Risingbd:
2025-07-12@02:04:30 GMT

এক সিনেমায় ৩০ চুম্বন

Published: 26th, May 2025 GMT

এক সিনেমায় ৩০ চুম্বন

একসময় চলচ্চিত্রে চুম্বন বা অন্তঃরঙ্গ দৃশ্য অকল্পনীয় ব্যাপার ছিল। তবে এখন এটি অনেকটাই স্বাভাবিক। সেটা হলিউড থেকে বলিউড কিংবা বাংলা সিনেমা। বলিউডে একটি সিনেমায় ৩০টি চুম্বন দৃশ্য রাখা হয়েছিল। তা-ও এক যুগ আগে। যদিও সিনেমাটি বক্স অফিসে সফলতার মুখ দেখেনি।

পরিচালক শান্তনু রায় ছিব্বার নির্মাণ করেন ‘থ্রিজি-আ কিলার কানেকশন’ সিনেমা। ২০১৩ সালের ১৫ মার্চ প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় এটি। এতে ৩০টি চুম্বন দৃশ্য রেখেছিলেন নির্মাতা। নিশ্চয়ই ভাবছেন, সিনেমাটির নায়ক ইমরান হাশমি! না, এ সিনেমার নায়ক এই সিরিয়াল কিসার ছিলেন না। বরং এতে অভিনয় করেন নীল নিতিন মুকেশ, সোনাল চৌহান।

স্যাম তার বান্ধবী শিনার সঙ্গে দেখা করতে ফিজিতে গিয়ে নিজের মুঠোফোন হারিয়ে ফেলে। ফলে খারাপ পরিস্থিতি তৈরি হয়। এরপর স্যাম একটি থ্রিজি সংযোগসহ মুঠোফোন কিনে। এরপর অপরিচিত নাম্বার থেকে তার মুঠোফোনে একের পর এক কল আসতে থাকে। এই দুই চরিত্রে অভিনয় করেন নীল নিতিন মুকেশ, সোনাল চৌহান। সেই সময়ে অন্যতম ইরোটিক থ্রিলার সিনেমা এটি। এতে ৩০টিরও বেশি চুম্বন দৃশ্য ছিল। এটি ‘মার্ডার’ সিনেমার রেকর্ডও ছাড়িয়ে গেছে, যেখানে ইমরান হাশমি, মল্লিকা শেরাওয়াতের ২০টি চুম্বন দৃশ্য ছিল।

১৩ কোটি রুপি ব্যয়ে নির্মিত হয় ‘থ্রিজি’ সিনেমা। প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির পর সিনেমাটি মুখ থুবড়ে পড়ে। এটি আয় করে ৫.

৯ কোটি রুপি। আইএমডিবির রেটিং ৩.৬। তাছাড়া দর্শক-সমালোচকদের নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দারুণ প্রভাব ফেলে। এতে ভীষণ হতাশ হয়ে পড়েছিলেন অভিনেত্রী সোনাল চৌহান। ওটিটি প্ল্যাটফর্ম জি-ফাইভ এবং ইউটিউবে সিনেমাটি এখনো দেখা যায়।

তথ্যসূত্র: বলিউড লাইফ

ঢাকা/শান্ত

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চ ম বন দ শ য

এছাড়াও পড়ুন:

পপির চাচাকে ‘জমিদার বাড়ি’ থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ

চিত্রনায়িকা পপির চাচা মিয়া বাবর হোসেনকে খুলনার সোনাডাঙ্গাস্থ জমিদার বাড়ি ‘মিয়াবাগ’ থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। পপির চাচি শিউলি বেগম ও ভগ্নিপতি তারেক আহমেদ চৌধুরী তাকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছেন বলে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।  

বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মিয়া বাবর হোসেন। তিনি বলেন, “আমার বাবা জমিদার মৃত ইসমাঈল মিয়ার ৬ ছেলে ও ৩ মেয়ের মধ্যে আমি চতুর্থ। অন্যান্য শরিকদের মতো আমিও মিয়াবাগের একজন শরিক। আমি নিঃসন্তান থাকায় বিভিন্ন সময় ঢাকায় থাকি। এই সুযোগে আমার ভাইয়ের স্ত্রী শিউলি বেগম (কবীর হোসেনের স্ত্রী) ও তার মেয়ের জামাই তারেক আহমেদ চৌধুরী (ট্রাস্ট ব্যাংকের কর্মকর্তা) আমার মায়ের রুম, ড্রয়িং রুম, গেস্ট রুমসহ বিভিন্ন রুম দখল করে আছে।”  

উদ্যত হয়ে মিয়া বাবর হোসেনের মুঠোফোন ভেঙে ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ তার। এ বিষয়ে তিনি বলেন, “গত ৪ জুলাই, বেলা ১১টায় বাড়িতে গিয়ে দেখি আমার ভাইয়ের স্ত্রী শিউলি বেগমের রুম বাদে অন্য সকল রুম তালাবদ্ধ। এ দৃশ্য দেখে আমি হতবাক হয়ে যাই। শিউলি বেগমকে তখন বলি, আমি রাতে কোথায় থাকব। সে বলে, ‘আপনি দ্বিতীয় তলায় থাকেন।’ এ ঘটনার পরের দিন (৫ জুলাই) সকাল ৮টার দিকে শিউলি বেগম এবং তার মেয়ের জামাই তারেক আহমেদ চৌধুরী আমাকে আধা ঘণ্টার মধ্যে বাসা থেকে নেমে যেতে বলে হুমকি দেয়। ওই সময় বাসা থেকে নামতে দেরি হওয়ায় তারা আমার কাছে থাকা মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে ভেঙে ফেলে এবং আমাকে মারধর করতে উদ্যত হয়।” 

আরো পড়ুন:

জেন-জিদের ভাষা বোঝার চেষ্টা করি না: কাজল

দেবশ্রীর বোন মারা গেছেন

এ ঘটনার পর খুলনার সোনাডাঙ্গা মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন মিয়া বাবর হোসেন। এ তথ্য জানিয়ে তিনি বলেন, “মানসম্মানের ভয়ে আমি অসহায় হয়ে বাসা থেকে নিচে এসে বসি। এরপর তারা আরো অজ্ঞাতনামা লোকজন ডেকে আমার ঘাড় ধরে বাসা থেকে রাস্তায় বের করে দেয়। পরবর্তীতে আমি আমার পরিচিত মান্নানের বাসায় আশ্রয় নিই। এরপর আমি আমার নিকটতম লোকজনের সাথে যোগাযোগ করে সোনাডাঙ্গা মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ করি।” 

তারেক আহমেদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলে মিয়া বাবর হোসেন বলেন, “জমিদার বাড়ির সুনাম ক্ষুণ্ন হওয়ার ভয়ে আমি এতদিন নিশ্চুপ ছিলাম। পারিবারিক বিষয়গুলো ঘরের বাইরে আনতে চাইনি। কিন্তু জামাই নামধারী ট্রাস্ট ব্যাংকের কর্মকর্তা তারেক আহমেদ চৌধুরীর অসৌজন্যমূলক আচরণ, প্রতিনিয়ত ভয়ভীতি প্রদর্শন, হুমকি-ধামকি দিয়ে পরিবেশ অস্বাভাবিক করে তুলেছে। তারেক আমাদের বাড়িতে লজিং মাস্টার থেকে লেখাপড়া করেছে। ভাইজিকে ভাগিয়ে নিয়ে বিয়ে করার পর, এখন জোরপূর্বক পুরো বাড়ি দখল করে আছে। ট্রাস্ট ব্যাংকে চাকরি করার সুবাধে প্রতিনিয়ত হুমকি দেয়।” 

মিয়া বাবর হোসেনের অভিযোগ সম্পর্কে জানতে যোগাযোগ করা হয় তারেক আহমেদ চৌধুরীর সঙ্গে। অভিযোগ অস্বীকার তিনি বলেন, “আমি দীর্ঘদিন খুলনায় যাই না। আমাকে কেন জড়ানো হলো বুঝতে পারছি না। মিয়া বাবর হোসেন ৭০ বছর আগে তার সম্পত্তি বিক্রি করে চলে গেছেন। তার আপন মামিকে ভাগিয়ে বিয়ে করার কারণে তার সঙ্গে পরিবারের যোগাযোগ ছিল না। এছাড়া জমিদার বাড়ির যে অংশটুকু তার ছিল সেটি তারই আপন ছোট ভাই চিত্রনায়িকা পপির বাবা আমির হোসেন টুলুর কাছে বিক্রি করেছেন। টুলু জীবিত থাকাকালে বিক্রিত ওই অংশটুকু তার মেয়ে খেয়ালিকে লিখে দেন।” 

মিয়া বাবর হোসেন তার ফুফুর কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি নষ্ট করেছেন। হাবিব নামে এক যুবক মিয়া বাড়ির সুনাম ক্ষুণ্ন করার জন্য এবং সম্পত্তি দখল করার জন্য কলকাঠি নাড়ছেন বলেও অভিযোগ তারেক আহমেদ চৌধুরীর। 

তবে তারেক আহমেদ চৌধুরীর অভিযোগ মিয়া বাবর হোসেনকে জানালে, এসব ‘মিথ্যা’ বলে দাবি করেন তিনি। মিয়া বাবর হোসেন বলেন, “আমার বয়স এখন ৭৩ বছর। ৭০ বছর আগে আমি তিন বছরের নাবালক ছিলাম। তখন সম্পত্তি প্রাপ্তি এবং বিক্রি করার প্রশ্নই আসে না। তারেক আহমেদ চৌধুরী মিথ্যা কথা বলেছেন।”

ঢাকা/নুরুজ্জামান/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরে ১ হাজার ৩০০-এর বেশি কর্মী ছাঁটাই
  • ২৪ ঘণ্টা পরই মুদ্রার উল্টো পিঠ দেখলেন সাকিব
  • সাগরিকার হ্যাটট্রিকে প্রথম ম্যাচেই ৯ গোলের জয়
  • সাফ অনূর্ধ্ব–২০: প্রথমার্ধেই তিন গোলে এগিয়ে বাংলাদেশ
  • লর্ডসে ব্যতিক্রমী ধৈর্য, রুটের ৯৯ রানে ভর করে লড়াইয়ে ইংল্যান্ড
  • প্রতিবেশীদের কটূক্তি সইতে না পেরে টেনিস খেলোয়াড় মেয়েকে গুলি করে মারলেন বাবা
  • জোহর বাহরুতে কলস‍্যুলেট জেনারেল স্থাপন হবে: তৌহিদ হোসেন
  • মননে প্রজ্ঞায় সৃজনে
  • মাহাথিরের দীর্ঘ ও সফল জীবনের রহস্য
  • পপির চাচাকে ‘জমিদার বাড়ি’ থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ