বিনা মূল্যে ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণের সুযোগ, ৪৮ জেলা থেকে আবেদন করা যাবে
Published: 27th, May 2025 GMT
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অধীনে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের বিনা মূল্যে তিন মাসের ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ কোর্সের তৃতীয় ব্যাচের জন্য দেশের ৪৮টি জেলার কর্মপ্রত্যাশী যুব নারী–পুরুষের অনলাইনে আবেদন দাখিলের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এতে ভর্তি হতে কোনো ফি লাগবে না। দিনে ২০০ টাকা করে ভাতা মিলবে। প্রশিক্ষণটি পরিচালনা করছে ই-লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং লিমিটেড প্রতিষ্ঠান।
প্রশিক্ষণের বিস্তারিতপ্রশিক্ষণের মেয়াদ তিন মাস। ১ জুলাই শুরু হয়ে শেষ হবে ৩০ সেপ্টেম্বর। সপ্তাহে ৬ দিন ক্লাস হবে। প্রতিদিন ৮ ঘণ্টা করে ক্লাস করতে হবে। মোট ৭৫টি ক্লাসের জন্য সময় লাগবে ৬০০ ঘণ্টা। কোর্সটি সম্পূর্ণ অফলাইন বা সরাসরি ক্লাসের মাধ্যমে সম্পন্ন হবে।
আরও পড়ুনফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ নিয়ে আয়ের সুযোগ১৪ মার্চ ২০২৫যোগ্যতা যা লাগবেআবেদনকারীকে এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। বয়স হতে হবে ১৮ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে। অনলাইনে লিংকে আবেদন করা যাবে।
যেসব সুবিধা মিলবেপ্রশিক্ষণে অংশ নেওয়ার জন্য কোনো ফি দিতে হবে না। প্রশিক্ষণার্থীরা প্রতিদিন ২০০ টাকা যাতায়াত ভাতা পাবেন। সকালের নাশতা, দুপুরের খাবার ও বিকেলের নাশতা দেওয়া হবে। প্রশিক্ষণ শেষে উত্তীর্ণ প্রশিক্ষণার্থীদের সনদপত্র দেওয়া হবে।
যেসব জেলা থেকে আবেদনজেলাগুলো হলো ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, নরসিংদী, মুন্সিগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, টাঙ্গাইল, ফরিদপুর। ময়মনসিংহ বিভাগের ময়মনসিংহ জামালপুর, নেত্রকোনা। চট্টগ্রাম বিভাগের চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি, নোয়াখালী, ফেনী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া। রাজশাহী বিভাগের চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ, নাটোর, বগুড়া, জয়পুরহাট, পাবনা, সিরাজগঞ্জ। খুলনা বিভাগের খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, যশোর, ঝিনাইদহ, মাগুরা, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, কুষ্টিয়া। রংপুর বিভাগের রংপুর, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, গাইবান্ধা, নীলফামারী, দিনাজপুর, পঞ্চগড়। বরিশাল বিভাগের বরিশাল, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, পটুয়াখালী, বরগুনা। সিলেট বিভাগের হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজার।
আরও পড়ুনফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণে ৪৮ জেলার প্রার্থীদের পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা, এসএমএসে বিস্তারিত জানবেন আবেদনকারীরা২৫ ডিসেম্বর ২০২৪প্রশিক্ষণার্থীদের জন্যসফলভাবে আবেদন দাখিলের পর অনলাইনে পরীক্ষার প্রবেশপত্র বা অ্যাডমিট কার্ড ডাউনলোড করতে হবে। পরীক্ষার সময় সব পরীক্ষার্থীদের আবেদনের সময় পাওয়া অ্যাডমিট কার্ড বা প্রবেশপত্র সঙ্গে আনতে হবে। নির্ধারিত তারিখ ও সময়ের পর আবেদনের লিংক স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যাবে এবং আবেদন করার কোনো সুযোগ থাকবে না। প্রশিক্ষণার্থীদের লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে প্রশিক্ষণার্থী ভর্তির ব্যবস্থা করা হবে।
ভর্তির বিস্তারিত তথ্যঅনলাইনে আবেদনের শেষ তারিখ ১২ জুন রাত ১১টা ৫৯ মিনিট। লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ১৭ জুন। লিখিত পরীক্ষার স্থান ও সময় এসএমএসের মাধ্যমে জানানো হবে। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ১৯ জুন। চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত প্রার্থীদের তালিকা ২৩ জুন প্রকাশ করা হবে।
বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে
আরও পড়ুনএবার ৪৮ জেলায় ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ দেবে সরকার, দৈনিক ২০০ টাকা ভাতার সঙ্গে নানা সুযোগ১২ ডিসেম্বর ২০২৪.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
১০টির বেশি সিম থাকলে এসএমএস-বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বন্ধ হবে ধাপে ধাপে
সরকারের নতুন নিয়ম হলো, জাতীয় পরিচয়পত্রের বিপরীতে সর্বোচ্চ ১০টি নিবন্ধিত সিম ব্যবহার করা যাবে। যাঁদের কাছে ১০টির বেশি নিবন্ধিত সিম আছে, তাঁদের অতিরিক্ত সিম ধাপে ধাপে বন্ধ করে দেওয়া হবে।
তবে তার আগে নিজের অপ্রয়োজনীয় সিমের নিবন্ধন বাতিল করার সুযোগ পাবেন ব্যবহারকারীরা। পুরো প্রক্রিয়া আগামী নভেম্বরের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) গত মে মাসে একজন ব্যবহারকারীর সিমের সংখ্যা কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেয়। জাতীয় নিরাপত্তা, অপারেটরদের অসুস্থ প্রতিযোগিতা এবং আন্তর্জাতিক অনুশীলন চর্চা বিবেচনায় নিয়ে একজনের জাতীয় পরিচয়পত্রের বিপরীতে সিমের সংখ্যা সর্বোচ্চ ১০টি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিটিআরসির এ সিদ্ধান্তকে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ অনুমোদন দিয়েছে। বিটিআরসির ২৯৬তম কমিশন সভায় সিমের সংখ্যা কমিয়ে আনার পুরো প্রক্রিয়া তুলে ধরা হয়। সংস্থাটি বলছে, সর্বোচ্চ ১০টি সিম নিবন্ধনের সুযোগ বেঁধে দিলে ২৬ লাখ ব্যবহারকারীর ৬৭ লাখ সিম বন্ধ হয়ে যাবে।
বিটিআরসির তথ্য অনুযায়ী, দেশে নিবন্ধিত প্রকৃত সিম ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৬ কোটি ৭৫ লাখ ৯২ হাজার ৭৪৫। এর মধ্যে ৮০ দশমিক ৩২ শতাংশ ব্যবহারকারীর নামে ৫টি বা তার কম সিম রয়েছে। ৬ থেকে ১০টি সিম রয়েছে ১৬ দশমিক ২৩ শতাংশ ব্যবহারকারীর কাছে। ১১ থেকে ১৫টি সিম ব্যবহারকারী মাত্র ৩ দশমিক ৪৫ শতাংশ।
বিটিআরসির এ সিদ্ধান্তকে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ অনুমোদন দিয়েছে। বিটিআরসির ২৯৬তম কমিশন সভায় সিমের সংখ্যা কমিয়ে আনার পুরো প্রক্রিয়া তুলে ধরা হয়। সংস্থাটি বলছে, সর্বোচ্চ ১০টি সিম নিবন্ধনের সুযোগ বেঁধে দিলে ২৬ লাখ ব্যবহারকারীর ৬৭ লাখ সিম বন্ধ হয়ে যাবে।বিটিআরসি শুরুতে জানিয়েছিল, ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে মোবাইল অপারেটরদের এ–সংক্রান্ত নির্দেশনা জানিয়ে দেওয়া হবে। তবে মোবাইল অপারেটররা জানায়, তারা এখনো কোনো নির্দেশনা পায়নি।
যেসব ব্যবহারকারীর নামে ১০টির বেশি সিম রয়েছে, শুরুতে তাঁদের নামের তালিকা করা হবে। এ কাজ করবে বিটিআরসির নিয়োগ করা সেন্ট্রাল বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশন মনিটরিং প্ল্যাটফর্মের ভেন্ডর প্রতিষ্ঠান। পরে এসব ব্যবহারকারীর নিবন্ধিত সিমের নম্বরগুলো নিজ নিজ অপারেটরকে জানিয়ে দেওয়া হবে।
অপারেটররা এ তালিকা অনুযায়ী গ্রাহকের সঙ্গে যোগাযোগ করবে। তাঁর নামে নিবন্ধিত সিম ১০টিতে নামিয়ে আনার বিষয়ে অনুরোধ জানাবে। সংশ্লিষ্ট ব্যবহারকারীকে অপারেটররা প্রতি সপ্তাহে অন্তত একটি করে এসএমএস দিয়ে সিমের সংখ্যা কমিয়ে আনার বিষয়ে অনুরোধ জানাবে।
পাশাপাশি অপারেটররা তাদের ওয়েবসাইটে এ বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ ও প্রচার করবে। এ ছাড়া বিটিআরসির পক্ষ থেকে বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক বা অনলাইন সংবাদমাধ্যমে এ বিষয়ে গ্রাহকদের অবহিত করা হবে।
১০টির বেশি নিবন্ধিত সিম থাকা ব্যবহারকারীদের তালিকা অপারেটররা নিজেদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করবে। এ বিষয়ে বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করা হবে।
ব্যবহারকারীরা *১৬০০১# নম্বরে ডায়াল করে তাঁদের জাতীয় পরিচয়পত্রের বিপরীতে কতটি সিম নিবন্ধিত আছে, সেটার সংখ্যা ও নম্বর জানতে পারবেন। অতিরিক্ত সিম থাকলে তা ‘ট্রান্সফার অব ওনারশিপ’ করতে পারবেন।
এ ধাপের কার্যক্রম ১৫ অক্টোবরের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা শুরুতে জানানো হয়েছিল। অবশ্য বিটিআরসির সূত্র জানায়, এ সময়সীমা ১৫ অক্টোবর থেকে পিছিয়ে ৩০ অক্টোবর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এ সময়ের পরও যেসব ব্যবহারকারীর নামে ১০টির বেশি সিম থাকবে, ভেন্ডর প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তাঁদের তালিকা করে অপারেটরদের জানিয়ে দেওয়া হবে। অপারেটররা সেই তালিকার ভিত্তিতে প্রত্যেক ব্যবহারকারীর জন্য পৃথক তালিকা প্রস্তুত করবে।
সে ক্ষেত্রে সিমগুলো থেকে রাজস্ব আহরণের বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া হবে। সর্বশেষ ছয় মাসে সর্বোচ্চ রাজস্বের সিমটি শুরুতে থাকবে এবং কম রাজস্বের সিমটি শেষে থাকবে। অর্থাৎ ব্যবহারকারীর যে সিম নিয়মিত সচল থাকে এবং বেশি ব্যবহৃত হয়, সেটাকে প্রথমে রাখা হবে। পাশাপাশি এমএফএসসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় থাকলে সেসব সিমের কথা তালিকায় উল্লেখ করতে হবে।
আরও পড়ুনব্যক্তি পর্যায়ে মুঠোফোন সিমের ব্যবহার আরও কমাচ্ছে সরকার২৪ জুন ২০২৫অপারটেরদের কাছ থেকে পাওয়া এই তালিকার ভিত্তিতে বিটিআরসির ভেন্ডর প্রতিষ্ঠান ব্যবহারকারীর জন্য ১০টি সিম নির্ধারণ করবে। ব্যবহারকারীর যতগুলো অপারেটরের সিম রয়েছে, তাদের সবার যেন অন্তত একটি সিম থাকে, সেটা নিশ্চিত করা হবে। নিজ নিজ অপারেটরের জন্য ব্যবহারকারীর সর্বোচ্চ রাজস্ব আহরণের সিম হতে হবে। প্রয়োজনে অপারেটরদের বিশেষ পছন্দের দুটি সিম প্রাধান্য পেতে পারে।
ব্যবহারকারীদের ১০টি সিমের তালিকা তৈরি হয়ে গেলে বাকি সিমগুলোর নিবন্ধন বাতিলের জন্য অপারেটরদের পাঠানো হবে। এ প্রক্রিয়া আগামী নভেম্বরের মধ্যে শেষ করার কথা জানিয়েছে বিটিআরসি।
আরও পড়ুনএক ব্যক্তির নামে ১০টির বেশি মুঠােফোন সিম দেওয়া হবে না২৫ মে ২০২৫নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি বলেছে, ১০টির বেশি সিম বন্ধের এ প্রক্রিয়ায় কোনো গ্রাহকের প্রয়োজনীয় সিম যদি বাতিল হয়ে যায়, তবে অপারেটরের সঙ্গে যোগাযোগ করে পুনরায় তা নিবন্ধন করে নেওয়ার সুযোগ থাকবে।
বিটিআরসির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ এমদাদ উল বারী প্রথম আলোকে বলেন, মানুষের ভোগান্তি যেন না হয়, তাই সময় নিয়ে কাজটি করতে হবে। আগামী ১ আগস্ট থেকে গ্রাহকদের ৩ মাসের জন্য সময় দেওয়া হবে নিজ উদ্যোগে ১০টির বেশি সিম থাকলে তা বাতিল করার জন্য। এরপর বিটিআরসি বিভিন্ন বিষয় বিবেচনায় নিয়ে বাড়তি সিমগুলো বন্ধের উদ্যোগ নেবে। পুরো প্রক্রিয়া শেষ করতে ৫ থেকে ৬ মাস সময় লাগবে।
আরও পড়ুনদেশে নিবন্ধিত মোবাইল সিমের ৪২% নিষ্ক্রিয়২৪ জুন ২০২৪আরও পড়ুনমুঠোফোন নম্বর ঠিক রেখে অপারেটর বদলের সুযোগ, কিন্তু জনপ্রিয় হয়নি কেন৩১ মার্চ ২০২৫