যাদের ফিঙ্গার প্রিন্ট (আঙুলের ছাপ) অন্য কারো সঙ্গে মিলে যাচ্ছে বা যে সকল জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) স্ট্যাটস ‘ম্যাচ ফাউন্ড’ অবস্থায় রয়েছে, সেগুলো নিরসনে মাঠ কর্মকর্তাদের দুটি নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

বুধবার (২৮ মে) সংস্থাটির সিস্টেম এনালিস্ট মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের এমন নির্দেশনা পাঠিয়েছেন।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ম্যাচ ফাউন্ড স্ট্যাটাসে থাকা এনআইডিগুলোর ক্ষেত্রে একই ভোটারের দুটি এনআইডির ক্ষেত্রে একটি এনআইডি সিস্টেমে সচল আছে। তাহলে সচল এনআইডি নম্বরটিই ভোটারকে ব্যবহারের জন্য পরামর্শ দিতে হবে। আর অন্যটি ম্যাচ ফাউন্ড স্ট্যাটাস হিসেবে থেকে যাবে।

আরো পড়ুন:

এনআইডির সাবেক ডিজি সাহেলেরই এনআইডি ব্লকের নির্দেশ

মৃত ব্যক্তির এনআইডি সংশোধনের ক্ষমতা পেলেন মহাপরিচালক

অন্যদিকে সিস্টেমে যদি দেখা যায়, কোনো ব্যক্তির এনআইডি অন্য কোনো ব্যক্তির এনআইডির সঙ্গে মিলে যাচ্ছে তাহলে তা সমাধানের জন্য নির্বাচন কমিশনে পত্র পাঠাতে হবে। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে জেলা নির্বাচন অফিসে পাঠিয়ে আঙুলের ছাপ যাচাইয়ের প্রয়োজন নেই।

বর্তমানে ইসির সার্ভারে প্রায় দুই লাখের মতো ম্যাচ ফাউন্ড স্ট্যাটাসের এনআইডি রয়েছে।

ঢাকা/হাসান/ফিরোজ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম য চ ফ উন ড র এনআইড

এছাড়াও পড়ুন:

শেরপুর নির্বাচন অফিসে রোহিঙ্গা আটক

শেরপুর ভুয়া নাম-পরিচয় ব্যবহার করে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) করতে গিয়ে এক রোহিঙ্গা  আটক হয়েছেন। সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আটকের পর তাকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছেন জেলা নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তারা। 

আটক ব্যক্তির নাম মো. আমিন। তিনি কক্সবাজারের উখিয়ার টাংহালি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা। তার বাবার নাম জাহিদ হোসেন। 

আরো পড়ুন:

রোহিঙ্গা শরণার্থীদের স্থায়ী প্রত্যাবাসনে ‘বাস্তব পদক্ষেপ’ চায় ওআইসি

৪০ দেশের প্রতিনিধিদের রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন 

জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, আলম মিয়া নাম ব্যবহার করে উখিয়ার টাংহালি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এক ব্যক্তি এনআইডি করতে শেরপুর জেলা নির্বাচন অফিসে আবেদন করেন। সেখানে তিনি বাবার নাম আলী হোসেন উল্লেখ করেন এবং শেরপুর পৌরসভার কসবা মোল্লাপাড়া ও শিবুত্তর এলাকার বাসিন্দা হিসেবে দাবি করেন। কথাবার্তা ও নথিপত্র যাচাইয়ের সময় সন্দেহ হলে কর্মকর্তারা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এ সময় ওই ব্যক্তি নিজেকে রোহিঙ্গা বলে স্বীকার করেন।

শেরপুরের অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন অফিসার মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, “তার কাগজপত্র দেখে আমাদের সন্দেহ হয়। তার ভাষাগত বিষয়টি আমাদের নজরে আসে। জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি নিজেকে রোহিঙ্গা বলে স্বীকার করেন।”

আটক মো. আমিন বলেন, “আমি কক্সবাজারের উখিয়ার টাংহালি ক্যাম্পে থাকি। এ দেশের নাগরিক হওয়ার আশায় ভোটার আইডি কার্ড করতে শেরপুরে এসেছিলাম। কাজের জন্য পরিচয়পত্র পেলে সুবিধা হবে ভেবেই আলম নামে আবেদন করেছি।”

শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) জাহাঙ্গীর আলম খান বলেন, “রোহিঙ্গা ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তার সঙ্গে স্থানীয় কেউ জড়িত কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আইনগত ব্যবস্থা চলমান।”

ঢাকা/তারিকুল/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • টিউলিপ এখনো বাংলাদেশের ভোটার, আছে পাসপোর্ট–এনআইডিও
  • টিউলিপ এখনো বাংলাদেশের ভোটার, আছে পাসপোর্ট, এনআইডিও
  • শেখ হাসিনার পরিবারের ১০ সদস্য ভোট দিতে পারবেন না: ইসি সচিব
  • শেরপুর নির্বাচন অফিসে রোহিঙ্গা আটক