জেনারেটরের গ্যাসে অজ্ঞান হন আইএফআইসি ব্যাংকের ৬ কর্মকর্তা: পুলিশ
Published: 2nd, June 2025 GMT
কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে আইএফআইসি ব্যাংকের ছয় কর্মকর্তা অচেতন হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। রোববার দুপুরে কুলিয়ারচর বাজারে হাবিব কমপ্লেক্সের দ্বিতীয় তলায় আইএফআইসি ব্যাংকের উপ-শাখায় এ ঘটনা ঘটে। তবে ব্যাংকে ডাকাতির কোনো ঘটনা ঘটেনি। পুলিশ বলছে, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, জেনারেটরের গ্যাসে অচেতন হন ওই ৬ কর্মকর্তা।
ব্যাংকের ছয় কর্মকর্তা হলেন- ব্যাংক ম্যানেজার মোস্তাফিজুর রহমান, কর্মকর্তা সিয়াম রহমান, হোসনা বেগম, মেরিন আক্তার, সৌমিক জামান খান ও সিকিউরিটি গার্ড কামাল মিয়া। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরে তাদেরকে সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রোববার দুপুর দেড়টার দিকে কুলিয়ারচরে আইএফআইসি ব্যাংকে কয়েকজন গ্রাহক এসে দেখতে পান; হঠাৎ ৬ কর্মকর্তা ব্যাংকের ভেতরে অসুস্থতা বোধ করছেন। এমনকি তারা বমিও করছেন। ধীরে ধীরে তারা অজ্ঞান হয়ে যান। এসময় স্থানীয়রা দুইজনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও চারজনকে বাজিতপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে সবাইকে বাজিতপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ী তোফায়েল আহমেদ ভুলন ও মুছা জানান, ৬ জন কর্মকর্তা দিয়ে ব্যাংকটি পরিচালিত হয়। এদের মধ্যে ২ জন মহিলা ও ৪ জন পুরুষ। ব্যাংকে কর্মকর্তা কর্মচারীরা বিষাক্ত গ্যাসে অজ্ঞান হয়ে পড়েন। আমরা এসে তাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠাই। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে অবস্থার অবনতি দেখলে তাদের সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। তবে যতটুকু বুঝতে পেরেছি, ব্যাংকে কোনো রকম লুটপাট হয়নি।
এ বিষয়ে ভৈরব-কুলিয়ারচর সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) নাজমুস সাকিব বলেন, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ। পরে সেনাবাহিনীর সদস্যরা আসেন। বিষয়টি রহস্যজনক হলেও তদন্তে জানতে পারি, ব্যাংকের ভেতরে রাখা জেনারেটরের গ্যাস থেকে এই দুর্ঘটনা ঘটে। যদিও জেনারেটরটি ব্যাংকের ভেতর রাখা ঠিক হয়নি।
নাজমুস সাকিব আরও জানান, ব্যাংকের সিসিটিভি ফুটেজ দেখা হয়েছে। এছাড়াও ব্যাংক কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে আমরা জানতে পারি, জেনারেটরের গ্যাস থেকে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এছাড়াও ব্যাংকে কোনো রকম ডাকাতির ঘটনা ঘটেনি। টাকা-পয়সা সব ঠিক আছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ক শ রগঞ জ ম ড ক ল কল জ কমপ ল ক স ক ল য় রচর কর মকর ত র ঘটন
এছাড়াও পড়ুন:
ফেসবুকে বিদ্বেষপূর্ণ মন্তব্য না করার নির্দেশনা সিলেট জেলা বিএনপির
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দায়িত্বহীন, অশালীন বা বিদ্বেষপূর্ণ পোস্ট, মন্তব্য কিংবা তথ্য শেয়ার থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে সিলেট জেলা বিএনপি। দলের কেউ এ নির্দেশনা লঙ্ঘন করলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে।
গতকাল রোববার রাতে জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক এমরান আহমদ চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিবৃতিটি গণমাধ্যমে পাঠিয়েছেন জেলা বিএনপির সহদপ্তর সম্পাদক মাহবুব আলম।
এদিকে দলের একজন জ্যেষ্ঠ নেতার বিরুদ্ধে ফেসবুকে কুরুচিপূর্ণ ও শিষ্টাচার–বহিভূর্ত মন্তব্য করায় গতকাল রাতে বিশ্বনাথ উপজেলার লামাকাজী ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবেদুর রহমানকে (আছকির) সাময়িক বহিষ্কারের পাশাপাশি সাত দিনের মধ্যে কারণ দর্শাতে বলেছে জেলা বিএনপি। এ ছাড়া অনলাইন গণমাধ্যমে দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী বক্তব্য দেওয়ার জন্য জেলা বিএনপির সহসভাপতি ফখরুল ইসলামকে (ফারুক) সতর্কীকরণ নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
জেলা বিএনপির বিবৃতিতে বলা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে সিলেট জেলা বিএনপির আওতাধীন কিছু ইউনিটের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম কার্যক্রমে অনভিপ্রেত ও পরস্পরবিরোধী বক্তব্য পরিলক্ষিত হয়েছে। বিশেষ করে বিশ্বনাথ উপজেলা, বিশ্বনাথ পৌরসভা ও ওসমানীনগর উপজেলা বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কিছু নেতা-কর্মীর মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিদ্বেষমূলক মন্তব্য, কটূক্তি ও বিভাজন সৃষ্টিকারী পোস্ট প্রচারিত হয়েছে। যা দলীয় শৃঙ্খলা ও ঐক্যের পরিপন্থী।
বিএনপি সব সময় সংগঠনের ঐক্য, শালীনতা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের রাজনীতি বিশ্বাস করে উল্লেখ করে বিবৃতিতে আরও বলা হয়, দলের কোনো পর্যায়ের নেতা বা কর্মীর কাছ থেকে বিভেদমূলক আচরণ, বিদ্বেষ ছড়ানো বা প্রকাশ্যে অপপ্রচার কখনোই কাম্য নয়। অতএব জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট সব ইউনিটের নেতা-কর্মীদের কঠোরভাবে সতর্ক করা হচ্ছে, যেন ভবিষ্যতে তাঁরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দায়িত্বহীন, অশালীন বা বিদ্বেষপূর্ণ পোস্ট, মন্তব্য বা শেয়ার থেকে সম্পূর্ণ বিরত থাকেন।
যোগাযোগ করলে জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, সম্প্রতি ফেসবুকে কিছু নেতা-কর্মীকে একে অন্যের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করতে দেখা গেছে। এ অবস্থায় জেলা বিএনপি একটি নির্দেশনা দিয়েছে। তা অমান্যকারী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।