সরকারি হস্তক্ষেপ নয়, শৃঙ্খলা ফেরাতে ফারুকের অপসারণ: ক্রীড়া উপদেষ্টা
Published: 31st, May 2025 GMT
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে (বিসিবি) সাম্প্রতিক রদবদলের মধ্য দিয়ে সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন সাবেক অধিনায়ক আমিনুল ইসলাম বুলবুল। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি)-এর মনোনয়নে তিনি বোর্ড পরিচালকের পদ পান এবং পরে পরিচালকদের ভোটে নির্বাচিত হন বিসিবির সর্বোচ্চ পদে। তবে এই পরিবর্তন ঘিরে বেশ কিছু প্রশ্ন উঠেছে—সরকারি হস্তক্ষেপে কি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) বিসিবির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিতে পারে? আর কেন সরানো হলো ফারুক আহমেদকে?
এ বিষয়ে স্পষ্ট বক্তব্য দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া। তিনি বলেন, ‘ক্রিকেট বোর্ডে শৃঙ্খলা ফেরানো এবং বিপিএলে দীর্ঘদিনের অব্যবস্থাপনার দায়ে ফারুক আহমেদকে অপসারণ করা হয়েছে। এ সিদ্ধান্ত আইসিসির গাইডলাইন মেনেই নেওয়া হয়েছে, তাই নিষেধাজ্ঞার আশঙ্কা নেই।’
এর আগে গত বৃহস্পতিবার বিসিবির ১০ সদস্যের বোর্ডের মধ্যে ৮ পরিচালক ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে একটি চিঠি দেন, যাতে ফারুক আহমেদের বিরুদ্ধে অনাস্থা জানানো হয়। ওই চিঠিতে তাকে ‘স্বেচ্ছাচারী’ ও ‘আধিপত্যবাদী’ বলে উল্লেখ করে একাধিক গুরুতর অভিযোগ তোলা হয়। এর পরপরই জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ফারুকের এনএসসি মনোনীত পরিচালক পদ বাতিল করে।
বিপিএল নিয়ে আর্থিক অনিয়ম, ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক ঘিরে স্বচ্ছতার অভাবসহ নানা অব্যবস্থাপনা ফারুকের অপসারণের মূল কারণ বলে জানিয়েছে এনএসসি। তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, অপসারণের আগে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বসেন ফারুক আহমেদ। সেখানেই তাকে পদত্যাগের পরামর্শ দেওয়া হয়। তবে তিনি তাতে রাজি হননি। ফারুক বলেন, ‘আমাকে কোনো ব্যর্থতার কারণ জানানো হয়নি। শুধু বলা হয়েছে ‘উপরমহল আমাকে চায় না।’ এতে কোনো ক্রিকেটীয় যুক্তি নেই।’
প্রসঙ্গত, ফারুক আহমেদও এনএসসির মনোনয়নে বিসিবির সভাপতি হয়েছিলেন। এবার একই প্রক্রিয়ায় তাকে অপসারণ করা হয়েছে। অন্যদিকে, আমিনুল ইসলামকে এনএসসি থেকে বিসিবির কাউন্সিলর করা হয়, এরপর দ্রুত তাকে পরিচালক ও পরে সভাপতি পদে নির্বাচিত করা হয়। বিসিবির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, এনএসসি যে কাউন্সিলরকে চাই, তাকেই পরিচালক হিসেবে মনোনীত করতে পারে।
যদিও আইসিসি ক্রীড়া বোর্ডে সরকারি হস্তক্ষেপকে কড়া ভাষায় নিষেধ করে থাকে। অতীতে শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান ও ভারতের কিছু ক্রীড়া সংস্থা এমন হস্তক্ষেপে নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়েছিল। তবে ক্রীড়া উপদেষ্টার ভাষ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশের ক্ষেত্রে তেমন ঝুঁকি নেই।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ফ র ক আহম দ ফ র ক আহম দ উপদ ষ ট
এছাড়াও পড়ুন:
চট্টগ্রাম–কক্সবাজার রুটে দুই ট্রেনের সময় বদলে যাচ্ছে
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে চলা সৈকত এক্সপ্রেস ও প্রবাল এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচি পরীক্ষামূলকভাবে নতুন করে নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। নতুন সময়সূচি আগামী ১০ আগস্ট থেকে কার্যকর হবে।
রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারগামী সৈকত এক্সপ্রেস (৮২১ নম্বর ট্রেন) ট্রেনটি এখন সকাল সোয়া ৬টায় চট্টগ্রাম স্টেশন ছেড়ে যায়। নতুন সূচি অনুযায়ী, পরীক্ষামূলকভাবে এ ট্রেন চলাচল করবে ভোর ৫টা ৫০ মিনিটে।
আর কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রামগামী প্রবাল এক্সপ্রেস (৮২২ নম্বর ট্রেন) ট্রেনটি কক্সবাজার স্টেশন ছাড়বে সকাল ১০টায়। এখন এ ট্রেন ছাড়ে ১০টা ২০ মিনিটে। গত মঙ্গলবার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলওয়ে।
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে চলাচলরত সৈকত এক্সপ্রেস ও প্রবাল এক্সপ্রেসের সময়সূচি পরীক্ষামূলকভাবে পরিবর্তনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের উপপ্রধান পরিচালন কর্মকর্তা তারেক মুহাম্মদ ইমরান।
রেলওয়ের সহকারী প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবু বক্কর সিদ্দিকীকের সই করা এক চিঠিতে বলা হয়েছে, যাত্রীদের চাহিদা ও সময়ানুবর্তিতা রক্ষায় সুষ্ঠুভাবে ট্রেন পরিচালনার জন্য কক্সবাজারগামী সৈকত এক্সপ্রেস এবং চট্টগ্রামমুখী প্রবাল এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচি পরিবর্তন করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার রুটে এখন দুই জোড়া আন্তনগর ট্রেন চলাচল করে। ঢাকা থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত চলাচল করে আরও দুই জোড়া আন্তনগর ট্রেন।
কক্সবাজার রেললাইনে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছিল ২০২৩ সালের ১ ডিসেম্বর। প্রথমে ঢাকা থেকে কক্সবাজার এক্সপ্রেস নামে আন্তনগর বিরতিহীন ট্রেন দেওয়া হয়। এরপর গত বছরের জানুয়ারিতে চলাচল শুরু করে পর্যটক এক্সপ্রেস। এটাও দেওয়া হয় ঢাকা থেকে। চট্টগ্রাম থেকে ট্রেন না দেওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেয়।
গত বছরের ৮ এপ্রিল চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত এক জোড়া বিশেষ ট্রেন চালু করা হয়। দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে ওঠে এই ট্রেন। এরপর ইঞ্জিন ও কোচের সংকটের কথা বলে গত বছরের ৩০ মে তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের চাপে সেই অবস্থান থেকে সরে আসে রেলওয়ে। গত বছরের ১২ জুন থেকে আবার চালু হয় ট্রেন। আর নিয়মিত ট্রেন চলাচল শুরু হয় চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি থেকে।
সৈকত এক্সপ্রেস ট্রেনটি যাত্রী ওঠানামার জন্য ষোলশহর, জানালী হাট, পটিয়া, দোহাজারী, সাতকানিয়া, চকরিয়া, ডুলাহাজরা ও রামু স্টেশনে থামবে।
আর প্রবাল এক্সপ্রেস যাত্রাপথে থামবে ষোলশহর, গোমদণ্ডী, পটিয়া, দোহাজারী, সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, চকরিয়া, ডুলহাজারা, ইসলামাবাদ ও রামু স্টেশনে।