রোমে শুক্রবার ইরান ও মার্কিন প্রতিনিধিদলের পঞ্চম দফা আলোচনা শেষ হয়েছে। তেহরানের পারমাণবিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা নিয়ে কয়েক দশক ধরে চলমান বিরোধ নিরসনের লক্ষ্যে আলোচনায় সীমিত অগ্রগতির লক্ষণ দেখা গেছে বলে শনিবার জানিয়েছে রয়টার্স।

ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ নিয়ে আলোচনার আগে ওয়াশিংটন ও তেহরান উভয়ই জনসমক্ষে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছিল। তবে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি জানিয়েছেন, আলোচনার সময় ওমান বেশ কয়েকটি প্রস্তাব দেওয়ার পরে অগ্রগতির সম্ভাবনা রয়েছে।

তিনি সরকারি সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, “আমরা সবেমাত্র সবচেয়ে পেশাদার আলোচনার একটি পর্ব সম্পন্ন করেছি .

.. আমরা দৃঢ়ভাবে ইরানের অবস্থান ব্যক্ত করেছি ... আমার মতে, আমরা এখন যুক্তিসঙ্গত পথে আছি, এটি নিজেই অগ্রগতির লক্ষণ।”

আরাঘচি বলেছেন, “প্রস্তাব ও সমাধানগুলো নিজ নিজ রাজধানীতে পর্যালোচনা করা হবে ... এবং পরবর্তী দফা আলোচনার সময়সূচি সেই অনুযায়ী নির্ধারণ করা হবে।”

একজন ঊর্ধ্বতন মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আলোচনা দুই ঘন্টারও বেশি সময় ধরে চলেছিল এবং ওমান মধ্যস্থতাকারী হিসেবে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ উভয়ভাবেই ছিল।

ওই কর্মকর্তা বলেছেন, “আলোচনা গঠনমূলকভাবে চলছে - আমরা আরো অগ্রগতি করেছি, তবে এখনো কিছু কাজ বাকি আছে। উভয় পক্ষই নিকট ভবিষ্যতে আবার দেখা করতে সম্মত হয়েছে। আমরা আমাদের ওমানী অংশীদারদের কাছে তাদের অব্যাহত সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞ।”

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তেহরানের পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির সম্ভাবনা হ্রাস করতে চান। আর ইরান চায় তার তেলভিত্তিক অর্থনীতির উপর ধ্বংসাত্মক নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্তি পেতে।
 

ঢাকা/শাহেদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

বাংলাদেশ ক্রিকেটের সমস্যা কী, সমাধান কোথায়: শুনুন তামিমের মুখে

এই মুহূর্তে বাংলাদেশ ক্রিকেটে সবচেয়ে বড় সমস্যা কী? কোন বিষয়টি সবার আগে সমাধান করা উচিত?

দুটি প্রশ্নের উত্তরে অনেকেই অনেক কথাই বলবেন। বাংলাদেশ ক্রিকেটের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত কারও বিষয়টি ভালো জানার কথা। যেমন তামিম ইকবাল। প্রথম আলোর প্রধান ক্রীড়া সম্পাদক উৎপল শুভ্র তামিমের সামনে দুটি প্রশ্ন রেখেছিলেন। তামিমের উত্তর, ‘আমার কাছে মনে হয় যে আমাদের ফ্যাসিলিটিজ (অনুশীলনের পর্যাপ্ত সুযোগ–সুবিধা) নাই।’

প্রথম আলোর কার্যালয়ে উৎপল শুভ্রকে দেওয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে আড্ডার মেজাজে তামিম বাংলাদেশের ক্রিকেট নিয়ে অনেক কথাই বলেছেন। নিজের ক্যারিয়ার, ভবিষ্যৎ লক্ষ্য—এসব নিয়েও বেশ খোলামেলা কথা বলেন সাবেক এই ওপেনার।

আলাপচারিতার একপর্যায়েই বাংলাদেশ ক্রিকেটে এ মুহূর্তের সমস্যার প্রসঙ্গ উঠেছিল। অনুশীলনের পর্যাপ্ত সুযোগ–সুবিধার অভাবকে সামনে টেনে এনে তামিম বলেছেন, ‘একটা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট দলের যে ফ্যাসিলিটিজ দরকার হয় কিংবা বাংলাদেশের মতো দেশে সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলার একটি (ক্রিকেট), যে ফ্যাসিলিটিজ থাকা উচিত, তার আশপাশেও নেই। পৃথিবীর তৃতীয়, চতুর্থ ধনী বোর্ডের যে ফ্যাসিলিটিজ থাকা উচিত, আমরা এর আশপাশেও নেই।’

তামিম বিষয়টি ভালোভাবে ব্যাখ্যা করলেন, ‘ক্রিকেট দলের প্রতি ভক্তদের যে প্রত্যাশা, সেটা পূরণের জন্য যে ফ্যাসিলিটিজ দরকার, আমরা তার আশপাশেও নেই। আপনি মাঝারি মানের ক্রিকেটার হতে পারেন কিংবা মাঝারি মানের ব্যাটসম্যান হতে পারেন, সঠিক অনুশীলনের মাধ্যমে কিন্তু আপনি মাঝারি মান থেকে দুই ধাপ ওপরে উঠতে পারবেন।’

মুশফিকুর রহিম

সম্পর্কিত নিবন্ধ