বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, “সারা বাংলাদেশের মানুষ এবার দাঁড়িপাল্লায় ভোট দিতে প্রস্তুত আছে। নতুন বাংলাদেশে যে ঢেউ শুরু হয়েছে, তা সারাদেশে পৌছে দিতে হবে। জামায়াত ইসলামী গুম, খুন, লুটপাট ও দুর্নীতি মুক্ত একটি মানবিক বাংলাদেশ গড়তে চায়।”

সোমবার (২০ অক্টোবর) সাতক্ষীরার তালায় অনুষ্ঠিত ছাত্র-যুব সমাবেশের প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

আরো পড়ুন:

বিভ্রান্তিকর বক্তব্য নাহিদের কাছ থে‌কে জাতি আশা করে না: জামায়াত

দয়া করে নিজেদের দায়িত্বের প্রতি সুবিচার করুন

কোন উস্কানিতে উত্তেজিত না হয়ে তালা-কলারোয়ার মানুষকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়ে অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, “কোনো উস্কানির ফাঁদে পা দেবেন না। একটি পক্ষ আমাদের গণ জোয়ার রুখে দিতে ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে। জামায়াত ঘের দখল করে না, জমি দখল করে না, বালু উত্তোলন করে না।”

তিনি বলেন, “জামায়াত ক্ষমতায় গেলে দেশে বেকার থাকবে না। দুর্নীতি থাকবে না, লুটপাট থাকবে না। তাই এবার সবাইকে দাঁড়িপাল্লায় ভোট দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।”

তালা উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা মফিদুল্লার সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ ইজ্জত উল্লাহ, খুলনা অঞ্চলের সহকারী পরিচালক মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক, জেলা জামায়াতের আমীর শহীদুল ইসলাম মুকুল।

আরো উপস্থিত ছিলেন, ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি নূরুল ইসলাম সাদ্দাম, জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা আজিজুর রহমান, সহকারি সেক্রেটারি অধ্যাপক সুজায়েত আলী, সাতক্ষীরা শহর শিবিরের সভাপতি আল মামুন, জেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি জুবায়ের হোসেন প্রমুখ।

ঢাকা/শাহীন/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

জুলাই সনদে সইয়ের পরও কেন কর্মসূচি, ব্যাখ্যা দিলেন জামায়াত সেক্রেটারি

প্রায় অভিন্ন দাবিতে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা জামায়াতে ইসলামী ও সমমনা দলগুলো কেন জুলাই জাতীয় সনদে সই করার পরও রাজপথে কর্মসূচি দিয়েছে, সে ব্যাখ্যা দিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার।

সেক্রেটারি জেনারেল বলেছেন, জামায়াতসহ সমমনা দলগুলো জুলাই জাতীয় সনদে স্বাক্ষর করেছে। জুলাই সনদে যেসব সংস্কার প্রস্তাবে দলগুলো একমত হয়েছে, সনদে স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে সেসব সংস্কার প্রস্তাবের ব্যাপারে একমত পোষণ করা হয়েছে। তবে এখনো জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি এবং এ সনদকে আইনি ভিত্তি দিতে গণভোট আয়োজনের কাজ বাকি রয়ে গেছে। জুলাই সনদেও বাস্তবায়ন আদেশ ও গণভোট কখন হবে, সে তথ্য উল্লেখ নেই। এ জন্য জুলাই সনদে স্বাক্ষরের পরও মাঠের কর্মসূচি দিয়েছে সমমনা দলগুলো।

আজ রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে এক সংবাদ সম্মেলনে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল গোলাম পরওয়ার এ কথা বলেন। জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি ও এর ভিত্তিতে আগামী নভেম্বর মাসের মধ্যেই গণভোট আয়োজনসহ পাঁচ দাবিতে এ সংবাদ সম্মেলন করে জামায়াত ও সমমনা সাতটি রাজনৈতিক দল।

এর আগে প্রায় অভিন্ন দাবিতে জামায়াতসহ সাতটি দল সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে দুই দফা কর্মসূচি পালন করে। বাকি দলগুলো হলো ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন ও জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা)। এবার তাদের সঙ্গে যুক্ত হলো বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি।

জাতীয় নির্বাচনের কোনো ভোটকেন্দ্রে ছোটখাটো দুর্ঘটনা, হানাহানি, মারামারির ফলে ভোট বন্ধের ঘটনা ঘটলে গণভোটের কেন্দ্রের কী দশা হবে, সেটি এখনো স্পষ্ট নয়।মিয়া গোলাম পরওয়ার, সেক্রেটারি জেনারেল, জামায়াতে ইসলামী

১৭ অক্টোবর প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের উপস্থিতিতে জুলাই সনদে সই করে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীসহ ২৪টি রাজনৈতিক দল। এরপর গণফোরামও আজ সনদে সই করেছে। জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও চারটি বাম দল এ সনদে সই করেনি।

সংবাদ সম্মেলনে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল গোলাম পরওয়ার বলেন, কেউ কেউ একই দিনে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোটের প্রস্তাব দিয়েছে। এতে অনেক জটিলতা থাকায় জামায়াতসহ সমমনা দলগুলো দ্বিমত জানিয়েছে। একই দিনে দুটি ভোট হলে অল্প সময়ের মধ্যে একজন ভোটারকে জাতীয় নির্বাচনের প্রতীকের মধ্যে ভোট দিতে হবে আবার গণভোটের হ্যাঁ-না ভোটও দিতে হবে। ফলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সবার ভোট গ্রহণ করা যাবে না। অনেক ভোটার ভোট দেওয়ার বাইরেও থেকে যেতে পারেন।

বিএনপি আগামী ফেব্রুয়ারিতে একই দিনে গণভোট ও সংসদ নির্বাচনের দাবি জানালেও জামায়াত তার বিরোধিতা করে নভেম্বরে গণভোটের দাবি তুলেছে।

নিজেদের দাবির পক্ষে যুক্তি দেখিয়ে গোলাম পরওয়ার আরও বলেন, জাতীয় নির্বাচনের কোনো ভোটকেন্দ্রে ছোটখাটো দুর্ঘটনা, হানাহানি, মারামারির ফলে ভোট বন্ধের ঘটনা ঘটলে গণভোটের কেন্দ্রের কী দশা হবে, সেটি এখনো স্পষ্ট নয়। এ জন্য একই দিনে দুটি ভোট হলে জাতি ধূম্রজালের মধ্যে পড়বে। সে জন্য একই দিনে গণভোট করা যাবে না।

সংবাদ সম্মেলন থেকে ২০ অক্টোবর রাজধানীতে, ২৫ অক্টোবর বিভাগীয় শহরে এবং ২৭ অক্টোবর জেলা শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের কর্মসূচি দেওয়া হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জামায়াত ক্ষমতায় গেলে দেশে বেকার থাকবে না: গোলাম পরওয়ার
  • জুলাই সনদে সইয়ের পরও কেন কর্মসূচি, ব্যাখ্যা দিলেন জামায়াত সেক্রেটারি