সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার বিছনাকান্দিতে পাথর চুরি করতে যাওয়া শ্রমিকদের লক্ষ্য করে সাউন্ড গ্রেনেড ও ফাঁকা গুলি ছুড়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। তবে এতে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। গতকাল বুধবার রাত ১১টার দিকে বিছনাকান্দির ভারতীয় সীমান্ত এলাকার শূন্যরেখার পাশে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় লোকজন ও বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রাতে কয়েকজন শ্রমিক বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত এলাকার গোয়াইনঘাটের বিছনাকান্দিতে নৌকা নিয়ে পাথর তুলতে যান। এ সময় শ্রমিকেরা ভারত সীমান্তবর্তী এলাকায় ঢুকে পড়ে পাথর উত্তোলন শুরু করেছিলেন। একপর্যায়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা বিষয়টি বুঝতে পেরে বাঁশি বাজিয়ে শ্রমিকদের ধাওয়া দেন। এ সময় ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীও শ্রমিকদের লক্ষ্য করে সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে। একপর্যায়ে একটি ফাঁকা গুলিও ছোড়ে। এতে শ্রমিকেরা ভয়ে ওই এলাকা ত্যাগ করেন। তবে এ ঘটনায় হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

সিলেট ব্যাটালিয়ন ৪৮ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ নাজমুল হক বলেন, শ্রমিকেরা পাথর চুরির জন্য শূন্যরেখা অতিক্রম করে ভারতের অভ্যন্তরে চলে গিয়েছিলেন। বিজিবি খবর পেয়ে বাঁশি বাজিয়ে শ্রমিকদের ধাওয়া করে। একই সময় বিএসএফ এসেও শ্রমিকদের ভয় দেখাতে সম্ভবত দুটি সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে এবং একটি ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এতে শ্রমিকেরা পালিয়ে যান। তবে হতাহতের কোনো সংবাদ পাওয়া যায়নি। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: স উন ড গ র ন ড

এছাড়াও পড়ুন:

প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে মারধরের শিকার কিশোরের মৃত্যু

রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে মারধরের শিকার এক কিশোর ১২ দিন পর মারা গেছে। নিহত কিশোরের নাম মো. শিহাব (১৭)। সে উপজেলার বসন্তপুর গ্রামের মিজানুর রহমান রিপনের ছেলে। চলতি বছর এসএসসি পাস করেছে সে।

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) লাইফ সাপোর্টে ছিল শিহাব। শনিবার (১ নভেম্বর) সকালে তার মৃত্যু হয়।

এর আগে গত ২০ আগস্ট রাত আটটার দিকে তাকে নির্মম নির্যাতন করা হয়। রিপনের এক ছেলে ও দুই মেয়ের মধ্যে শিহাব ছিল সবার বড়। প্রচণ্ড মারধরের পর থেকেই সে অচেতন অবস্থায় ছিল।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শিহাব গত ২০ অক্টোবর পার্শ্ববর্তী বান্দুড়িয়া এলাকায় তার প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে যায়। সে তেঁতুলতলা বাঁকের কাছে গেলে তার প্রেমিকার আত্মীয়-স্বজনেরা তাকে তাড়া দেয়। শিহাব নিজেকে রক্ষা করতে রাতের অন্ধকারে মাঠের মধ্যে দৌড় দেয়। একপর্যায়ে শিহাব দিক হারিয়ে অন্ধকারের মধ্যে পুকুরে ঝাঁপ দেয়। 

সেসময় কিছু ব্যক্তিও পুকুরে নেমে শিহাবকে মারধর শুরু করে। এরপর তাকে পুকুর থেকে তুলে লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটান।

একপর্যায়ে শিহাব জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে ঢলে পড়ে। এরপর লাঠি দিয়ে শিহাবকে আরো পিটিয়ে ফেলে রেখে যায় প্রেমিকার আত্মীয়রা। পরে স্থানীয় লোকজন ও পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেন। মাথায় গুরুত্বর আঘাত থাকায় তার জ্ঞান ফেরেনি। তাই তাকে আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল।

শিহাবকে নির্যাতনের ঘটনায় তার বাবা রিপন গত ২৪ অক্টোবর রাতে রতন আলী (৩২), মো. কানন (২২), সুজন আলী (৩২), ইয়ার উদ্দীন (৩২), মো. শরীফ (৩৫), মো. রাব্বি (২৫), মো. হালিম (৩০) এবং মো. কলিম (৩২) নামের নয়জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরো আট থেকে নয়জনকে অজ্ঞাত আসামি করে গোদাগাড়ী থানায় মামলা দায়ের করেন। তবে শনিবার (১ নভেম্বর) দুপুর পর্যন্ত এদের কাউকেই গ্রেপ্তার করতে পারেনি থানা-পুলিশ।

গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, “প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে শিহাব হামলার শিকার হয়েছিল। তার মৃত্যুর খবর শুনেছি। ময়নাতদন্তের পর মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। হামলার ঘটনায় আগে করা মামলাটি এখন হত্যা মামলায় রূপান্তর হবে। আসামিদের গ্রেপ্তারে সব ধরনের চেষ্টা চলছে।”

ঢাকা/কেয়া/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সিলেট সীমান্তে বাংলাদেশে ঢুকে খুঁটি উপড়ে ফেলে বিএসএফ, স্থানীয়দের প্রতিবাদ
  • পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনে কর্মকর্তা নিয়োগ, বেতন ৫১,০০০ টাকা
  • দুই শিশুর ঝগড়ায় জড়ালেন বড়রা, বড় ভাইয়ের হাতে খুন ছোট ভাই
  • রাজশাহীতে ‘প্রেমিকার’ সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে মারধরের শিকার কিশোরের মৃত্যু
  • প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে মারধরের শিকার কিশোরের মৃত্যু