নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। তিনি সদ্য সাবেক ফতুল্লা থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক।
তিনি দলীয় ভাবে বহিস্কৃত হলেও জনপ্রিয়তার কোন ভাটা পড়েনি। মঙ্গলবার (৩ জুন) সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগার থেকে মুক্তি পান রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী।
নারায়ণগঞ্জ জেল সুপার ফোরকান মিয়া রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরীর মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে ১৫ মে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরীকে দলের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পদ থেকে বহিষ্কার করেছে কেন্দ্রীয় বিএনপি। এর কিছুক্ষণ পরেই ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে রিয়াদ চৌধুরীকে আটক করে পুলিশ।
এর আগে ফতুল্লার ডাইং ব্যাবসায়ী আজাদকে কারখানা পোড়ানোর হুমকি দেয়ার অভিযোগ ওঠে রিয়াদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সেই ফোনালাপের অডিও ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়।
তবে চাঁদাবাজির অভিযোগ অস্বীকার করে পরবর্তীতে ব্যবসায়ী আজাদ ঘটনাটিকে পারিবারিক বলে জানান। এ ঘটনায় কোন অভিযোগ দায়ের করতে অস্বীকৃতি জানান তিনি। পরবর্তীতে ফতুল্লা মডেল থানার এসআই শামীম বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে ফতুল্লা থানা বিএনপির এক নেতা জানান, রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী একজন কর্মী বান্ধব নেতা। তিনি ফতুল্লা থানা বিএনপির নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ করে রেখেছেন। এক ঘন্টার আহবানে দলের সমাবেশের ডাক দিলে হাজার হাজার নেতাকর্মী সমবেত হয়।
এমন এক নেতাকে দলীয় ভাবে তাকে বহিষ্কার করে ফতুল্লা থানা বিএনপিকে দূবর্বল করেছে ব্যক্তিগত ভাবে তিনি মনে করেন।
.উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ব এনপ ন র য়ণগঞ জ র য় দ ম হ ম মদ চ ধ র ন র য়ণগঞ জ ব এনপ র
এছাড়াও পড়ুন:
বিদেশি বিনিয়োগ বেড়েছে
বাংলাদেশে বৈদেশিক প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ (এফডিআই) গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী এক বছরে ১৯ দশমিক ১৩ শতাংশ বেড়েছে। এর মধ্যে দিয়ে দেশে বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশের প্রতি আন্তর্জাতিক আস্থার প্রতিফলন দেখা গেছে।
বিশ্বব্যাংকের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, সম্প্রতি যেসব দেশে গণঅভ্যুত্থান ঘটেছে, সেসব দেশে পরবর্তী এক বছরে এফডিআই উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। এর মধ্যে শ্রীলঙ্কায় ২০২২ সালের পর এফডিআই কমেছে ১৯.৪৯ শতাংশ, চিলিতে ২০১৯ সালের পর কমেছে ১৫.৬৮ শতাংশ, সুদানে ২০২১ সালের পর ২৭.৬০ শতাংশ, ইউক্রেনে ২০১৪ সালের পর ৮১.২১ শতাংশ, মিশরে ২০১১ সালের পর ১০৭.৫৫ শতাংশ এবং ইন্দোনেশিয়ায় ১৯৯৮ সালের পর ১৫১.৪৯ শতাংশ কমেছে। এই ধারাবাহিক হ্রাসের মধ্যে বাংলাদেশে এফডিআইর ১৯.১৩ শতাংশ বৃদ্ধির চিত্র বিশেষভাবে নজরকাড়া।
বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী বলেছেন, “বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় গুণ হলো—শত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও অর্থনীতিকে পুনরায় চালু করার অদ্ভুত ক্ষমতা। এই পরিসংখ্যান তার দারুন একটা প্রতিফলন। সাধারণত, গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে বিদেশি বিনিয়োগ কমে যায়, কিন্তু আমরা উল্টা দেখছি। সঠিক নীতি নির্ধারণ, বাংলাদেশ ব্যাংক, এনবিআরসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থার আন্তরিকতা এবং প্রাইভেট সেক্টরের অদম্য স্পৃহা কারণে এটি সম্ভব হয়েছে। আমরা সব সময় বিনিয়োগকারীদের সাহায্য করার চেষ্টা করেছি। সব সমস্যার সমাধান হয়নি, তবে সদিচ্ছার কোনো ত্রুটি ছিল না। শিগগিই সারা বছরের একটি আমলনামা (রিপোর্ট কার্ড) প্রকাশ করা হবে।”
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালে বিদেশি বিনিয়োগ ছিল ৪৮৮ দশমিক ৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, ২০২২ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৬৭০ দশমিক ৭ মিলিয়ন ডলারে। ২০২৩ সালে বিনিয়োগের পরিমাণ হয় ৯২৪ দশমিক ৪ মিলিয়ন ডলার, তবে ২০২৪ সালে কিছুটা কমে দাঁড়ায় ৬৭৬ দশমিক ৬ মিলিয়ন ডলারে। ২০২৫ সালের প্রথম ছয় মাসে বিদেশি বিনিয়োগ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৯২ দশমিক ৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে।
অর্থনীতিবিদদের মতে, বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে এই ধারা বজায় থাকা অত্যন্ত ইতিবাচক। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, দীর্ঘমেয়াদি নীতি সহায়তা ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ ভবিষ্যতে আরো বড় পরিসরে বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে পারবে বলে মনে করছেন তারা।
ঢাকা/নাজমুল/রফিক