কাপ্তাই হ্রদ সাঁতরে পার হতে গিয়ে নিখোঁজ স্কুলছাত্র
Published: 4th, June 2025 GMT
সাঁতার কেটে রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদ পার হতে গিয়ে দীপেন চাকমা নামের এক স্কুলছাত্র নিখোঁজ হয়েছে। আজ বুধবার বেলা ১১টার দিকে রাঙামাটি শহরের রাজবাড়ি ঘাট এলাকায় সাঁতার কেটে হ্রদ পার হতে গিয়ে নিখোঁজ হয় সে। এরপর ডুবুরি দল তার সন্ধানে হ্রদে অভিযান চালালেও তাকে উদ্ধার করা যায়নি। নিখোঁজ দীপেন রাঙামাটির রাজদ্বীপ গ্রামের মহেশ্বর চাকমার ছেলে ও রাঙামাটি সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের ১০ দশম শ্রেণির ছাত্র।
দীপেনের স্বজন ও সহপাঠীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আজ সকালে দুই বন্ধুর সঙ্গে রাজবন বিহারে যায় দীপেন চাকমা। পরে বেলা ১১টার দিকে বনবিহার ঘাট থেকে রাজবাড়ি ঘাটে সাঁতার কেটে পার হওয়ার চেষ্টা করে তারা। এ সময় তার দুই বন্ধু পার হতে পারলেও দীপেন চাকমা তলিয়ে যায়। খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন প্রথমে জাল ফেলে উদ্ধারের চেষ্টা করে। পরে বেলা তিনটার দিকে নৌবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় একটি ডুবুরি দল নিখোঁজ স্কুলছাত্রকে উদ্ধারে অভিযান শুরু করে। তিনটি ডুবুরি দল দুই ঘণ্টার চেষ্টায়ও দীপেনের সন্ধান পায়নি। তবে সন্ধ্যা পর্যন্ত সেখানে উদ্ধার অভিযান চলছিল।
নিখোঁজ দীপেনের বাবা মহেশ্বর চাকমা বলেন, ‘আমার ছেলে সকালে রাজবন বিহারে যায়। সেখান থেকে সাঁতার কেটে বাড়ির কাছে ঘাটে আসতে চেয়েছিল সে। তবে হ্রদে ডুবে নিখোঁজ হয় সে।’ দীপেন চাকমা মহেশ্বর চাকমার একমাত্র ছেলে বলে পরিবার সূত্রে জানা গেছে।
রাঙামাটি ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক মো.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: দ প ন চ কম প র হত
এছাড়াও পড়ুন:
কার্টুন, মিমে অভ্যুত্থানের ভিন্ন ধারার দৃশ্যায়ন
টাকার বস্তার ভেতর থেকে মাথা উঁচিয়ে আছেন শুভ্র কেশ, সফেদ দাড়ি, চশমা পরিহিত এক লোক। তাঁর ছবি দেখে তো বটেই, এই বর্ণনা থেকেও তাঁকে চিনবেন দেশবাসী। বর্তমানে কারাগারের বাসিন্দা পতিত স্বৈরশাসকের এই উপদেষ্টা বলছেন, ‘টাকার ওপর আমার বিশ্বাস উঠে গেছে।’ এই ছবির পাশেই এক কাটআউট। সেখানে ‘শেখ হাসিনা পালায় না’ বলতে বলতে দৌড়ে পালাচ্ছেন ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতার মসনদ থেকে উৎপাটিত শেখ হাসিনা।
এমন মজার মজার কার্টুন, মিম, গ্রাফিতি, ভিডিও স্থাপনাকর্মসহ বৈচিত্র্যময় সৃজনসম্ভার নিয়ে শুরু হয়েছে ‘বিদ্রূপে বিদ্রোহ’ নামের ব্যতিক্রমী এক প্রদর্শনী। আয়োজন করেছে অনলাইনভিত্তিক স্যাটায়ার সাময়িকী ‘ইয়ারকি’। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ধানমন্ডির আলিয়ঁস ফ্রঁসেজের লা গ্যালারিতে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে ছয় দিনের এ প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। চলবে ৫ আগস্ট পর্যন্ত। সবার জন্য প্রতিদিন বেলা তিনটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত খোলা।
গত বছর ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে উত্তাল ছিল জুলাই। একটি বৈষম্যহীন, উদার গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য পথে নেমেছিলেন অগণিত মানুষ। শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী সরকারকে উৎখাত করতে জীবন উৎসর্গ করেছেন তাঁদের অনেকে। আহত হয়েছেন বেশুমার। রক্তরঞ্জিত রাজপথ বেয়ে এসেছে জনতার বিজয়।
প্রদর্শনীতে প্রবেশপথটির দুই পাশে লাল রঙের পটভূমিতে বড় বড় ডিজিটাল পোস্টার। সেখানে ২ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত প্রতিদিনের বিভিন্ন ঘটনার আলোকচিত্র, সংবাদপত্র, অনলাইন পোর্টাল, টেলিভিশনের রিপোর্ট, ছবি, ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমের পোস্ট—এসব তুলে আনা হয়েছে এ পোস্টারগুলোতে। প্রবেশপথটিও লাল রঙের। ‘জুলাই করিডর’ নামে এই রক্তিম পথটি বেয়ে দর্শনার্থীরা প্রদর্শনীতে প্রবেশের সময় অভ্যুত্থানের উত্তাল দিনগুলোর উত্তাপ ফিরে পাবেন।