ব্যাংকে ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত জমায় আবগারি শুল্কে ছাড়
Published: 2nd, June 2025 GMT
ব্যাংকে ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত জমায় করছাড়ের প্রস্তাব করেছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। মানুষকে কিছুটা স্বস্তি দিতে ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত স্থিতির ওপর আবগারি শুল্ক শূন্য করার প্রস্তাব করেছেন তিনি। বর্তমানে ১ লাখ পার হলেই ১৫০ টাকা শুল্ক কাটা হয়।
আমানতের ওপরই কেবল আবগারি শুল্ক কাটা হয়, তেমন না। আমানত, ঋণ বা অন্য যে কোনো ধরনের জমার ভিত্তিতে বছরে একবার আবগারি শুল্ক বা এক্সাইজ ডিউটি কেটে সরকারি কোষাগারে জমা করে ব্যাংকগুলো।
বিদ্যমান নিয়মে ১ লাখ টাকার বেশি থেকে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ১৫০ টাকা কাটা হয়। আগামী অর্থবছর প্রথম ধাপ শুরু হবে ৩ লাখ টাকা থেকে। বর্তমানে ৫ লাখ টাকার বেশি থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত ৫০০ টাকা কাটা হয়। ১০ লাখ টাকার বেশি থেকে ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত ৩ হাজার, ৫০ লাখ টাকা থেকে ১ কোটি টাকা হলে ৫ হাজার, ১ কোটির বেশি থেকে ২ কোটি টাকা পর্যন্ত কাটা হয় ১০ হাজার টাকা। ২ কোটির বেশি থেকে ৫ কোটি টাকা পর্যন্ত ২০ হাজার টাকা এবং ৫ কোটি টাকার বেশি যে কোনো অঙ্কের ওপর ৫০ হাজার টাকা শুল্ক কাটা হয়।
বাজেট বক্তৃতায় অর্থ উপদেষ্টা বলেছেন, জনসাধারণকে কিছুটা স্বস্তি দেওয়ার জন্য কিছু ক্ষেত্রে ভ্যাট ও আবগারি শুল্ক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। ১ লাখ টাকার পরিবর্তে ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত ব্যাংক স্থিতির ওপর আবগারি শুল্ক কাটা হবে না।
আবগারি শুল্কের বাইরে আমানতে অর্জিত মুনাফার ওপর যাদের আয়কর নথি রয়েছে তাদের ১০ শতাংশ এবং যাদের নেই তাদের ১৫ শতাংশ দিতে হয়। এর বাইরে ব্যাংকগুলো সার্ভিস চার্জসহ বিভিন্ন ধরনের ফি নিয়ে থাকে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
জেলের জালে ১০ কেজির কোরাল
বরগুনার তালতলী উপজেলার আন্ধারমানিক নদীতে এক জেলের জালে সাড়ে ১০ কেজি ওজনের একটি কোরাল মাছ ধরা পড়েছে।
বুধবার (৪ জুন) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার বড়বগী ইউনিয়নের নিওপাড়া এলাকার জেলে রুবেল মিয়ার জালে মাছটি ধরা পড়ে।
রুবেল মিয়া জানান, গত রাতে আন্ধারমানিক নদীতে মাছ ধরার জন্য জাল ফেলেন তিনি। আজ ভাটার সময় তুলতে গিয়ে জালে বড় একটি কোরাল দেখতে পান। পরে মাছটি তালতলী বাজারে নিয়ে আসলে মৎস্য ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেন ৯ হাজার ৫০০ টাকায় কিনে নেন।
আরো পড়ুন:
ঝিনাইদহে মৎস্যজীবীদের দুঃখগাঁথা শুনলেন উপদেষ্টা
কাপ্তাই হ্রদে শিকার করা ৮০ কেজি মাছ উদ্ধার
তালতলী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ভিক্টর বাইন বলেন, ‘‘সরকার বিভিন্ন সময় সাগর এবং নদ-নদীতে মাছ শিকারের নিষেধাজ্ঞা দিয়ে থাকে। একইসঙ্গে অবৈধ জাল দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ থাকার ফলে নদীতে বড় মাছ বেড়েছে। এর সুফল হিসেবে বড় একটি কোরাল ধরা পড়েছে।’’
ঢাকা/ইমরান/রাজীব