কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার শশীদল ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য নুরুল ইসলামের বাড়ির ছাদ ও আঙিনার বাঁশঝাড় থেকে ১০০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করেছে পুলিশ। 

পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ওই ইউপি সদস্য পালিয়ে গেলেও কাউছার (৩০) নামে এক গাঁজা বহনকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় ব্রাহ্মণপাড়া থানায় মাদক আইনে মামলা হয়েছে।

আরো পড়ুন:

উখিয়ায় বিজিবির পৃথক অভিযানে ৭০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার

লালন মেলায় মাদক কারবারিদের মারধরে সাংবাদিক আহত

সোমবার (২০ অক্টোবর) গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে এসব গাঁজা উদ্ধার করে পুলিশ।

গ্রেপ্তার কাউছার শশীদল ইউনিয়ন উত্তর পাড়া এলাকার বাসিন্দা।

ব্রাহ্মণপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সাজেদুল ইসলাম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে শশীদল ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে সদস্য ও শশীদল উত্তর পাড়া এলাকার বাসিন্দা নুরুল ইসলামের বাড়ির ছাদ ও পুকুরের পাড় থেকে ১০০ কেজি গাঁজাসহ কাউছার নামে এক মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

ব্রাহ্মণপাড়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মেহেদী হাসান জুয়েল বলেন, “গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা মেম্বার নুরুল ইসলামের বাড়ির আশেপাশে যাই। এ সময় পাশে একটি বাঁশঝাড় থেকে কাউসারসহ কিছু গাজা আটক করি। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে সেখান থেকেই মেম্বারের বাড়ির ছাদে গিয়ে ছড়ানো ছিটানো অবস্থায় ৬০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। কাউসার জানায় এসব গাঁজা ছাদে শুকানো হচ্ছিল।”

তিনি আরো বলেন, “অভিযানের সময় ইউপি সদস্য নুরুল ইসলাম ও তার ছেলে ডালিম পালিয়ে গেছে। তাদের বিরুদ্ধে মাদকের মামলা আছে কি না সেগুলো খুঁজে দেখা হচ্ছে। অভিযানে মোট ১০০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছে।”

ঢাকা/রুবেল/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ন র ল ইসল ম ব র হ মণপ সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

দেশেই সম্ভব গ্লুকোমার আধুনিক চিকিৎসা, বিস্তারিত জানুন

ডায়োড লেজার সাইক্লোফোটোকোঅ্যাগুলেশন কী

এটি একটি আধুনিক, নিরাপদ ও স্বল্প সময়ের লেজার চিকিৎসা। এ পদ্ধতিতে চোখের সিলিয়ারি বডির ওপর লেজারের মাইক্রোপালস প্রয়োগ করে অতিরিক্ত তরল উৎপাদন বন্ধ করা হয়। ফলে চোখের ভেতরের চাপ কমে, ব্যথা উপশম হয় ও চোখের কার্যকারিতা বজায় থাকে।

এর সুবিধা

কাটাছেঁড়ার দরকার পড়ে না।

১০-১৫ মিনিটের বেশি সময় লাগে না।

রোগী দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠেন।

ব্যথাহীন ও নিরাপদ একটি পদ্ধতি।

দরকার পড়লে আবার করা যায়।

আরও পড়ুনকেন আমরা চোখ ঘষি, এতে চোখের কি কোনো ক্ষতি হয়?১৫ নভেম্বর ২০২৫কারা এই চিকিৎসা নিতে পারবেন

মাঝারি থেকে গুরুতর গ্লুকোমা রোগী।

দীর্ঘদিন ওষুধ বা ড্রপ ব্যবহার করেও যাঁদের চোখের চাপ কমছে না।

যাঁদের আগে একাধিক অস্ত্রোপচার ব্যর্থ হয়েছে।

যাঁরা তীব্র চোখের ব্যথায় ভুগছেন।

যাঁদের দৃষ্টিশক্তি অনেকটাই কমে গেছে, কিন্তু ব্যথা দূর করা জরুরি।

আরও পড়ুনবয়স ৩০ পেরোতেই চোখ বসে যাচ্ছে? দেখুন তো এসব কারণে কি না১৯ জুলাই ২০২৫সতর্কতা

গ্লুকোমা নীরবে দৃষ্টিশক্তি কেড়ে নেয়। গ্লুকোমা হলে সাধারণ চোখের সমস্যা ভেবে বসে থাকবেন না। যদি চোখে চাপ, ব্যথা, ঝাপসা দেখা, আলোতে কষ্ট হয় বা পরিবারের কারও গ্লুকোমার ইতিহাস থাকে, তাহলে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

অধ্যাপক ডা. ইফতেখার মো. মুনির, গ্লুকোমা বিশেষজ্ঞ, বাংলাদেশ আই হসপিটাল, মালিবাগ, ঢাকা

আরও পড়ুনরাত জাগি না, তবুও দুই চোখের চারদিকের ত্বক শুষ্ক হয়ে আসছে কেন১৬ অক্টোবর ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ