বিছনাকান্দিতে পাথর চুরি ঠেকাতে বিএসএফের সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ, ফাঁকা গুলি
Published: 5th, June 2025 GMT
সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার বিছনাকান্দিতে পাথর চুরি করতে যাওয়া শ্রমিকদের লক্ষ্য করে সাউন্ড গ্রেনেড ও ফাঁকা গুলি ছুড়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। তবে এতে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। গতকাল বুধবার রাত ১১টার দিকে বিছনাকান্দির ভারতীয় সীমান্ত এলাকার শূন্যরেখার পাশে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় লোকজন ও বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রাতে কয়েকজন শ্রমিক বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত এলাকার গোয়াইনঘাটের বিছনাকান্দিতে নৌকা নিয়ে পাথর তুলতে যান। এ সময় শ্রমিকেরা ভারত সীমান্তবর্তী এলাকায় ঢুকে পড়ে পাথর উত্তোলন শুরু করেছিলেন। একপর্যায়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা বিষয়টি বুঝতে পেরে বাঁশি বাজিয়ে শ্রমিকদের ধাওয়া দেন। এ সময় ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীও শ্রমিকদের লক্ষ্য করে সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে। একপর্যায়ে একটি ফাঁকা গুলিও ছোড়ে। এতে শ্রমিকেরা ভয়ে ওই এলাকা ত্যাগ করেন। তবে এ ঘটনায় হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
সিলেট ব্যাটালিয়ন ৪৮ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ নাজমুল হক বলেন, শ্রমিকেরা পাথর চুরির জন্য শূন্যরেখা অতিক্রম করে ভারতের অভ্যন্তরে চলে গিয়েছিলেন। বিজিবি খবর পেয়ে বাঁশি বাজিয়ে শ্রমিকদের ধাওয়া করে। একই সময় বিএসএফ এসেও শ্রমিকদের ভয় দেখাতে সম্ভবত দুটি সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে এবং একটি ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এতে শ্রমিকেরা পালিয়ে যান। তবে হতাহতের কোনো সংবাদ পাওয়া যায়নি। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স উন ড গ র ন ড
এছাড়াও পড়ুন:
১২ হাজার তরুণ–তরণীকে বিনা মূল্যে প্রশিক্ষণ দেবে পিকেএসএফ
পেশাগত দক্ষতা বাড়াতে দেশের ১২ হাজার তরুণ-তরুণীকে বিনা মূল্যে প্রশিক্ষণ দেবে পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)। কারিগরি ও পেশাগত শিক্ষানির্ভর তিন বছর মেয়াদি এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হবে স্কিলস ফর ইন্ডাস্ট্রিজ কম্পিটিটিভনেস অ্যান্ড ইনোভেশন প্রোগ্রামের (এসআইসিআইপি) আওতায়। এ প্রকল্পে সহায়তা করছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)।
আজ সোমবার রাজধানীর পিকেএসএফ ভবনে এসআইসিআইপি ও পিকেএসএফের প্রকল্পের উদ্বোধন ও প্রশিক্ষণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানানো হয়।
প্রকল্পের আওতায় প্রশিক্ষণার্থী তরুণেরা ১২টি খাতের প্রশিক্ষণ পাবেন। প্রশিক্ষণ চলাকালে থাকা-খাওয়ার সব খরচ প্রকল্প থেকে বহন করা হবে। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৩০ শতাংশ আসন নারীদের জন্য সংরক্ষিত। বাকি ৭০ শতাংশের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন নিম্ন আয়ের ও প্রান্তিক অঞ্চলের তরুণেরা। প্রশিক্ষণ শেষ হওয়ার পর অংশগ্রহণকারীদের আত্মকর্মসংস্থান বা মজুরিভিত্তিক চাকরির ক্ষেত্রেও সহায়তা করা হবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থসচিব খায়েরুজ্জামান মজুমদার বলেন, দেশে দক্ষ জনশক্তির চাহিদা রয়েছে, বিশেষ করে বিদেশে। এই প্রকল্পের সফল বাস্তবায়নের মাধ্যমে পিকেএসএফ ও এর সহযোগী সংস্থাগুলো সেই চাহিদা পূরণে ভূমিকা রাখতে পারবে।
পিকেএসএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফজলুল কাদের বলেন, ‘প্রতিবছর ২০ লাখের বেশি তরুণ শ্রমবাজারে প্রবেশ করছেন। এটি একই সঙ্গে আমাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা। প্রকল্পের আওতায় জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের স্বীকৃত কোর্স অনুযায়ী প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে, যাতে প্রশিক্ষণ শেষে তাঁরা সহজেই কর্মসংস্থানে যুক্ত হতে পারেন।’
অনুষ্ঠানে পিকেএসএফের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. জসীম উদ্দিন বলেন, বর্তমানে ১২ হাজার ছাড়াও আরও ৮ হাজার ৫০০ তরুণকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার প্রস্তাব সরকারের কাছে দেওয়া হয়েছে। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ও তৃতীয় লিঙ্গের তরুণদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। পাশাপাশি ২ হাজার এতিম ও দুস্থ তরুণকেও প্রশিক্ষণের আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে।
এ সময় অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ ওয়ালিদ হোসেন ও পিকেএসএফের চেয়ারম্যান জাকির আহমেদ খান বক্তব্য দেন।