বিপিএলের ১১তম আসরে অংশ নেওয়া দেশি-বিদেশি ক্রিকেটার ও কোচিং স্টাফের অনেকেই চুক্তির অর্থ বুঝে পাননি। আসরের রানার্স আপ চিটাগং কিংস ও গ্রুপ পর্বে বিদায় নেওয়া দুর্বার রাজশাহীর বকেয়া অনেক বেশি। টুকটাক অর্থ বকেয়া আছে খুলনা টাইগার্স, সিলেট স্ট্রাইকার্স ও ঢাকা ক্যাপিটালসের।

বারবার বিসিবি নোটিশ দিলেও এসব বকেয়া পরিশোধ না করায় বিসিবি ফ্র্যাঞ্জাইজির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছে। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিসিবি জানিয়েছে, বিসিবি বিপিএলের লভ্যাংশ দেবে। তবে বারবার নোটিশ দেওয়া সত্বেও যেসব ফ্র্যাঞ্জাইজি বিপিএলে বকেয়া পরিশোধ করেনি তাদের বিরুদ্ধে বিপিএলের গর্ভনিং কাউন্সিল আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

সোমবার বিপিএলের গর্ভনিং কাউন্সিলের সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। বিপিএল চলাকালীন বিসিবি জানিয়েছিল, টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়া ফ্র্যাঞ্জাইজিকে টিকিট বিক্রির লভ্যাংশ দেওয়া হবে। গর্ভনিং কাউন্সিলের সভায় তা চূড়ান্ত অনুমোদন পেয়েছে। বিসিবি টুর্নামেন্টের প্লে অফে খেলা চার দলকে ৫৫ লাখ ও গ্রুপ পর্বে বাদ পড়া তিন দলকে ৪৫ লাখ টাকা লভ্যাংশ দেবে।

তবে বিসিবির শর্ত হলো, দেশি ও বিদেশি খেলোয়াড় এবং কোচিং স্টাফের বকেয়া পারিশ্রমিক ঈদুল আজহার আগে শোধ করতে হবে। কোন দল কত শতাংশ পারিশ্রমিক দিয়েছে, তার ওপর ভিত্তি করে লভ্যাংশের অর্থ দেওয়া হবে। বকেয়া পাওনা না দিলে লভ্যাংশ দেবে না বিসিবি বরং আইনি ব্যবস্থা নেবে। পারিশ্রমিক বকেয়ার ওপর লভ্যাংশ প্রাপ্তিও কম-বেশি হবে।

বিসিবি জানিয়েছে, তারা বিপিএলের চুক্তির জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে চায় এবং লিগের সততার প্রশ্নে আপোষহীন থাকতে চায়।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব প এল ব প এল র

এছাড়াও পড়ুন:

পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন

চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।

লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্‌যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।

চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।

লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।

প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।

লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।

লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’

তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্‌যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?

সম্পর্কিত নিবন্ধ