ইউরোপের দুই হেভিওয়েট দল আজ বাংলাদেশ সময় রাত ১টায় নেশন্স লিগের সেমিফাইনালে মুখোমুখি হচ্ছে। স্পেন অপেক্ষা করে আছে চার বছর আগে ফ্রান্সের কাছে উয়েফার এই টুর্নামেন্টের ফাইনালে হারের বদলা নিতে।

ফ্রান্স সময় গুনছে গত বছর ইউরোর সেমিফাইনালে হারের প্রতিশোধ নিতে। জার্মানির স্টুর্টগার্টে রাতের এই জমজমাট ম্যাচে খণ্ড খণ্ড আরও যুদ্ধ চলবে। যেখানে লামিনে ইয়ামালের কাছে এল ক্ল্যাসিকো হারার যন্ত্রণা ভুলতে চাইবে কিলিয়ান এমবাপ্পে।

টক্কর আরও থাকছে ইয়ামাল আর দেজিরো দোয়ের সঙ্গেও। মাত্রই চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে পিএসজির হয়ে জোড়া গোল করেছেন দোয়ে, তাঁর সেই পারফরম্যান্সের জন্যই ‘চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেরা তরুণ’ পুরস্কারটি হাতছাড়া হয়েছে ইয়ামালের।

আজকের এ ম্যাচটিতে আরেক সমীকরণও লুকিয়ে আছে। ব্যালন ডি’অর জয়ের লড়াই জমে উঠেছে ডেম্বেলে ও ইয়ামালের মধ্যে। নেশন্স লিগের ফাইনাল ও শিরোপা শেষ পর্যন্ত ব্যালন ডি’অরের নির্ধারক হতে পারে।

দল হিসেবে ফ্রান্স দুর্দান্ত। রক্ষণে উইলিয়াম ইব্রাহিম কোনাতে, কালুলু কিংবা থিও হার্নান্দেজরা আছেন। যদিও প্রথম পছন্দের উইলিয়াম সালিভা ও দায়োত উপামেকানো ইনজুরিতে। মিডফিল্ডে র‌্যাবিওট ও মাইকেল অলিসের মতো ফুটবলার আছেন। আক্রমণে এমবাপ্পে, ডেম্বেলে ও দোয়ের জুটি জমলে তো কথাই নেই।

স্পেন তারুণ্য নির্ভর এক দল। যারা বড় নাম হয়ে ওঠার অপেক্ষায় আছেন। তবে সবাই ঠিক অত বড় নাম নন। তবে কোচ লা ফুয়েন্তের সিস্টেমে সকলেই দারুণ কার্যকর। ফরোয়ার্ড লাইনের মোরাতা একমাত্র অভিজ্ঞ। তার সঙ্গে ইয়ামাল ও নিকো উইলিয়ামসের সমন্বয় দারুণ। মিডফিল্ডে পেদ্রি, অলমো ও ফ্যাবিয়ান রুইজ ম্যাচ নিয়ন্ত্রণ করার জন্য যথেষ্ট। রক্ষণে পাও কুবার্সি ও ডিন হুইসেন একেবারেই তরুণ। তবে শীর্ষ পর্যায়ে প্রমাণিত।

ফ্রান্সের সম্ভাব্য শুরুর একাদশ: মাইক ম্যাইগনান, পেরি কালুবা, ইব্রাহিম কোনাতে, ক্লিমেন্ট লেংলে, থিও হার্নান্দেজ, মানু কোনে, আন্দ্রে র‌্যাবিওট, ওসমান ডেম্বেলে, মাইকেল অলিস, দিজেরি দোয়ে, কিলিয়ান এমবাপ্পে।

স্পেনের সম্ভাব্য শুরুর একাদশ: উনাই সিমন, অস্কার মিংগুয়েজা, পাও কুবার্সি, ডিন হুইসেন, মার্ক কুকুরেয়া, পেদ্রি, ফ্যাবিয়ান রুইজ, লামিনে ইয়ামাল, দানি অলমো, নিকো উইলিয়ামস, আলভারো মোরাতা।  

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ক ল য় ন এমব প প উইল য় ম ফ ইন ল

এছাড়াও পড়ুন:

ইউনিয়ন পরিষদে তালা দেওয়ায় মহিলা দলের নেত্রীকে মারধর, অভিযোগ বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে

চাহিদামতো ভিজিএফের স্লিপ না পাওয়ায় ইউনিয়ন পরিষদে তালা দিয়েছিলেন ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলার চাঁচড়া ইউনিয়ন মহিলা দলের সভাপতি মালেকা বেগম। ওই ঘটনার জেরে মারধরের শিকার হন তিনি। তাঁর অভিযোগ, ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদকের লোকজন তাঁর ওপর হামলা করেন।

তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে চাঁচড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহীম খলিল হাওলাদার বলেন, ভিজিএফের চাল নিতে আসা নারীদের হামলায় মালেকা বেগম আহত হয়েছেন।

এদিকে মালেকা বেগমের ওই অভিযোগের প্রতিবাদে আজ শুক্রবার বিকেলে বিক্ষোভ করেছেন এলাকার লোকজন। বিকেল চারটা থেকে ইউনিয়ন পরিষদ এলাকায় ঘণ্টাব্যাপী এই কর্মসূচি পালিত হয়।

গত মঙ্গলবার সকালে চাঁচড়া ইউনিয়ন পরিষদে মালেকা বেগমকে মারধর করা হয়। পরে তিনি তজুমদ্দিন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। তিনি ইউপির সাবেক সদস্য। ওই ঘটনা সম্পর্কে মালেকা বেগম বলেন, ‘গত সোমবার ইউনিয়নের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. ইয়াজউদ্দিনের কাছে ঈদে বরাদ্দ ভিজিএফের ১০০টি স্লিপ চেয়েছিলাম। তিনি ৪০ জনের তালিকা দিতে বলেছিলেন। এ নিয়ে তাঁদের মধ্যে কথা–কাটাকাটি হয়। পরদিন মঙ্গলবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে তিনি ইউনিয়ন পরিষদে তালা ঝুলিয়ে দেন। তখন ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. ইব্রাহীম হাওলাদারের ভাই কালিমুল্লাহ ও ইউপির দফাদার মো. আলাউদ্দিনের নেতৃত্বে একদল নারী তাঁকে পিটিয়ে জখম করেন। তাঁরা তাঁর ছবি ফেসবুকেও ছড়িয়ে দিয়েছেন।

এ সম্পর্কে বিএনপি নেতা ইব্রাহীম খলিল হাওলাদার বলেন, ‘ওই দিন (মঙ্গলবার) নারীদের মধ্যে চাল বিতরণের কথা ছিল। তাঁরা এসে পরিষদে তালা মারা দেখেন এবং মালেকা বেগমকে তালা খুলে দিতে বলেন। এ সময় কথা–কাটাকাটির একপর্যায়ে মালেকা বেগম হতদরিদ্র নারীদের কামড়ে ক্ষতবিক্ষত করেন। তখন তাঁরা তাঁকে পিটিয়ে জখম করেন। এ ঘটনায় আমার পরিবারের বা বিএনপির কেউ জড়িত নন।’

চাঁচড়া ইউনিয়নের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. ইয়াজউদ্দিন বলেন, ‘তাঁদের ইউনিয়নে ১ হাজার ৬৭৪ জন হতদরিদ্রের নামে ঈদ উপলক্ষে ভিজিএফের চাল এসেছে। মহিলা সভাপতি (মালেক বেগম) একাই ১০০টি স্লিপ দাবি করেন। তাঁকে বলেছিলাম, আইডি কার্ড জমা দেন, চেষ্টা করব। ঘটনার দিন (মঙ্গলবার) সাড়ে ১০টার সময় পরিষদে গিয়ে জানতে পেরেছি তাঁর ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে।’

তজুমদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহব্বত খান বলেন, ‘ঘটনার বিষয়ে শুনেছি। তবে কেউ অভিযোগ দেননি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ