সাতক্ষীরার কুশখালী সীমান্তে ২৩ জনকে পুশ ইন
Published: 27th, May 2025 GMT
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কুশখালী সীমান্ত দিয়ে ২৩ জন বাংলাভাষীকে বাংলাদেশে পুশ ইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।
সোমবার (২৬ মে) রাতের কোন এক সময়ে তাদেরকে পুশইন করা হয়।
বিজিবি কুশখালী বিওপি কমান্ডার সুবেদার মেজবাহউদ্দীন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, “পরে তাদেরকে আটক করেছে বিজিবি। বর্তমানে তারা ৩৩ বিজিবি হেফাজতে রয়েছে। তবে, তাদের নাগরিকত্ব ও পরিচয় সম্পর্কে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।”
বিজিবি জানায়, কুশখালী সীমান্ত দিয়ে পুশ ইন করা ২৩ জনকে আটক করেছে বিজিবি। তাদের সাতক্ষীরা ৩৩ ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তরে পাঠানো হয়। সেখানে আটক ব্যক্তিদের নাগরিকত্ব ও পরিচয় সম্পর্কে যাচাই-বাছাই চলছে।
সাতক্ষীরা ৩৩ ব্যাটালিয়ন সূত্র জানা গেছে, এ বিষয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে পরবর্তীতে বিস্তারিত জানানো হবে।
ঢাকা/শাহীন/এস
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
নোবেলজয়ী নার্গিস মোহাম্মদিকে ইরানের প্রাণনাশের হুমকি: নোবেল কমিটি
নোবেলজয়ী ইরানের মানবাধিকারকর্মী নার্গিস মোহাম্মদি তেহরান থেকে প্রাণনাশের হুমকি পেয়েছেন বলে জানিয়েছে নোবেল কমিটি। গতকাল শুক্রবার এক বিবৃতিতে নোবেল কমিটি এ কথা জানায়।
নারী ও মানবাধিকারের পক্ষে লড়াইয়ের কারণে ২০২৩ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পান নার্গিস মোহাম্মদি। গত ডিসেম্বরে চিকিৎসাজনিত কারণে তাঁকে তেহরানের এভিন কারাগার থেকে সাময়িক মুক্তি দেওয়া হয়। তবে তাঁর আইনজীবীরা বারবার আশঙ্কা প্রকাশ করে আসছেন, যেকোনো সময় তাঁকে আবারও গ্রেপ্তার করা হতে পারে।
নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটির এক বিবৃতিতে বলা হয়, ইরানি সরকারপন্থি এজেন্টরা পরোক্ষভাবে এবং তার আইনজীবীদের মাধ্যমে মোহাম্মদিকে হুমকি দিয়েছে। যদি তিনি ইরানের অভ্যন্তরে ও আন্তর্জাতিকভাবে গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার পক্ষে প্রকাশ্য কার্যক্রম চালিয়ে যেতে থাকেন, তাহলে তার নিরাপত্তা চরম হুমকির মুখে পড়বে।
কমিটির চেয়ারম্যান ইয়োরগেন ওয়াটনে ফ্রাইডন বলেন, এই হুমকি আমাদের আতঙ্কিত করেছে। আমরা কেবল নার্গিস মোহাম্মদিই নন, বরং ইরানে যেকোনো ভিন্নমতাবলম্বী নাগরিকের নিরাপত্তা নিয়েই উদ্বিগ্ন।
এ বিষয়ে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এখনো কোনো মন্তব্য করেনি।
প্রসঙ্গত, ইরানে নারীদের ওপর নিপীড়নের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্যই নার্গিস মোহাম্মদিকে মূলত নোবেল শান্তি পুরস্কার দেওয়া হয়। পুরস্কার গ্রহণের সময় তিনি কারাগারে থাকায় সন্তানেরা তার পক্ষে পুরস্কার গ্রহণ করেন।