বন্দরের চিত্তরঞ্জন ও বর্ণালী খেয়াঘাটে নৌকা চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে সন্ত্রাসীরা। অস্থায়ী পশুর হাটে গরু নামানোকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সৃষ্ট বিরোধের জের ধরে সোমবার বিকেল ৩টা থেকে ঘাট দুটিতে নৌকা চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।

এতে নদী পারাপারে দুর্ভোগে পড়েন কয়েকশ’ যাত্রী। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত( রাত ৮টা) নৌকা চলাচল বন্ধ রয়েছে।

যাত্রীরা জানান, ঘাট দুটি দিয়ে প্রতিদিন অর্ধ লক্ষাধিক মানুষ নদী পার হন।   বেশীরভাগ যাত্রীই শীতলক্ষ্যা নদীর পূর্ব পাড়ের বাসিন্দা। যাত্রীদের অধিকাংশই আবার পোশাক কারখানার শ্রমিক।

হঠাৎ ঘাটে নৌকা চলাচল বন্ধ করে দেওয়ায় বিপাকে পড়েন যাত্রীরা। অনেক যাত্রী দূরের নবীগঞ্জ ও ২নং খেয়াঘাট দিয়ে নদী পার হয়ে বাড়ি ফিরেন।

মাঝিরা জানান.

সোমবার বিকেল তিন টার দিকে চাকু , রামদা ছুরি হাতে নদীর পশ্চিম তীরের একদল  উশৃংখল যুবক প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে নৌকা চলাচল বন্ধ করে দেয়। এরপর থেকে নৌকা চলাচল বন্ধ রয়েছে।

এরা প্রায়ই কারণে  অকারণে মাঝিদের মারধরসহ নানা নির্যাতন করে মাঝিরা অভিযোগ করেন।  এ অবস্থায় প্রশাসনের কাছে জীবনের নিরাপত্তার পাশাপাশি নির্যাতন বন্ধের নিশ্চয়তা চান তারা। 

এ ব্যাপারে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি শাহীনূর আলম জানান, ঘাট বন্ধ করে দেওয়ার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ঘাট দুটিতে বর্তমানে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। মাঝিরা নির্বিঘেœ নৌকা চালাতে পারবে। তাদের কোন সমস্যা হবে না।

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: সন ত র স ন র য়ণগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

পটিয়ায় ব্যবসায়ীকে অপহরণ, দুই ঘণ্টা পর উদ্ধার

চট্টগ্রামের পটিয়া পৌর সদরের মুন্সেফ বাজার এলাকার একটি দোকান থেকে নুরুল আবছার (২৭) নামের এক ব্যবসায়ীকে অস্ত্রের মুখে তুলে নিয়ে যায় একদল মুখোশধারী ব্যক্তি। আজ বুধবার সকাল সাতটায় তাঁকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে পুলিশের তৎপরতায় সকাল সাড়ে ৯টায় তিনি ছাড়া পান।

উদ্ধারের পর পটিয়া থানা প্রাঙ্গণে অপহরণের শিকার নুরুল আবছার প্রথম আলোকে বলেন, তিনি ব্যাংকে চাকরি করতেন। সম্প্রতি তাঁর চাকরি চলে যায়। এরপর পটিয়া পৌর সদরের মুন্সেফ বাজার এলাকার সাহিত্য বিশারদ সড়কে মুরগির দোকান দেন। প্রতিদিনের মতো আজ সকালে দোকান খোলেন তিনি। এ সময় তিন থেকে চারজন মুখোশধারী লোক ধারালো অস্ত্রের মুখে তাঁকে ধরে অটোরিকশায় উঠিয়ে নিয়ে যায়। তারা তাঁর পকেটে থাকা ৪০ হাজার টাকা নিয়ে নেয়। পরে আরও ৪ লাখ টাকা দাবি করে, পরে ১৭ লাখ এনে দিতে বলেন। তাঁকে চন্দ্র কালারপোল নামের নির্জন এলাকায় নিয়ে অপহরণকারীরা তাঁকে মারধরের পাশাপাশি ছুরিকাঘাতও করেন।

পটিয়া থানার পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) প্রদীপ চন্দ্র দে প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত তাঁকে উদ্ধারের তৎপরতায় নামে। পরে চন্দ্র কালারপোল এলাকায় পুলিশ গেলে উপস্থিতি টের পেয়ে অপহরণকারীরা পালিয়ে যায়।

পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. নুরুজ্জামান জানান, ব্যবসায়ীকে অপহরণ করার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরে তাঁকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পটিয়ায় ব্যবসায়ীকে অপহরণ, দুই ঘণ্টা পর উদ্ধার
  • পুলিশের তৎপরতায় দুটি মোটরসাইকেল উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৪
  • ফতুল্লার ৫ ইউনিয়নে স্বেচ্ছাসেবক দলের নতুন কমিটি গঠনে তৎপরতা