ঝিনাইদহের মহেশপুরে পুকুরে গোসলে নেমে পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ বুধবার সকালে উপজেলার নেপা ইউনিয়নের খোসালপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

মৃত দুই শিশুর নাম আফিয়া খাতুন (১২) ও সাথিয়া খাতুন (৭)। তারা সম্পর্কে চাচাতো বোন। আফিয়ার বাবার নাম খাইরুল ইসলাম ও সাথিয়ার বাবার নাম সবিদুল ইসলাম। তাঁরা খোসালপুর এলাকার বাসিন্দা। শিশু দুটি স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ত।

পুলিশ, পরিবার ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গেছে, আজ সকাল ৯টার দিকে স্কুলে যাওয়ার আগে বাড়ির পাশের একটি পুকুরে গোসল করতে যায় আফিয়া ও সাথিয়া। একপর্যায়ে তারা পুকুরের পানিতে ডুবে যায়। বাড়িতে ফিরতে দেরি হওয়ায় পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। পরে পুকুরের পানিতে নেমে তাদের খোঁজ করা হয়। একপর্যায়ে পানির নিচ থেকে ওই দুই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

স্থানীয় নেপা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য এনামুল ইসলাম জানান, ডুবে যাওয়া দুই শিশু আজ সকালে পুকুরে গোসল করতে গিয়ে আর ফিরে আসেনি। অনেক খোঁজাখুঁজির পর তাঁদের মরদেহ পানির নিচ থেকে উদ্ধার করা হয়।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

আঞ্চলিক সমিতির কমিটি নিয়ে শিক্ষার্থীদের দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৩

সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে আঞ্চলিক সমিতির কমিটিতে পদ-পদবি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শিক্ষার্থীদের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে তিনজন আহত হয়েছেন।

গতকাল সোমবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়–সংলগ্ন তপোবন আবাসিক এলাকার একটি মেসে এ ঘটনা ঘটে। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

আহত তিন শিক্ষার্থী হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের সহসভাপতি শাকিল হাওলাদার, একই বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী মোবাশ্বির হাসান এবং গণিত বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সহসাধারণ সম্পাদক সোহান শাহ। শাকিল ও মোবাশ্বির সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সোহান কোথায় চিকিৎসা নিয়েছেন, তা জানা যায়নি।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল দুপুরে সুনামগঞ্জ স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়। এতে সহসভাপতির পদ পান সোহান শাহ। এ নিয়ে মোবাশ্বির হাসানের সঙ্গে তাঁর কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে সোহান ও তাঁর দুই ব্যাচমেট এবং মোবাশ্বিরের বিভাগের কয়েকজন জুনিয়রের মধ্যে মারধরের ঘটনা ঘটে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সোহান শাহ প্রথম আলোকে বলেন, ‘কমিটি গঠন নিয়ে মোবাশ্বিরের সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয়। আমি বলি, ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মীদের দিয়ে কমিটি করা হয়েছে। এ নিয়ে হাতাহাতি হয়। পরে মোবাশ্বির ২০-২৫ জনকে নিয়ে আমার ওপর হামলা করে।’

অন্যদিকে মোবাশ্বির হাসান বলেন, ‘দুপুরে কমিটি ঘোষণার পর সোহান আমার রুমে এসে তর্কে জড়ায়। কেন তাকে সভাপতি করা হয়নি, এ নিয়ে একপর্যায়ে সে আমাকে মারতে থাকে। তখন আমার জুনিয়ররা এসে আমাকে রক্ষা করে। পরে প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা হাসপাতালে নিয়ে যান।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর বেলাল শিকদার বলেন, ‘আমি আহতদের সঙ্গে হাসপাতালে ছিলাম। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বসে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করবে।’

এদিকে ঘটনার পর জালালাবাদ থানার পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হারুনুর রশীদ বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ছাত্র জোটের মিছিলে ‘শাহবাগবিরোধী ঐক্যের’ ব্যানারে শিবিরের হামলার অভিযোগ
  • মাদক চক্রের হাতে ‘ট্রেজার গান’, দেখতে চাওয়ায় খুন সাম্য: পুলিশ
  • আঞ্চলিক সমিতির কমিটি নিয়ে শিক্ষার্থীদের দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৩