বিটআমরা অনেকেই অভ্যাসবশত বা অস্বস্তিবোধ করলে অজান্তেই চোখ ঘষি। হয়তো ঘুম থেকে ওঠার পর বা কম্পিউটারে দীর্ঘক্ষণ কাজ করার পরে ক্লান্তি দূর করতে সামান্য চোখ ঘষি। আপাতদৃষ্টিতে এটি একটি নিরীহ অভ্যাস মনে হলেও, চোখের মতো সংবেদনশীল অঙ্গের জন্য এই অভ্যাস মারাত্মক ঝুঁকি বয়ে আনতে পারে।

চোখ ঘষার কারণ

শুষ্কতা ও ক্লান্তি: দীর্ঘ স্ক্রিন টাইম বা পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে চোখ শুষ্ক ও ক্লান্ত হয়ে পড়লে মস্তিষ্ক ঘষার মাধ্যমে আরাম খোঁজে।

অ্যালার্জি: ধুলা, ফুলের পরাগ বা অন্য কোনো অ্যালার্জেনের কারণে চোখে চুলকানি শুরু হলে আমরা অজান্তেই চোখ ঘষি।

স্বস্তি: চোখ ঘষার সময় স্নায়ুগুলো উদ্দীপ্ত হয় এবং ভেগাস নার্ভ সক্রিয় হয়ে হৃৎস্পন্দন সামান্য হ্রাস করে, যা সাময়িক আরাম বা স্বস্তি এনে দেয়।

কেন এটি ক্ষতিকর

চোখ ঘষার অভ্যাস দীর্ঘ মেয়াদে চোখের জন্য মারাত্মক হতে পারে:
১.

সংক্রমণের ঝুঁকি: হাত হলো জীবাণুর আস্তানা। চোখ ঘষার সময় হাতের মাধ্যমে ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাস সরাসরি চোখে প্রবেশ করে, যা কনজাংটিভাইটিস (চোখ ওঠা) বা অন্যান্য সংক্রমণের কারণ হতে পারে।

অ্যালার্জেনের কারণে চোখে চুলকানি শুরু হলে আমরা অজান্তেই চোখ ঘষি

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

রাজশাহীতে দুর্ঘটনায় কলেজছাত্রের মৃত্যু, ট্রাকে আগুন

রাজশাহীতে ট্রাকের চাপায় মোটরসাইকেল আরোহী এক কলেজছাত্র নিহত হয়েছে। তার নাম নাইম ইসলাম (২৩)। তিনি রাজশাহী কলেজের অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। দুর্ঘটনায় রোহান ইসলাম (২২) আহত হয়েছে। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

শনিবার (১৫ নভেম্বর) বিকেলে নগরের চৌদ্দপাই বিহাস মোড়ে রাজশাহী-নাটোর মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত নাইম নগরের মাসকাটাদিঘী এলাকার মো. সাধুর ছেলে।  আহত রোহান একই এলাকার সাইফুল ইসলামের ছেলে। দুর্ঘটনার পর বিক্ষুব্ধ জনতা ট্রাকটিতে আগুন দিয়েছে।

আরো পড়ুন:

সিলেটে বাস-প্রাইভেটকার সংঘর্ষ, বাবা-মেয়ে নিহত

চট্টগ্রামে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে গেল পুলিশবাহী বাস, আহত ২০

স্থানীয়রা জানায়, নগরের বিমানচত্বর এলাকায় আইটি সেন্টরে অনলাইনে কাজ করত নাইম। কাজের জন্য তারা মোটরসাইকেল যোগে বাড়ি থেকে রওনা হয়। পথে চৌদ্দপাইয়ের বিহাস মোড়ে পৌঁছালে ট্রাক মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়। এতে তারা ছিটকে পড়ে। এরপর ওই ট্রাকের চাকার নিচে চাপা পড়ে নাইম।

মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মালেক জানান, দুর্ঘটনায় হতাহতের পর ক্ষুব্ধ জনতা ট্রাকটিতে আগুন দেয়। ট্রাকটি পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষ করে নাইমের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

ঢাকা/কেয়া/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ