেন, ‘‘২০১৩ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যার পর পৌরসভার শহীদ স্মৃতি সড়কের সুবল চন্দ্র রায়ের ছেলে অনিককে কোমল পানীয়র সঙ্গে চেতনানাশক খাইয়ে ডিশ লাইনের তার দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে হত্যা করা হয়। হত্যার পরে নিহতের বাবার কাছে তিন লাখ টাকা মুক্তপণ দাবি করে। এর ১৮ দিন পর বরগুনা সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের পুরাতন ভবনের পাশের সেপটিক ট্যাংক থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।’’
তিনি বলেন, ‘‘এ ঘটনায় ২০১৯ সালের আগস্ট মাসের ৭ তারিখ প্রধান আসামি ঢলুয়া ইউনিয়নের কাঁঠালতলী গ্রামের আবদুস সত্তার গাজীর ছেলে সালাউদ্দিন গাজীকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করা হয়। এতোদিন দণ্ডপ্রাপ্ত এই আসামি পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে পালিয়ে ছিল। সম্প্রতি সে দেশে আসলে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।’’
আসামিকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হবে বলেও জানান তিনি।
এদিকে সালাউদ্দিন গাজী গ্রেপ্তারের খবরে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন নিহত অনিকের পরিবার।
নিহত অনিকের বাবা সুবল চন্দ্র রায় রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘‘মুক্তিপণের দাবিতে আমার ছেলেকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে আসামিরা। এই হত্যার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার হবার খবরে আমরা কিছুটা হলেও স্বস্তি পেয়েছি। দ্রুত মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হলেই ন্যায় বিচার নিশ্চিত হবে।’’
ঢাকা/ইমরান/টিপু
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ফেসবুকে বিদ্বেষপূর্ণ মন্তব্য না করার নির্দেশনা সিলেট জেলা বিএনপির
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দায়িত্বহীন, অশালীন বা বিদ্বেষপূর্ণ পোস্ট, মন্তব্য কিংবা তথ্য শেয়ার থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে সিলেট জেলা বিএনপি। দলের কেউ এ নির্দেশনা লঙ্ঘন করলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে।
গতকাল রোববার রাতে জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক এমরান আহমদ চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিবৃতিটি গণমাধ্যমে পাঠিয়েছেন জেলা বিএনপির সহদপ্তর সম্পাদক মাহবুব আলম।
এদিকে দলের একজন জ্যেষ্ঠ নেতার বিরুদ্ধে ফেসবুকে কুরুচিপূর্ণ ও শিষ্টাচার–বহিভূর্ত মন্তব্য করায় গতকাল রাতে বিশ্বনাথ উপজেলার লামাকাজী ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবেদুর রহমানকে (আছকির) সাময়িক বহিষ্কারের পাশাপাশি সাত দিনের মধ্যে কারণ দর্শাতে বলেছে জেলা বিএনপি। এ ছাড়া অনলাইন গণমাধ্যমে দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী বক্তব্য দেওয়ার জন্য জেলা বিএনপির সহসভাপতি ফখরুল ইসলামকে (ফারুক) সতর্কীকরণ নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
জেলা বিএনপির বিবৃতিতে বলা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে সিলেট জেলা বিএনপির আওতাধীন কিছু ইউনিটের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম কার্যক্রমে অনভিপ্রেত ও পরস্পরবিরোধী বক্তব্য পরিলক্ষিত হয়েছে। বিশেষ করে বিশ্বনাথ উপজেলা, বিশ্বনাথ পৌরসভা ও ওসমানীনগর উপজেলা বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কিছু নেতা-কর্মীর মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিদ্বেষমূলক মন্তব্য, কটূক্তি ও বিভাজন সৃষ্টিকারী পোস্ট প্রচারিত হয়েছে। যা দলীয় শৃঙ্খলা ও ঐক্যের পরিপন্থী।
বিএনপি সব সময় সংগঠনের ঐক্য, শালীনতা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের রাজনীতি বিশ্বাস করে উল্লেখ করে বিবৃতিতে আরও বলা হয়, দলের কোনো পর্যায়ের নেতা বা কর্মীর কাছ থেকে বিভেদমূলক আচরণ, বিদ্বেষ ছড়ানো বা প্রকাশ্যে অপপ্রচার কখনোই কাম্য নয়। অতএব জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট সব ইউনিটের নেতা-কর্মীদের কঠোরভাবে সতর্ক করা হচ্ছে, যেন ভবিষ্যতে তাঁরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দায়িত্বহীন, অশালীন বা বিদ্বেষপূর্ণ পোস্ট, মন্তব্য বা শেয়ার থেকে সম্পূর্ণ বিরত থাকেন।
যোগাযোগ করলে জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, সম্প্রতি ফেসবুকে কিছু নেতা-কর্মীকে একে অন্যের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করতে দেখা গেছে। এ অবস্থায় জেলা বিএনপি একটি নির্দেশনা দিয়েছে। তা অমান্যকারী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।