ঈদুল আজহায় ধীরে ধীরে জমে উঠেছে রাজধানী ঢাকার পশুর হাট। এসব হাটে কোরবানির পশু হিসেবে গরু-ছাগলের পাশাপাশি ভেড়া, দুম্বা, মহিষ এবং উটও বিক্রি হচ্ছে। এবার গাবতলীর পশুর হাটে ক্রেতাদের নজর কাড়ছে একটি আফগানি উট।
সোমবার (২ জুন) রাজধানীর গাবতলীর পশুর হাটে গিয়ে দেখা যায়, আজমাইন এগ্রোতে একটি আফগানি উট ঘিরে ক্রেতা ও দর্শনার্থীদের আগ্রহের কমতি নেই। অনেকে হাত দিয়ে প্রথম বারের মত উট ধরে দেখছেন, আবার কেউ কেউ উটটির সঙ্গে ছবি তুলছেন।
আজমাইন এগ্রো ’র স্বত্বাধিকারী আমজাদ বেপারী রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘‘এই উটটি যখন ছোট ছিল তখন এক ব্যবসায়ী কার্গো প্লেনে করে আফগানিস্তান থেকে নিয়ে এসেছে। এবার আমরা খামারির থেকে কিনে নিয়ে আসছি। এখন আমরা এই উটটির দাম চাচ্ছি ২৮ লাখ টাকা। অনেকে এসে দেখে যাচ্ছে। আশা করি ঈদের আগে কেউ নিয়ে যাবে।’’
রাজধানীর পুরান ঢাকা থেকে গাবতলীর এই কোরবানির পশুর হাটে এসেছেন আব্দুল হাকিম। তিনি রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘‘মূলত আমরা কুরবানি দেই একমাত্র আল্লাহ পাকের নৈকট্য ও সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে। আমাদের দেশে এখনো উট-দুম্বা কোরবানি দেওয়ার প্রচলন হয়ে উঠেনি। উট আরব দেশে কোরবানি দেওয়া হয়। আমি দেখতে আসলাম। প্রথম নিজের চোখে উট দেখে ভালো লাগলো। বইতে কত উটের ঘটনা পড়ছি।’’
গাবতলীর হাটের বেপারীরা বলেন, ‘‘হাট এখন পর্যন্ত পুরোপুরি জমে উঠেনি। আশা করি আগামীকাল থেকে আমাদের বিক্রি বাড়বে। এখন সবাই এসে দেখে যাচ্ছে। আবার কারো দাম মিললে ও পছন্দ হলে নিয়ে যাচ্ছে। এবার ক্রেতাদের চাহিদার অনুযায়ী সব ধরনের গরু, মহিষ, ছাগল ইত্যাদি নিয়ে আসা হয়েছে।’’
ঢাকা/রায়হান/টিপু
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গ বতল র আফগ ন
এছাড়াও পড়ুন:
কার্টুন, মিমে অভ্যুত্থানের ভিন্ন ধারার দৃশ্যায়ন
টাকার বস্তার ভেতর থেকে মাথা উঁচিয়ে আছেন শুভ্র কেশ, সফেদ দাড়ি, চশমা পরিহিত এক লোক। তাঁর ছবি দেখে তো বটেই, এই বর্ণনা থেকেও তাঁকে চিনবেন দেশবাসী। বর্তমানে কারাগারের বাসিন্দা পতিত স্বৈরশাসকের এই উপদেষ্টা বলছেন, ‘টাকার ওপর আমার বিশ্বাস উঠে গেছে।’ এই ছবির পাশেই এক কাটআউট। সেখানে ‘শেখ হাসিনা পালায় না’ বলতে বলতে দৌড়ে পালাচ্ছেন ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতার মসনদ থেকে উৎপাটিত শেখ হাসিনা।
এমন মজার মজার কার্টুন, মিম, গ্রাফিতি, ভিডিও স্থাপনাকর্মসহ বৈচিত্র্যময় সৃজনসম্ভার নিয়ে শুরু হয়েছে ‘বিদ্রূপে বিদ্রোহ’ নামের ব্যতিক্রমী এক প্রদর্শনী। আয়োজন করেছে অনলাইনভিত্তিক স্যাটায়ার সাময়িকী ‘ইয়ারকি’। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ধানমন্ডির আলিয়ঁস ফ্রঁসেজের লা গ্যালারিতে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে ছয় দিনের এ প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। চলবে ৫ আগস্ট পর্যন্ত। সবার জন্য প্রতিদিন বেলা তিনটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত খোলা।
গত বছর ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে উত্তাল ছিল জুলাই। একটি বৈষম্যহীন, উদার গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য পথে নেমেছিলেন অগণিত মানুষ। শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী সরকারকে উৎখাত করতে জীবন উৎসর্গ করেছেন তাঁদের অনেকে। আহত হয়েছেন বেশুমার। রক্তরঞ্জিত রাজপথ বেয়ে এসেছে জনতার বিজয়।
প্রদর্শনীতে প্রবেশপথটির দুই পাশে লাল রঙের পটভূমিতে বড় বড় ডিজিটাল পোস্টার। সেখানে ২ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত প্রতিদিনের বিভিন্ন ঘটনার আলোকচিত্র, সংবাদপত্র, অনলাইন পোর্টাল, টেলিভিশনের রিপোর্ট, ছবি, ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমের পোস্ট—এসব তুলে আনা হয়েছে এ পোস্টারগুলোতে। প্রবেশপথটিও লাল রঙের। ‘জুলাই করিডর’ নামে এই রক্তিম পথটি বেয়ে দর্শনার্থীরা প্রদর্শনীতে প্রবেশের সময় অভ্যুত্থানের উত্তাল দিনগুলোর উত্তাপ ফিরে পাবেন।