একসময় চলচ্চিত্রে চুম্বন বা অন্তঃরঙ্গ দৃশ্য অকল্পনীয় ব্যাপার ছিল। তবে এখন এটি অনেকটাই স্বাভাবিক। সেটা হলিউড থেকে বলিউড কিংবা বাংলা সিনেমা। বলিউডে একটি সিনেমায় ৩০টি চুম্বন দৃশ্য রাখা হয়েছিল। তা-ও এক যুগ আগে। যদিও সিনেমাটি বক্স অফিসে সফলতার মুখ দেখেনি।
পরিচালক শান্তনু রায় ছিব্বার নির্মাণ করেন ‘থ্রিজি-আ কিলার কানেকশন’ সিনেমা। ২০১৩ সালের ১৫ মার্চ প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় এটি। এতে ৩০টি চুম্বন দৃশ্য রেখেছিলেন নির্মাতা। নিশ্চয়ই ভাবছেন, সিনেমাটির নায়ক ইমরান হাশমি! না, এ সিনেমার নায়ক এই সিরিয়াল কিসার ছিলেন না। বরং এতে অভিনয় করেন নীল নিতিন মুকেশ, সোনাল চৌহান।
স্যাম তার বান্ধবী শিনার সঙ্গে দেখা করতে ফিজিতে গিয়ে নিজের মুঠোফোন হারিয়ে ফেলে। ফলে খারাপ পরিস্থিতি তৈরি হয়। এরপর স্যাম একটি থ্রিজি সংযোগসহ মুঠোফোন কিনে। এরপর অপরিচিত নাম্বার থেকে তার মুঠোফোনে একের পর এক কল আসতে থাকে। এই দুই চরিত্রে অভিনয় করেন নীল নিতিন মুকেশ, সোনাল চৌহান। সেই সময়ে অন্যতম ইরোটিক থ্রিলার সিনেমা এটি। এতে ৩০টিরও বেশি চুম্বন দৃশ্য ছিল। এটি ‘মার্ডার’ সিনেমার রেকর্ডও ছাড়িয়ে গেছে, যেখানে ইমরান হাশমি, মল্লিকা শেরাওয়াতের ২০টি চুম্বন দৃশ্য ছিল।
১৩ কোটি রুপি ব্যয়ে নির্মিত হয় ‘থ্রিজি’ সিনেমা। প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির পর সিনেমাটি মুখ থুবড়ে পড়ে। এটি আয় করে ৫.
তথ্যসূত্র: বলিউড লাইফ
ঢাকা/শান্ত
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চ ম বন দ শ য
এছাড়াও পড়ুন:
রোহিতের পর কোহলির রেকর্ডও কাড়লেন বাবর, পাকিস্তানের সিরিজ জয়
আগের দিন রোহিত শর্মার রেকর্ড ভেঙেছিলেন বাবর আজম। লাহোরে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে অপরাজিত ১১ রানের ইনিংস খেলেই ভারতের সাবেক অধিনায়ককে টপকে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশি রানের রেকর্ড গড়েছিলেন বাবর। পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক আজ তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে ৬৮ রানের ইনিংস খেলে কেড়েছেন আরেক ভারতীয় কিংবদন্তি বিরাট কোহলির রেকর্ড। ২০ ওভারের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাবরের এটি ৪০তম ৫০ ছোঁয়া ইনিংস। ৩৯টি পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংস খেলে এত দিন বাবরের সঙ্গে রেকর্ডটির যৌথ মালিক ছিলেন কোহলি।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ১৩ ইনিংস পর ফিফটি পাওয়া বাবরের ইনিংসে ভর করেই লাহোরে তৃতীয় টি-টোয়েন্টিটা ৪ উইকেট জিতেছে পাকিস্তান। তাতে তিন ম্যাচের সিরিজটা পাকিস্তান জিতল ২-১ ব্যবধানে। প্রথম ম্যাচ হারার পর ঘুরে দাঁড়িয়েই সিরিজ জিতল পাকিস্তান।
টসে হেরে ব্যাটিং পাওয়া দক্ষিণ আফ্রিকা পুরো ২০ ওভার খেলে ৯ উইকেটে করে ১৩৯ রান। রানটা ৬ বল হাতে রেখেই পেরিয়ে গেছে পাকিস্তান।
রান তাড়ায় ইনিংসের ১১তম বলে ৮ রানে প্রথম উইকেট হারায় পাকিস্তান। বাবর ব্যাটিংয়ে নামেন এরপরই। দ্বিতীয় উইকেটে সাহিবজাদা ফারহানকে নিয়ে ৩৬ রান জুটি গড়া বাবর তৃতীয় উইকেটে সালমান আগাকে নিয়ে ৫২ বলে যোগ করেন আরও ৭৬ রান। ২৬ বলে ৩৩ রান করে পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান যখন ফেরেন ২৭ বলে ২০ রান দরকার পাকিস্তানের।
৫ রান যোগ হওয়ার পর চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে বিদায় নেন বাবর ৪৭ বলে ৯ চারে ৬৮ রান করা বাবর ডিপ ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। এরপর ১৫ রানের প্রয়োজন মেটাতে গিয়ে আরও ২ উইকেট হারিয়ে জয়ের অপেক্ষা একটু লম্বা করেছে পাকিস্তান।
এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসে ৩৬ বলে সর্বোচ্চ ৩৪ রান করেন ওপেনার রিজা হেনড্রিকস। এ ছাড়া অধিনায়ক ডোনোভান ফেরেইরা ১৪ বলে ২৯ ও অলরাউন্ডার করবিন বশ ২৩ বলে করেন ৩০ রান। পাকিস্তানি পেসার শাহিন আফ্রিদি ২৬ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট।
দুই দল এরপর তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলবে। সিরিজের প্রথম ম্যাচ মঙ্গলবার ফয়সালাবাদে।
সংক্ষিপ্ত স্কোরদক্ষিণ আফ্রিকা: ২০ ওভারে ১৩৯/৯ (হেনড্রিকস ৩৪, বশ ৩০*, ফেরেইরা ২৯, ব্রেভিস ২১; আফ্রিদি ৩/২৬, তারিক ২/২৬, ফাহিম ২/২৮)।পাকিস্তান: ১৯ ওভারে ১৪০/৬ (বাবর ৬৮, সালমান ৩৩, ফারহান ১৯; বশ ২/২৪, উইলিয়ামস ২/২৬)।
ফল: পাকিস্তান ৪ উইকেটে জয়ী।
সিরিজ: ৩-ম্যাচ সিরিজে পাকিস্তান ২-১ ব্যবধানে জয়ী।