মধুবালার প্রেমে পড়েছিলেন পাকিস্তানের যে প্রেসিডেন্ট
Published: 30th, May 2025 GMT
ভারত আর পাকিস্তানের শত্রুতার গল্প যেমন আছে তেমনি দুই দেশের মানুষের মধ্যে প্রেমের গল্পও আছে।জুলফিকার আলি ভুট্টো পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে ভারতের বিখ্যাত অভিনেত্রী মধুবালার প্রেমে পড়েছিলেন।
ভুট্টোর পারিবারিক একটা বিলাসবহুল ‘কুঠি’ বা বাংলো ছিল মুম্বাইয়ের ওরলি সি ফেস এলাকায়। ১৯৫৪ থেকে ১৯৫৮ সালের দিকেও ভুট্টো প্রায়ই ওই কুঠিতে থাকতেন। তার পুরো পরিবার অবশ্য আগেই পাকিস্তানে চলে গিয়েছিল। ভুট্টো ভারতে থাকতেন এবং সেই সময়ে ‘মুঘল-ই-আজম’ সিনেমার শুটিং চলছিল বোম্বে, এখনকার মুম্বাইতে।
বলিউডের প্রখ্যাত সঙ্গীতকার নওশাদ সেই সময়ের কথা স্মরণ করে বলেছিলেন, “ওই সিনেমাতে 'মোহে পনঘট পে নন্দলাল ছোড় গেয়া রে' গানটির শুটিং হচ্ছিল। ভুট্টো ওই গানের শুটিং দেখতে আসতেন’’। ভুট্টো মধুবালার প্রতি এতো আকৃষ্ট হয়ে পড়েন যে, একদিন দুপুরে খাবার গ্রহণ করার সময় মধুবালার সামনে তার মনে জন্ম নেওয়া প্রেমের কথা প্রকাশ করেন এবং বিয়ের প্রস্তাব দেন।
আরো পড়ুন:
ভারতের রাষ্ট্রপতির কাছে বাংলাদেশ হাইকমিশনারের পরিচয়পত্র পেশ
প্রভাসের নায়িকা হতে ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক নিলেন তৃপ্তি
মধুবালা নিজেকে যৌনতার প্রতীক হিসাবে মেলে ধরেননি। তিনি সব সময় সংবাদমাধ্যম আর সাধারণ মানুষকে তার জীবন থেকে দূরই রাখতেন। সিনেমার সেটে সময়মতো আসার অভ্যাস ছিল মধুবালার। অনেক সময় তিনি পরিচালকের আগেও সেটে পৌঁছে যেতেন। জানা যায়, মধুবালার দিন শুরু হতো ভোর পাঁচটায়।
‘মুঘল-এ-আজম’-এর নৃত্য পরিচালক লাচ্ছু মহারাজ এমন একজন নৃত্যশিল্পী চাইছিলেন, যিনি মুখের অভিব্যক্তি এবং হাতের ভঙ্গিমা দিয়েই গানের শব্দগুলোকে প্রাণবন্ত করে তুলতে পারবেন। এরপর খুঁজে নেন মধুবালাকে। কিন্তু তিনি শাস্ত্রীয় নৃত্যশিল্পী ছিলেন না। মধুবালা খুব পরিশ্রম করে নাচ আয়ত্ব করে নিয়েছিলেন। লাচ্ছু মহারাজ তাকে কয়েক মাস ধরে কত্থক শিখিয়েছিলেন। আর সেই নাচে মাতোয়ারা হয়েছিলো অনেকেই।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘মুঘল-ই-আজম’-এর শুটিং দেখতে যে ভবিষ্যতের পাকিস্তান প্রেসিডেন্ট ভুট্টো একাই আসতেন তা কিন্তু নয়। ওই সিনেমার সেটে এসেছেন চীনের প্রধানমন্ত্রী চৌ এন লাই, সৌদি আরবের শেখ সাউদ, পাকিস্তানের বিখ্যাত কবি ফয়েজ আহমেদ ফয়েজ, বিখ্যাত ইতালীয় চলচ্চিত্র নির্মাতা রবার্তো রোসেলিনি এবং ডক্টর জিভাগো আর লরেন্স অফ আরাবিয়ার পরিচালক ডেভিড লিন প্রমুখরাও।
এদিকে ভুট্টোর বিয়ের প্রস্তাব হেসেই উড়িয়ে দিয়েছিলেন মধুবালা। মধুবালার সাড়া না পেয়ে প্রত্যাখ্যাত হয়েছিলেন ভুট্টো।
ঢাকা/লিপি
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
খারাপ স্মৃতি না ভেবে ভালো স্মৃতি ভাবার পরামর্শ কাউন্সেলিংয়ে
যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় ট্রমা (মানসিক আঘাত) কাটিয়ে উঠতে রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ির মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কাউন্সেলিং করাচ্ছে। অন্যদিকে বিমানবাহিনীর পক্ষ থেকে অস্থায়ী মেডিকেল ক্যাম্প বসিয়ে দেওয়া হচ্ছে চিকিৎসাসেবা ও ওষুধপত্র। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা কাউন্সেলিং আর চিকিৎসাসেবা নিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির ক্যাম্পাসে যাচ্ছেন।
আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত দিয়াবাড়ির মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে এমন চিত্র দেখা গেছে।
শিক্ষক-শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের পাশাপাশি কিছু উৎসুক লোকজন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির ভেতরে যাচ্ছেন। উৎসুক লোকজন মূলত বিমান বিধ্বস্তের জায়গা দেখছেন। এ ছাড়া ক্যাম্পাসের কাছাকাছি এলাকার শিক্ষার্থীরাও ক্যাম্পাসটিতে আসছেন। তবে গণমাধ্যমকর্মীদের আজ ক্যাম্পাসের ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি।
দুপুর ১২টার দিকে কথা হয় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী মোমিনুল ইসলামের সঙ্গে। সে কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের বাংলা মাধ্যমের শিক্ষার্থী। ক্যাম্পাসে আসার কারণ জানতে চাইলে মোমিনুল প্রথম আলোকে বলে, ‘আজকে শিক্ষকেরা আমাদের ডেকেছেন। জানতে চেয়েছেন, বিমান বিধ্বস্তের পর আমাদের কারও কোনো সমস্যা হচ্ছে কি না? বিশেষভাবে মানসিক কোনো সমস্যা হচ্ছে কি না? হয়ে থাকলে কাউন্সেলিং নিতে বলেছেন।’
রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ির মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ফটক