সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার দরগাপুর ইউনিয়নের সুবেদখালী এলাকায় কপোতাক্ষ নদের উপকূল রক্ষা রিং বাঁধ ভেঙে গেছে। এতে প্লাবিত হয়েছে অন্তত চারশতাধিক বিঘা মৎস্য ঘের। যার ফলে প্রায় ২০ লাখ টাকার ক্ষতির আশঙ্কা করছেন স্থানীয় চাষিরা। 

দুইদিনেও ভেঙে যাওয়া বেড়িবাঁধ মেরামত করা সম্ভাব হয়নি। ভাঙনের ফলে দরগাহপুর ও রামনগর গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।

আশাশুনি উপজেলার দরগাহপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান মুকুল জানান, বুধবার (২৮ মে) বিকেলে এ জোয়ারের পানির প্রবল চাপে বন্ধ থাকা সুবিদখালী স্লুইজ গেটের পাশে কপোতাক্ষ নদীর প্রায় ২০ ফুট বেড়িবাঁধ ভেঙে যায়। এতে গ্রাম রক্ষার মূল বেড়িবাঁধ উপচে পানি লোকালয়ে ঢুকতে শুরু করে। পানিতে দরগাহপুর ও রামনগর গ্রামের নিম্নাঞ্চল তলিয়ে যায়। ভেসে যায় ছোট-বড় শতাধিক মাছের ঘের। দ্রুত এই বাঁধ সংস্কার না করা হলে রাতের জোয়ারে দরগাহপুর ইউনিয়নসহ কাদাকাটি গ্রামের বিস্তীর্ণ অঞ্চল প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

আরো পড়ুন:

সাতক্ষীরায় কপোতাক্ষ নদের বেড়িবাঁধে ফাটল 

রেমালে ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ সংস্কার বর্ষার আগেই শেষ হবে

সাতক্ষীরার আশাশুনি পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপ-সহকারী প্রকৌশলী জহিরুল ইসলাম জানান, এটি মূল ওয়াপদা বাঁধ নয়; নদী খননের সময় তৈরি করা অস্থায়ী রিং বাঁধ। বাঁধ মেরামতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। 

আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কৃষ্ণা রায় বলেন, ‘‘রিং বাঁধ ভাঙার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পাউবোসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আমি নিজেও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত বাঁধ সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।’’ 

ঢাকা/শাহীন/বকুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

সাতক্ষীরা সীমান্তে ১৫ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের হাকিমপুর সীমান্ত থেকে আটক ১৫ বাংলাদেশিকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কাছে হস্তান্তর করেছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।

সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে সাতক্ষীরার তলুইগাছা সীমান্তে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তাদের ফিরিয়ে আনা হয়। 

আরো পড়ুন:

কক্সবাজারে ৮০ শতাংশ মাদক আসে সাগরপথে: বিজিবি 

অবৈধ অস্ত্রের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে তথ্য সহায়তার আহ্বান বিজিবির

ফিরিয়ে আনা বাংলাদেশিদের মধ্যে আটজন নারী, দুইজন পুরুষ ও পাঁচজন শিশু। তারা সাতক্ষীরা সদর, শ্যামনগর ও আশাশুনি উপজেলার বাসিন্দা। তাদের রাতে সাতক্ষীরা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। 

বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশ পরগনা জেলার হাকিমপুর সীমান্ত পার হওয়ার সময় বাংলাদেশি নাগরিকরা বিএসএফের কাছে আটক হন। তাদের মধ্যে রয়েছেন- সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার ভেটখালী গ্রামের মো. শাহীন সানা, তার স্ত্রী নিলুফা ও কন্যা শাহিনা সুলতানা, একই উপজেলার নওয়াবেকি গ্রামের মিস সুরাইয়া ইয়াসমিন, মোছা. রাবিয়া বেগম, বড়কুপট গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম, লিপিকা খাতুন, নাজমা খাতুন, জিম তরফদার, বয়ারসিং গ্রামের মোছা. ফারহানা আক্তার ও তার ছেলে ফারহান ঢালী, উত্তর আটুলিয়া গ্রামের সেমিনা খাতুন, আশাশুনি উপজেলার হিজলিয়া গ্রামের রাবিয়া খাতুন ও রিয়াদ হাসান এবং সদর উপজেলার পায়রাডাঙ্গা গ্রামের ফুলমতি খাতুন।

সাতক্ষীরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শামিনুল হক বলেন, “ভারতের হাকিমপুর সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিকরা বিএসএফের হাতে আটক হন। পরবর্তীতে বিএসএফের আমুদিয়া কোম্পানি কমান্ডার বিকাশ কুমার সাতক্ষীরার তলুইগাছা কোম্পানি কমান্ডার আবুল কাশেমের নিকট পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে এসব বাংলাদেশিদের হন্তান্তর করেন।”

তিনি আরো বলেন, “বিজিবি ফেরত আনা নারী-পুরুষ ও শিশুদের সাতক্ষীরা থানায় হন্তান্তর করেছে। পরিচয় যাচাই শেষে তাদের পরিবারের কাছে হন্তান্তর করা হবে।”

ঢাকা/শাহীন/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সাতক্ষীরা সীমান্তে ১৫ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর