ঢাকার আগারগাঁওয়ে বিনিয়োগ ভবনে চীন-বাংলাদেশ ‘বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্মেলন’ হবে আজ। সম্মেলনে অংশ নিতে এরই মধ্যে চীনের বাণিজ্যমন্ত্রী ওয়াং ওয়েনতাও ২০০ জনেরও বেশি ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদল নিয়ে ঢাকায় এসেছেন। 

রবিবার (১ জুন) সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনুস।

বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) এবং বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) যৌথভাবে দিনব্যাপী এই সম্মেলনের আয়োজন করছে।

এর আগে গত ২৬ মে বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী জানান, সম্মেলনে প্রায় ১০০টি চাইনিজ প্রতিষ্ঠানের ২৫০ জন বিনিয়োগকারী ও ব্যবসায়ী অংশগ্রহণ করবেন। যার মধ্যে ফরচুন ৫০০ এর অন্তর্ভুক্ত ৬-৭টি প্রতিষ্ঠানের র্শীর্ষ কর্মকর্তারও অংশগ্রহণ করবেন। এছাড়া, চীনের ৪টি চেম্বার অব কমার্সের র্শীর্ষ প্রতিনিধিগণ উপস্থিত থাকবেন। 

বিডা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এসব সেশনে তৈরি পোশাক ও টেক্সটাইল, কৃষি প্রক্রিয়াকরণ, তথ্যপ্রযুক্তি, ইলেকট্রনিক্সসহ বিভিন্ন খাতের বিনিয়োগ ও বাণিজ্য সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা হবে।

সফরের অংশ হিসেবে আগামীকাল সোমবার চীনা প্রতিনিধিরা বাংলাদেশ-চীন জয়েন্ট ইকোনমিক কমিটির বৈঠকে অংশ নেবেন এবং দেশের বিভিন্ন অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শন করবেন। তারা প্রধান উপদেষ্টা ড.

ইউনূস ও পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে আলাদাভাবে বৈঠক করবেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, এ সফরে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা প্রাধান্য পাবে। চীনা বিনিয়োগের প্রবাহ বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এর আগে আশিক চৌধুরী বিডর দায়িত্ব নেওয়ার পর চার দিনের বিনিয়োগ সম্মেলন শুরু হয় ৭ এপ্রিল। সম্মেলনটি আয়োজন করা হয়েছিল ঢাকার হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে।

ওই সময় বিনিয়োগ সম্মেলনে আশিক চৌধুরীর প্রেজেন্টশনের কিছু ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। যেখানে তিনি তথ্যবহুল ও সাবলীল ভাষায় দেশের সম্ভাবনাময়ী খাতগুলো তুলে ধরেন। উপস্থাপনা শৈলী, যোগ্যতা, বাচনভঙ্গির কারণে প্রশংসিত হন তিনি।

ঢাকা/হাসান/ইভা 

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর করব ন

এছাড়াও পড়ুন:

কালো টাকা সাদা করার সুযোগ বহাল

রাজনৈতিক সরকারের মতো অন্তর্বর্তী সরকারও প্রস্তাবিত বাজেটে আবাসন খাতে বিনিয়োগে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রেখেছে। তবে আগের থেকে করহার কয়েক গুণ বাড়ানো হয়েছে। পাশাপাশি শর্ত দিয়েছে, বেআইনি বা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড থেকে প্রাপ্ত আয়ের অর্থে এ সুযোগ মিলবে না। শুধু বৈধ উপার্জন অতীতে কর দেওয়ায় অপ্রদর্শিত হয়ে থাকলে, সে টাকা বিনিয়োগ করে সাদা করা যাবে।
দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) ও অর্থনীতিবিদরা সরকারের সিদ্ধান্তকে স্ববিরোধী ও দুর্নীতিপরায়ণ নীতির প্রতিফলন হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। 
নতুন বাজেট প্রস্তাব অনুযায়ী, কালো টাকা আবাসন খাতে বিনিয়োগ করে সাদা করার ক্ষেত্রে অ্যাপার্টমেন্ট থেকে ফ্ল্যাট ক্রয়ে ঢাকার গুলশান, বনানী, বারিধারা, মতিঝিল ও দিলকুশা এলাকায় ২ হাজার বর্গফুটের বেশি আয়তনের ভবন বা অ্যাপার্টমেন্টের জন্য প্রতি বর্গফুট ২ হাজার টাকা কর দিতে হবে। এখন যা প্রতি বর্গমিটারে ৪ হাজার টাকা; অর্থাৎ এ ক্ষেত্রে কর সোয়া ৫ গুণ বাড়ানো হয়েছে।
একইভাবে ধানমন্ডি, ডিওএইচএস, মহাখালী, লালমাটিয়া, উত্তরা, বসুন্ধরা, ক্যান্টনমেন্ট, সিদ্ধেশ্বরী, কারওয়ান বাজার, বনশ্রী, বিজয়নগর, ওয়ারী, সেগুনবাগিচা, নিকুঞ্জ এবং পাঁচলাইশ, খুলশীবাদ, নওগ্রামে (চট্টগ্রাম) অনুরূপ সম্পত্তির জন্য প্রতি বর্গফুটে ১ হাজার ৮০০ টাকা। এই এলাকায় ২ হাজার বর্গফুটের কম আয়তনের ভবনের জন্য প্রতি বর্গফুট দেড় হাজার টাকা এবং ৬০০ টাকা কর দিতে হবে।
বাজেট ঘোষণার পর টিআইবি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সমালোচনা করে বলেছে, এটি সরকারের দুর্নীতিবিরোধী অবস্থান ও প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের প্রতিশ্রুতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক।  

সম্পর্কিত নিবন্ধ