দরজায় কড়া নাড়তে শুরু করেছে পবিত্র ঈদুল আজহা। এই দিনটিকে সামনে রেখে পশু পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন সিরাজগঞ্জের ছোট-বড় গো-খামারিরা। ক্রেতাদের দৃষ্টি আর্কষণ করতে কাঁচা ঘাস, খড়, ভুসি, ডালের গুঁড়া, খৈল খাইয়ে ষাঁড় মোটাতাজা করছেন তারা। 

এবার কোরবানির ঈদে ৩ হাজার কোটি টাকার পশু বিক্রির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তার। দেশের বাইরে থেকে গরু আমদানি না করতে সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন খামারিরা।

জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্র জানায়, জেলার ৯টি উপজেলায় ছোট-বড় প্রায় ৩৩ হাজার পশুর খামার রয়েছে। প্রায় ১০ হাজার খামারি ঈদুল আজহার জন্য গবাদিপশু প্রস্তুত করছেন। এ বছর জেলায় কোরবানির জন্য ৬ লাখ ৫৫ হাজার ৯০৪টি পশু প্রস্তুত করা হয়েছে। এসব পশুর মধ্যে রয়েছে, ষাঁড়-বলদ ১ লাখ ৮৪ হাজার ৮০০টি, ছাগল প্রায় ৪ লাখ, মহিষ ৩ হাজার ৮৭৫টি ও ভেড়া ৬৭ হাজার ৩০৩টি।

আরো পড়ুন:

বগুড়ার খামারে ১১০০ কেজির লাক্সারি প্র্যাডো

ফরিদপুরে দেশি গরুর চাহিদা বেশি

জেলার চাহিদা পূরণের পর উদ্বৃত্ত পশু ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রির জন্য যাবে। মূলত ব্যাপারীরা সরাসরি খামারিদের বাড়ি ও পশুর হাট থেকে পশু কিনে নিয়ে যাবেন।

এদিকে, বিভিন্ন পরিবহনের মাধ্যমে কোরবানির পশু বিক্রির জন্য নিজ জেলাসহ দেশের অন্য অঞ্চলের হাটে নেওয়ার ক্ষেত্রে সড়ক, মহাসড়ক ও নৌপথে নিরাপত্তাহীনতা, চাঁদাবাজি ও হয়রানির আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা।

সিরাজগঞ্জের সদর উপজেলার রতনকান্দি হাটে গরু কিনতে আসা ব্যাপারী আলতাব বলেন, “সড়ক পথের চেয়ে নৌপথে কোরবানির গরু পরিবহনে ব্যবসায়ীরা বেশি নিরাপদ মনে করেন। কারণ সড়ক পথের চেয়ে নৌপথে পরিবহন ব্যয় অনেক কম ও অধিক নিরাপদ। তবে, এবার নৌপথে ডাকাতি, ছিনতাই ও ঘাটে ঘাটে চাঁদা নিয়ে চিন্তিত ব্যবসায়ীরা।”

উল্লাপাড়ার বোলিয়া ও রায়গঞ্জের চান্দাইকোনা পশুর হাটে আসা গরুর ব্যাপারী আলমগীর ও সাইদুল বলেন, কোরবানির পশু ট্রাক, মিনি ট্রাক, ইঞ্জিন চালিত নছিমনে করে বিভিন্ন অঞ্চলের হাটে নিতে গেলে হয়রানির শিকার হতে হয়। অনেক টাকা চাঁদা দিতে হয়। ডাকাতি ও ছিনতায়ের আশঙ্কা তো থাকেই।

শাহজাদপুরের পোতাজিয়া হাটের গরু ব্যবসায়ী আবুল কালাম বলেন, “নৌপথে ঢাকা ও নারায়নগঞ্জের বিভিন্ন হাটে ব্যাপারীরা গরু-ছাগল নিয়ে যান। বিভিন্ন স্থানে অস্থায়ী হাট বসিয়ে একদল লোক নৌকা থেকে পশু নামিয়ে সেখানে জোর করে বিক্রির জন্য বাধ্য করেন। এ কারণে অধিকাংশ সময় লোকসান গুনতে হয়।” সড়ক, মহাসড়ক ও নৌপথে পশু পরিবহনে হয়রানি বন্ধসহ ডাকাতি ও ছিনতাই রোধে নিরাপত্তা প্রদানে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন তিনি।

পৌরসভার রানীগ্রামে অবস্থিত খান এগ্রো ফার্মের সত্ত্বাধিকারী নাজমুল ইসলাম খান বলেন, “প্রাকৃতিক উপায়ে আমাদের খামারে বর্তমানে ফিজিয়ান, শাহীওয়ালসহ দেশিজাতের শতাধিক ষাঁড় মোটাতাজাকরণ করা হয়েছে। পশু মোটাতাজাকরণের সব পণ্যের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। আসন্ন ঈদু আজহার হাটগুলোতে যদি গবাদিপশুর দাম ভালো পাওয়া যায় তাহলে গো-খামারিরা বাঁচবে।”

তিনি বলেন, “বেশি দামে গো-খাদ্য খাইয়ে গরু লালন-পালন করা হয়েছে। বিদেশ থেকে গরু আসলে সব শ্রেণির খামারিরা লোকসানে পড়বেন।” তিনি খামারিদের বাঁচাতে গরু আমদানি না করতে এবং প্রতিটি পণ্যের দাম কমাতে সরকারের প্রতি অনুরোধ জানান।

সিরাজগঞ্জ জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা.

একে এম আনোয়ারুল হক বলেন, “জেলায় এবার কোরবানিযোগ্য গবাদিপশুর সংখ্যা ৬ লাখ ৫৫ হাজার ৯০৪টি। স্থানীয় চাহিদা রয়েছে ২ লাখ ৫৯ হাজার ২৪১টি। অবশিষ্ট ৩ লাখ ৯৬ হাজার ৬৬৩টি পশু দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নেওয়া হবে। যার বাজার মূল্য প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা।”

দেশের বাইরে থেকে পশু আমদানি করবে না সরকার উল্লেখ করে তিনি বলেন, “জেলার ছোট-বড় সব শ্রেণির খামারিরা পশু ভালো দামে বিক্রি করে লাভবান হতে পারবেন। প্রাকৃতিক উপায়ে এ জেলার গরু ছাগল পালন করায় সারা দেশে সিরাজগঞ্জ জেলার গরু-ছাগলের  চাহিদা রয়েছে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ব্যাপারীরা এসে ঝামেলা ছাড়াই এখানকার হাট থেকে পশু কিনতে পারেন। হাট, সড়ক ও নৌপথে পশু পরিবহনে হয়রানি বন্ধে জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে প্রাণিসম্পদ অফিস একযোগে কাজ করবে।”

টাঙ্গাইল অঞ্চলের নৌ পুলিশের পুলিশ সুপার মো. সোহেল রানা বলেন, “নদীতে নিয়মিত টহলের পাশাপাশি নিরাপত্তা নিশ্চিতে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এর ফলে ব্যাপারীরা তাদের গরু নিয়ে নদী পথে নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারবেন।” 

অবৈধ যানবাহনে পশু পরিবহন না করার অনুরোধ জানিয়ে বগুড়া অঞ্চলের হাইওয়ে পুলিশের (পুলিশ সুপার) মো শহিদ উল্লাহ বলেন, কোরবানি উপলক্ষে উত্তরাঞ্চলের মহাসড়কগুলোতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নেওয়া হয়েছে। পশু পরিবহনের ক্ষেত্রে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়কেই সচেতনতা অবলম্বন করতে হবে। নগদ টাকা না নিয়ে ব্যাংকের মাধ্যমে সবাইকে লেনদেন করার বিষয়ে সচেতনতা করা হচ্ছে। মহাসড়কগুলোতে যে কোনো ধরনের চাঁদাবাজির সংবাদ পেলে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

সিরাজগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. ফারুক হোসেন বলেন, “জেলার কোনো সড়ক ও মহাসড়কে যেন কেউ পশুবাহী পরিবহন থেকে চাঁদা আদায় করতে না পারে, সেজন্য জেলা পুলিশ কঠোর অবস্থানে রয়েছে। জেলার প্রতিটি হাটের পরিবেশ সুন্দর রাখার লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য দায়িত্ব পালন করবে। সাদা পোশাকে পুলিশ সদস্যরাও হাটে দায়িত্ব পালন করবেন।”

সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) গণপতি রায় জানান, কেউ যাতে হাটে পশুর অতিরিক্ত খাজনা আদায় না করতে পারে, সে লক্ষ্যে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চলমান রয়েছে। কোনো চক্র যেন কোরবানির পশু ক্রয়-বিক্রয়ে অরাজকতার সৃষ্টি করতে না পারে; সে লক্ষ্যে প্রতিটি হাটে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অভিযান শুরু করা হয়েছে। পশু ক্রয় ও বিক্রয়সুন্দর ভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে বিগত সময়ের চেয়ে এবার জেলা প্রশাসন কঠোর পদক্ষেপ হিসেবে মাঠপর্যায়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত সব সময় কাজ করবে বলে তিনি জানিয়েছেন।

ঢাকা/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক রব ন র হ ট স র জগঞ জ র ক রব ন র ব যবস য় পর বহন লক ষ য র জন য সড়ক ও করছ ন হয়র ন

এছাড়াও পড়ুন:

জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস উদ্‌যাপনের নতুন তালিকা প্রকাশ

বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস বা উত্সবগুলো যথাযোগ্য মর্যাদায় উদ্‌যাপন বা পালনের নতুন তালিকা প্রকাশ করেছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এ–সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে।

জাতীয় পর্যায়ে দিবস
ক. জাতীয় পর্যায়ে যে যে দিবস বা উত্সবগুলো যথাযোগ্য মর্যাদায় উদ্‌যাপন বা পালন করা হবে:
১. শহীদ দিবস বা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস: ২১ ফেব্রুয়ারি।
২. জাতীয় বিমা দিবস: ১ মার্চ।
৩. গণহত্যা দিবস: ২৫ মার্চ।
৪. স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস: ২৬ মার্চ।
৫. মে দিবস: ১ মে।
৬. বৌদ্ধ পূর্ণিমা: মে মাসে
৭. জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস: ৫ আগস্ট।
৮. বিজয় দিবস: ১৬ ডিসেম্বর।
৯. বড়দিন: ২৫ ডিসেম্বর।
১০. বাংলা নববর্ষ: ১ বৈশাখ।
১১. রবীন্দ্রজয়ন্তী: ২৫ বৈশাখ।
১২. নজরুলজয়ন্তী: ১১ জ্যৈষ্ঠ।
১৩. ঈদুল ফিতর: ১ শাওয়াল।
১৪. ঈদুল আজহা: ১০ জিলহজ।
১৫. ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.): ১২ রবিউল আওয়াল।
১৬. দুর্গাপূজা: পঞ্জিকা অনুযায়ী।

আরও পড়ুনসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিভিন্ন শ্রেণিতে ভর্তির বয়স কত২ ঘণ্টা আগে

যে দিবস উল্লেখযোগ্য কলেবরে পালন করা যেতে পারে
খ. যেসব দিবস ঐতিহ্যগতভাবে পালন করা হয়ে থাকে অথবা বর্তমান সময়ে দেশের পরিবেশ সংরক্ষণ, উন্নয়ন ও সামাজিকভাবে উদ্বুদ্ধকরণের জন্য বিশেষ সহায়ক, সেসব দিবস উল্লেখযোগ্য কলেবরে পালন করা যেতে পারে। উপদেষ্টারা এসব অনুষ্ঠানে সম্পৃক্ত থাকবেন এবং এ ধরনের অনুষ্ঠানের গুরুত্ব বিবেচনায় প্রধান উপদেষ্টাকে আমন্ত্রণ জানানো হবে। এ পর্যায়ের অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য সরকারি উত্স হতে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ প্রদান করা যেতে পারে।
এ ধরনের দিবসগুলো নিচে দেওয়া হলো
১. জাতীয় সমাজসেবা দিবস: ২ জানুয়ারি।
২. জাতীয় টিকা দিবস: বছরের শুরুতে নির্ধারণযোগ্য।
৩. জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস: ৫ ফেব্রুয়ারি।
৪. জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবস: ২৫ ফেব্রুয়ারি।
৫. জাতীয় ভোটার দিবস: ২ মার্চ।
৬. জাতীয় পাট দিবস: ৬ মার্চ।
৭. বিশ্ব আবহাওয়া দিবস: ২৩ মার্চ।
৮. জাতীয় চলচ্চিত্র দিবস: ৩ এপ্রিল।
৯. আন্তর্জাতিক ক্রীড়া দিবস ও জাতীয় ক্রীড়া দিবস: ৬ এপ্রিল।
১০. বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস: ৭ এপ্রিল।
১১. মুজিবনগর দিবস: ১৭ এপ্রিল।
১২. নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস: ২৮ মে।
১৩. জাতীয় চা দিবস: ৪ জুন।
১৪. বিশ্ব পরিবেশ দিবস: ৫ জুন।
১৫. মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস: ২৬ জুন।
১৬. বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস: ১১ জুলাই।
১৭. জুলাই শহীদ দিবস: ১৬ জুলাই।
১৮. জাতীয় পাবলিক সার্ভিস দিবস: ২৩ জুলাই।
১৯. জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তা দিবস: ৯ আগস্ট।
২০. আন্তর্জাতিক যুব দিবস এবং জাতীয় যুব দিবস: ১২ আগস্ট।
২১. আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস: ৮ সেপ্টেম্বর।
২২. বিশ্ব পর্যটন দিবস: ২৭ সেপ্টেম্বর।
২৩. বিশ্ব নৌ দিবস: সেপ্টেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহ।
২৪. জাতীয় উত্পাদনশীলতা দিবস: ২ অক্টোবর।
২৫. বিশ্ব শিক্ষক দিবস: ৫ অক্টোবর।
২৬. শিশু অধিকার দিবস: অক্টোবর মাসের প্রথম সোমবার।
২৭. আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস: ১৩ অক্টোবর।
২৮. বিশ্ব খাদ্য দিবস: ১৬ অক্টোবর।
২৯. জাতীয় পরিসংখ্যান দিবস : ২০ অক্টোবর।
(প্রতি পাঁচ বছর অন্তর বিশ্ব পরিসংখ্যান দিবস এবং জাতীয় পরিসংখ্যান দিবস একসঙ্গে উদ্‌যাপিত হবে)
৩০. জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস: ২২ অক্টোবর।
৩১. জাতীয় সমবায় দিবস: নভেম্বর মাসের প্রথম শনিবার।
৩২. বিশ্ব এইডস দিবস: ১ ডিসেম্বর।
৩৩. আন্তর্জাতিক ও প্রতিবন্ধী দিবস ও জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস: ৩ ডিসেম্বর।
৩৪. জাতীয় বস্ত্র দিবস: ৪ ডিসেম্বর।
৩৫. আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস: ৯ ডিসেম্বর।
৩৬. বেগম রোকেয়া দিবস: ৯ ডিসেম্বর।
৩৭. আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস এবং জাতীয় প্রবাসী দিবস: ১৮ ডিসেম্বর।

আরও পড়ুনএমআইটিতে বিনা মূল্যে অনলাইন কোর্স, শিক্ষার্থী ও পেশাজীবীদের সুযোগ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

যে প্রতীকী দিবস সীমিত কলেবরে পালন করা যেতে পারে—
গ. বিশেষ বিশেষ খাতের প্রতীকী দিবসগুলো সীমিত কলেবরে পালন করা হবে। উপদেষ্টারা এসব দিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিতির বিষয় বিবেচনা করবেন। উন্নয়ন খাত হতে এসব দিবস পালনের জন্য কোনো বিশেষ বরাদ্দ দেওয়া হবে না।
এ ধরনের দিবসগুলো নিচে দেওয়া
১. বার্ষিক প্রশিক্ষণ দিবস: ২৩ জানুয়ারি।
২. জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস: ২ ফেব্রুয়ারি।
৩. জাতীয় ক্যানসার দিবস: ৪ ফেব্রুয়ারি।
৪. জাতীয় শহীদ সেনা দিবস: ২৫ ফেব্রুয়ারি।
৫. আন্তর্জাতিক নারী অধিকার ও আন্তর্জাতিক শান্তি দিবস: ৮ মার্চ।
৬. জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস: ১০ মার্চ।
৭. বিশ্ব পানি দিবস: ২২ মার্চ।
৮. বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস: ২৪ মার্চ।
৯. বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস: ২ এপ্রিল।
১০. বিশ্ব মেধা সম্পদ দিবস: ২৬ এপ্রিল।
১১. জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস: ২৮ এপ্রিল।
১২. জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেফটি দিবস: ২৮ এপ্রিল।
১৩. বিশ্ব প্রেস ফ্রিডম দিবস: ৩ মে।
১৪. আন্তর্জাতিক রেডক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট দিবস: ৮ মে।
১৫. বিশ্ব টেলিযোগাযোগ দিবস: ১৫ মে।
১৬. বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস: ৩১ মে।
১৭. বিশ্ব অ্যাক্রেডিটেশন দিবস: ৯ জুন।
১৮. বিশ্ব খরা ও মরুকরণ প্রতিরোধ দিবস: ১৭ জুন।
১৯. আন্তর্জাতিক সমবায় দিবস: জুলাই মাসের প্রথম শনিবার।
২০. আন্তর্জাতিক ওজোন সংরক্ষণ দিবস: ১৬ সেপ্টেম্বর।
২১. বিশ্ব হার্ট দিবস: সেপ্টেম্বর মাসের চতুর্থ রোববার।
২২. আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস: ১ অক্টোবর।
২৩. বিশ্ব বসতি দিবস: অক্টোবর মাসের প্রথম সোমবার।
২৪. জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস: ৬ অক্টোবর।
২৫. বিশ্ব ডাক দিবস: ৯ অক্টোবর।
২৬. বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস: ১০ অক্টোবর।
২৭. বিশ্ব সাদা ছড়ি দিবস: ১৫ অক্টোবর।
২৮. জাতিসংঘ দিবস: ২০ অক্টোবর।
২৯. জাতীয় স্বেচ্ছায় রক্তদান ও মরণোত্তর চক্ষুদান দিবস: ২ নভেম্বর।
৩০. বিশ্ব ডায়াবেটিক দিবস: ১৪ নভেম্বর।
৩১. প্যালেস্টাইনি জনগণের প্রতি আন্তর্জাতিক সহমর্মিতা দিবস: ২৯ নভেম্বর।
৩২. বিশ্ব মানবাধিকার দিবস: ১০ ডিসেম্বর।
৩৩. জাতীয় জীববৈচিত্র্য দিবস: ২৯ ডিসেম্বর।

আরও পড়ুনপ্রাথমিকে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষার শিক্ষক নিয়োগের সুযোগ বাদ২০ ঘণ্টা আগে

দরকারি তথ্য —
ঘ. উল্লিখিত তিন ধরনের দিবস ছাড়াও বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগ ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো আরও কিছু দিবস পালন করে থাকে, যা গতানুগতিক প্রকৃতির। কোনো কোনো ক্ষেত্রে দিবসগুলো পুনরাবৃত্তিমূলক এবং বর্তমান সময়ে তেমন কোনো গুরুত্ব বহন করে না। সরকারের সময় এবং সম্পদ সাশ্রয়ের লক্ষ্যে সরকারি সংস্থাগুলো এ ধরনের দিবস পালনের সঙ্গে সম্পৃক্তি পরিহার করতে পারে।
২. শিক্ষা সপ্তাহ, প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ, বিজ্ঞান সপ্তাহ, বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ (১-৭ আগস্ট), বিশ্ব শিশু সপ্তাহ (২৯ সেপ্টেম্বর-৫ অক্টোবর), সশস্ত্র বাহিনী দিবস (২১ নভেম্বর), পুলিশ সপ্তাহ, বিজিবি সপ্তাহ, আনসার সপ্তাহ, মত্স্য পক্ষ, বৃক্ষরোপণ অভিযান এবং জাতীয় ক্রীড়া সপ্তাহ পালনের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনা নিয়ে কর্মসূচি গ্রহণ করবে। অনুমোদিত কর্মসূচি অনুযায়ী অনুষ্ঠানাদির আয়োজন করা হবে।
৩. জাতীয় পর্যায়ের উত্সবগুলো ব্যতীত সাধারণভাবে দিবস পালনের ক্ষেত্রে আরও সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে যে
ক. সাজসজ্জা ও বড় ধরনের বিচিত্রানুষ্ঠান যথাসম্ভব পরিহার করতে হবে। তবে রেডিও ও টেলিভিশনে আলোচনা এবং সীমিত আকারে সেমিনার/সিম্পোজিয়াম আয়োজন করা যাবে। কর্মদিবসে সমাবেশ/শোভাযাত্রা পরিহার করা হবে।
খ. কোনো সপ্তাহ পালনের ক্ষেত্রে অনুষ্ঠানসূচি সাধারণভাবে তিন দিনের মধ্যে সীমিত থাকবে।

গ. সরকারিভাবে গৃহীত কোনো কর্মসূচি যাতে অফিসের কর্মকাণ্ডে ব্যাঘাত না ঘটায়, তা নিশ্চিত করতে হবে এবং আলোচনা বা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানাদি ছুটির দিনে অথবা অফিস সময়ের পরে আয়োজনের চেষ্টা করতে হবে।
ঘ. নগদ কিংবা উপকরণ আকারে অর্থ/সম্পদ ব্যয়ের প্রয়োজন হবে না— এরূপ সাধারণ ইভেন্টগুলো ছুটির দিনে কিংবা কার্যদিবসে আয়োজন করা যাবে। যেমন রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার বাণী প্রচার, পতাকা উত্তোলন (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে), ঘরোয়া আলোচনা সভা, রেডিও ও টেলিভিশনে আলোচনা, পত্রিকায় প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রদান ইত্যাদি।
ঙ. কোনো দিবস বা সপ্তাহ পালন উপলক্ষে রাজধানীর বাইরে থেকে/জেলা পর্যায় হতে কর্মকর্তা/কর্মচারীদের ঢাকায় আনা যথাসম্ভব পরিহার করা হবে।
চ. সরকারি ব্যয় সাশ্রয়ের ধারাবাহিকতা রক্ষার্থে মন্ত্রণালয়/বিভাগগুলোর নিজ নিজ অধিক্ষেত্রে সমধর্মী জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবসগুলো পালনের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট আন্তর্জাতিক দিবস উদ্‌যাপনকে প্রাধান্য দিয়ে এরূপ দিবসগুলো একই তারিখে একত্রে পালন করা আবশ্যক। মন্ত্রণালয়/বিভাগগুলো প্রযোজ্য ক্ষেত্রে এসব বিষয়ের সারসংক্ষেপ উপদেষ্টা পরিষদে-বৈঠকে উপস্থাপনের লক্ষ্যে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে প্রেরণ করবে।
৪. উপর্যুক্ত সিদ্ধান্তগুলো যথাযথভাবে প্রতিপালনের জন্য সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয়/বিভাগ/সংস্থাকে অনুরোধ করা হয়েছে।
৫. জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস উদ্‌যাপন/পালনসংক্রান্ত মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ কর্তৃক জারি করা ২১ অক্টোবর ২০২৪ তারিখের ০৪.০০.০০০০.৪১৬.২৩.০০২.১৭.৬১৪ সংখ্যক পরিপত্র বাতিল করা হলো।
৬. জনস্বার্থে এ আদেশ জারি করা হলো এবং তা অবিলম্বে কার্যকর হবে।
# বিস্তারিত তথ্য ওয়েবসাইটে পেতে

সম্পর্কিত নিবন্ধ