পুকুরে গোসলে নেমে পানিতে ডুবে দুই বোনের মৃত্যু
Published: 28th, May 2025 GMT
ঝিনাইদহের মহেশপুরে পুকুরে গোসলে নেমে পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ বুধবার সকালে উপজেলার নেপা ইউনিয়নের খোসালপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
মৃত দুই শিশুর নাম আফিয়া খাতুন (১২) ও সাথিয়া খাতুন (৭)। তারা সম্পর্কে চাচাতো বোন। আফিয়ার বাবার নাম খাইরুল ইসলাম ও সাথিয়ার বাবার নাম সবিদুল ইসলাম। তাঁরা খোসালপুর এলাকার বাসিন্দা। শিশু দুটি স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ত।
পুলিশ, পরিবার ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গেছে, আজ সকাল ৯টার দিকে স্কুলে যাওয়ার আগে বাড়ির পাশের একটি পুকুরে গোসল করতে যায় আফিয়া ও সাথিয়া। একপর্যায়ে তারা পুকুরের পানিতে ডুবে যায়। বাড়িতে ফিরতে দেরি হওয়ায় পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। পরে পুকুরের পানিতে নেমে তাদের খোঁজ করা হয়। একপর্যায়ে পানির নিচ থেকে ওই দুই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয় নেপা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য এনামুল ইসলাম জানান, ডুবে যাওয়া দুই শিশু আজ সকালে পুকুরে গোসল করতে গিয়ে আর ফিরে আসেনি। অনেক খোঁজাখুঁজির পর তাঁদের মরদেহ পানির নিচ থেকে উদ্ধার করা হয়।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে মারধরের শিকার কিশোরের মৃত্যু
রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে মারধরের শিকার এক কিশোর ১২ দিন পর মারা গেছে। নিহত কিশোরের নাম মো. শিহাব (১৭)। সে উপজেলার বসন্তপুর গ্রামের মিজানুর রহমান রিপনের ছেলে। চলতি বছর এসএসসি পাস করেছে সে।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) লাইফ সাপোর্টে ছিল শিহাব। শনিবার (১ নভেম্বর) সকালে তার মৃত্যু হয়।
এর আগে গত ২০ আগস্ট রাত আটটার দিকে তাকে নির্মম নির্যাতন করা হয়। রিপনের এক ছেলে ও দুই মেয়ের মধ্যে শিহাব ছিল সবার বড়। প্রচণ্ড মারধরের পর থেকেই সে অচেতন অবস্থায় ছিল।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শিহাব গত ২০ অক্টোবর পার্শ্ববর্তী বান্দুড়িয়া এলাকায় তার প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে যায়। সে তেঁতুলতলা বাঁকের কাছে গেলে তার প্রেমিকার আত্মীয়-স্বজনেরা তাকে তাড়া দেয়। শিহাব নিজেকে রক্ষা করতে রাতের অন্ধকারে মাঠের মধ্যে দৌড় দেয়। একপর্যায়ে শিহাব দিক হারিয়ে অন্ধকারের মধ্যে পুকুরে ঝাঁপ দেয়।
সেসময় কিছু ব্যক্তিও পুকুরে নেমে শিহাবকে মারধর শুরু করে। এরপর তাকে পুকুর থেকে তুলে লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটান।
একপর্যায়ে শিহাব জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে ঢলে পড়ে। এরপর লাঠি দিয়ে শিহাবকে আরো পিটিয়ে ফেলে রেখে যায় প্রেমিকার আত্মীয়রা। পরে স্থানীয় লোকজন ও পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেন। মাথায় গুরুত্বর আঘাত থাকায় তার জ্ঞান ফেরেনি। তাই তাকে আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল।
শিহাবকে নির্যাতনের ঘটনায় তার বাবা রিপন গত ২৪ অক্টোবর রাতে রতন আলী (৩২), মো. কানন (২২), সুজন আলী (৩২), ইয়ার উদ্দীন (৩২), মো. শরীফ (৩৫), মো. রাব্বি (২৫), মো. হালিম (৩০) এবং মো. কলিম (৩২) নামের নয়জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরো আট থেকে নয়জনকে অজ্ঞাত আসামি করে গোদাগাড়ী থানায় মামলা দায়ের করেন। তবে শনিবার (১ নভেম্বর) দুপুর পর্যন্ত এদের কাউকেই গ্রেপ্তার করতে পারেনি থানা-পুলিশ।
গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, “প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে শিহাব হামলার শিকার হয়েছিল। তার মৃত্যুর খবর শুনেছি। ময়নাতদন্তের পর মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। হামলার ঘটনায় আগে করা মামলাটি এখন হত্যা মামলায় রূপান্তর হবে। আসামিদের গ্রেপ্তারে সব ধরনের চেষ্টা চলছে।”
ঢাকা/কেয়া/এস