যাদের ফিঙ্গার প্রিন্ট (আঙুলের ছাপ) অন্য কারো সঙ্গে মিলে যাচ্ছে বা যে সকল জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) স্ট্যাটস ‘ম্যাচ ফাউন্ড’ অবস্থায় রয়েছে, সেগুলো নিরসনে মাঠ কর্মকর্তাদের দুটি নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

বুধবার (২৮ মে) সংস্থাটির সিস্টেম এনালিস্ট মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের এমন নির্দেশনা পাঠিয়েছেন।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ম্যাচ ফাউন্ড স্ট্যাটাসে থাকা এনআইডিগুলোর ক্ষেত্রে একই ভোটারের দুটি এনআইডির ক্ষেত্রে একটি এনআইডি সিস্টেমে সচল আছে। তাহলে সচল এনআইডি নম্বরটিই ভোটারকে ব্যবহারের জন্য পরামর্শ দিতে হবে। আর অন্যটি ম্যাচ ফাউন্ড স্ট্যাটাস হিসেবে থেকে যাবে।

আরো পড়ুন:

এনআইডির সাবেক ডিজি সাহেলেরই এনআইডি ব্লকের নির্দেশ

মৃত ব্যক্তির এনআইডি সংশোধনের ক্ষমতা পেলেন মহাপরিচালক

অন্যদিকে সিস্টেমে যদি দেখা যায়, কোনো ব্যক্তির এনআইডি অন্য কোনো ব্যক্তির এনআইডির সঙ্গে মিলে যাচ্ছে তাহলে তা সমাধানের জন্য নির্বাচন কমিশনে পত্র পাঠাতে হবে। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে জেলা নির্বাচন অফিসে পাঠিয়ে আঙুলের ছাপ যাচাইয়ের প্রয়োজন নেই।

বর্তমানে ইসির সার্ভারে প্রায় দুই লাখের মতো ম্যাচ ফাউন্ড স্ট্যাটাসের এনআইডি রয়েছে।

ঢাকা/হাসান/ফিরোজ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম য চ ফ উন ড র এনআইড

এছাড়াও পড়ুন:

রাজশাহীতে জুলাই শহীদদের স্মরণে মিনি ম্যারাথন

রাজশাহীতে জুলাই শহীদদের স্মরণে মিনি ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল ছয়টার দিকে নগরের বিনোদপুর এলাকা থেকে এ দৌড় প্রতিযোগিতা শুরু হয়। আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) রাজশাহী মহানগর শাখা এ ম্যারাথনের আয়োজন করে।

ম্যারাথনে অংশ নিতে প্রতিযোগীরা আজ ভোর সাড়ে পাঁচটার পর থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়–সংলগ্ন বিনোদপুর বাজারে জমায়েত হতে থাকেন। সকাল ছয়টার পর শুরু হয় পাঁচ কিলোমিটারের ম্যারাথন প্রতিযোগিতা।

অংশগ্রহণকারীরা বিনোদপুর থেকে শুরু হয়ে নগরের তালাইমারী মোড় হয়ে আবার বিনোদপুর হয়ে চৌদ্দপায় ফায়ার সার্ভিস মোড় হয়ে আবার বিনোদপুরে ফিরে আসেন।পরে সেখানে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। প্রথম পুরস্কার ১০ হাজার টাকা, দ্বিতীয় পুরস্কার ৮ হাজার টাকা, তৃতীয় পুরস্কার হিসেবে ৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া অংশগ্রহণকারী তিন নারীসহ আরও ১০ জনকে পুরস্কৃত করা হয়।

ম্যারাথন উপলক্ষে আগে থেকেই মেডিকেল টিমসহ একটি অ্যাম্বুলেন্স ছিল। এ ছাড়া সবার জন্য টি-শার্ট, গ্লুকোজ পানিসহ বিশেষ খাবার পরিবেশন করা হয়। ম্যারাথনে অংশ নেওয়াদের বেশির ভাগই ছিল তরুণ। তাঁদের মধ্যে বেশি বয়সী নারীরাও অংশ নেন।

প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া ৫৮ বছর বয়সী পিয়ারুল ইসলাম বলেন, এ উদ্যোগ খুবই ভালো হয়েছে। অসুস্থমুক্ত জীবন গড়তে হলে দৌড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। শারীরিক বিভিন্ন অ্যাকটিভিটিসের মধ্যে থাকলে সুস্থ জীবন গড়া যায়। এ বয়সে তাঁর কোনো ওষুধ লাগে না। তাঁরও অনেক সিনিয়র আছেন, কারও বয়স ৭৫, তাঁদেরও ওষুধ লাগে না। তাই এ ধরনের প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে হবে। সবাইকে উদ্ধুব্ধ করতে হবে। যাতে নিজেদের শরীরকে সব সময় উপযুক্ত রাখে।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান বলেন, অনেক দিন পর তিনি দৌড়াবেন। সাধারণত দৌড়ানো হয় না। আজকের পর থেকে তিনি প্রতিদিন সকালে উঠে দৌড়াবেন।

স্থানীয় বাসিন্দা নাঈম হাসান বলেন, জুলাই গণ–অভ্যুত্থান শুধু সরকারের পতন নয়। এর মাধ্যমে এ দেশের মানুষ একটি নতুন নিশ্বাস নেওয়ার সুযোগ পেয়েছে। সেই নতুন নিশ্বাস নিয়ে ম্যারাথনে তিনি অংশ নিয়েছেন।

ম্যারাথন প্রতিযোগিতায় ১৩ জনকে পুরস্কৃত করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে রাজশাহী নগরের বিনোদপুর এলাকায়

সম্পর্কিত নিবন্ধ