সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন বাড়তে পারে ১৫-২০ শতাংশ
Published: 2nd, June 2025 GMT
২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে সরকারি কর্মচারীদের জন্য বিশেষ সুবিধা বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। সোমবার জাতীয় বাজেট উপস্থাপনকালে অর্থ উপদেষ্টা এ ঘোষণা দেন। এতে সরকারি চাকরিজীবিদের বেতন বাড়তে পারে ১৫-২০ শতাংশ বলে জানা গেছে।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ২০১৫ সালের পর থেকে কোনো বেতন কাঠামো না হওয়ার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে সরকারি কর্মচারীদের বিশেষ সুবিধা বাড়ানোর প্রস্তাব করছি। তবে এই বিশেষ সুবিধা কতটা বাড়ানো হবে তা বাজেট বক্তৃতায় উল্লেখ করা হয়নি।
বর্তমানে সরকারি কর্মচারীরা মূল বেতনের ৫ শতাংশ বিশেষ সুবিধা পান। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটেও সাবেক অর্থমন্ত্রী মাহমুদ আলীও বিশেষ সুবিধা ঘোষণা করেছিলেন। বাজেটের পরে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী সরকারি কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে নিয়মিত ৫ শতাংশ ইনক্রিমেন্টের সঙ্গে আরও ৫% বিশেষ সুবিধা ঘোষণা করেন। ২০১৫ সাল থেকে সরকারি চাকরিজীবীরা প্রতি বছর ৫ শতাংশ হারে বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট পেয়ে আসছেন। তবে গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে, ২০২৩ সালের জুলাই থেকে বার্ষিক ইনক্রিমেন্টের পাশাপাশি অতিরিক্ত ৫ শতাংশ হারে বিশেষ প্রণোদনাও চালু করে আওয়ামী লীগ সরকার। এই বিশেষ প্রণোদনা এখনও অব্যাহত আছে।
অর্থবিভাগের একাধিক কর্মকর্তা সমকালকে জানিয়েছেন, আগামী বাজেটে ১ম থেকে ৯ম গ্রেডের সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ১৫ শতাংশ এবং ১০ম থেকে ২০তম গ্রেডভুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ২০ শতাংশ মহার্ঘ্য ভাতা (বিশেষ সুবিধা) পেতে পারেন । আগামী ১ জুলাই থেকে সরকারি চাকরিজীবীরা এ সুবিধা পাবেন।
প্রতিবছর কর্মচারীদের যে বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি (ইনক্রিমেন্ট) হয়, সেখানে কারো ৩.
জানা যায়, বাজেটে বেতন-ভাতার জন্য ৮০–৯০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ থাকবে। ১৫ শতাংশ মূল বেতন বৃদ্ধি হলে ছয় হাজার কোটি এবং ২০ শতাংশে আট হাজার কোটি টাকা বাড়তি প্রয়োজন হবে। তবে বেতন বৃদ্ধির হার কত হতে পারে, তা নিয়ে এখনো কোনো আলোচনা হয়নি।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব জ ট ২০২৪ ২৫ ড স ল হউদ দ ন আহম দ ইনক র ম ন ট কর মকর ত দ র জন য চ কর জ ব সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
মে মাসে রপ্তানি আয় বেড়েছে ১১ দশমিক ৪৫ শতাংশ
চলতি ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের জুলাই থেকে মে মাস পর্যন্ত ১১ মাসে রপ্তানি আয় হয়েছে প্রায় ৪ হাজার ৪৯৫ কোটি ডলার, গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১০ শতাংশ বেশি। গত বছরের একই সময়ে রপ্তানি আয় হয়েছিল ৪ হাজার ৮৫৯ কোটি ডলার। তবে একক মাস হিসেবে এই প্রবৃদ্ধি আরও বেশি। চলতি অর্থবছরের মে মাসে মোট রপ্তানি আয় হয়েছে ৪ হাজার ৭৩৮ কোটি ডলার। গত অর্থবছরের মে মাসে এই রপ্তানি আয় ছিল ৪ হাজার ২৫১ কোটি ডলার। অর্থাৎ গত বছরের মে মাসের তুলনায় এই বছরের মে মাসে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১১ দশমিক ৪৫ শতাংশ।
মঙ্গলবার রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, গত ১১ মাসে মোট তৈরি পোশাক খাতে মোট রপ্তানি আয় হয়েছে ৩ হাজার ৬৫৬ কোটি ডলার। যা মোট আয়ের প্রায় ৮১ শতাংশ। এটি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১০ দশমিক ২০ শতাংশ বেশি। এছাড়া একই সময়ে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি বেড়েছে হোম টেক্সটাইল পণ্যে ৪ দশমিক ৭৮, প্লাস্টিক পণ্যে ১৮ দশমিক ৬২, কৃষি পণ্যে ৩ দশমিক ১৭, মৎস ও হিমায়িত খাদ্য পণ্যে ১৭ দশমিক ৫৩, প্রকৌশল পণ্যে ১২ দশমিক ৪০, সিরামিক পণ্যের ৮ দশমিক ৪২, চামড়ার জুতায় ২৮ দশমিক ৯৬, ইলেকট্রিক পণ্যের ১২ দশমিক ৪০, ফার্নিচার পণ্যে ৪ দশমিক ৯৩, তামাক পণ্যে ৩৬ ও ফলমূলে ১৫২ শতাংশ। তবে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় শাকসবিজ রপ্তানিতে ৩২ দশমিক ১৫, জুট ইয়ার্ন অ্যান্ড টোয়াইন পণ্যে ৭ দশমিক ৪২, প্রকৌশল যন্ত্রাংশ পণ্যে ১১ দশমিক ৫৮, চামড়াজাত পণ্যে ৩ দশমিক ৩৯, শুকনো খাবারে ১৩ দশমকি ২৫ ও কাঁচা পাট রপ্তানিতে ৭ দশমিক ৩৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি কমেছে।
চলতি অর্থবছরের মোট রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ৫ হাজার কোটি ডলার। এরমধ্যে অর্থবছরের এই ১১ মাসে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪ হাজার ৬৬৩ কোটি ডলার। সেই তুলনায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে রপ্তানি আয় কম হয়েছে দেড় শতাংশ।
এর আগে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে রপ্তানি আয় হয়েছিল ৪ হাজার ৪৪৭ কোটি ডলার এবং প্রবৃদ্ধি ছিল ৪ দশমিক ২২ শতাংশ।