Prothomalo:
2025-06-06@17:33:59 GMT

তাঁরা তিন দিনের ব্যবসায়ী

Published: 5th, June 2025 GMT

আজ বৃহস্পতিবার দুপুর। রাজধানীর কারওয়ান বাজারে কোরবানির গরুর জন্য বিচালি কিনতে এসেছেন একজন ক্রেতা। দাম জিজ্ঞাসা করলে দোকানি বলেন, ‘এক দাম চল্লিশ।’ দাম শুনে ক্রেতা বলেন, ‘কও কী, এত দাম বাড়ছে নাকি! দুই আঁটি ষাট টাকায় দাও।’ দোকানি জবাব দিলেন, ‘চল্লিশ চল্লিশ।’ বেজার মুখে ক্রেতা চলে গেলেন অন্য দোকানে।

কথা বলে জানা গেল, দোনাকির নাম জাফর ইসলাম, পেশায় ভ্যান গাড়ির চালক। তবে প্রতিবছর কোরবানির ঈদের আগের তিন দিন তিনি হয়ে যান মৌসুমি ব্যবসায়ী। খাইট্টা (মাংস কাটার গুঁড়ি), চাটাই (হোগলা পাটি), বিচালি আর কাঁচা ধান নিয়ে তিনি চলে আসেন কারওয়ান বাজারে।

প্রতিবছর কোরবানির জন্য সারা দেশ থেকে গরু-ছাগলসহ বিভিন্ন পশু আনা হয় ঢাকায়। এসব পশুর খাবারের চাহিদা পূরণে খড়, ঘাস, ভুসি, খইল বিক্রি করেন একদল লোক। আবার গরু জবাইয়ের পর মাংস রাখার জন্য হোগলার পাটি, খাইট্টার ব্যবসায়ীও বনে যান অনেকে। তবে তাঁরা কেউই এসব পণ্যের স্থায়ী ব্যবসায়ী নন। তাঁদের প্রত্যেকেরই নানা রকম পেশা আছে। বাড়তি কিছু আয়ের আশায় বছরে একবারই তাঁরা ব্যবসায়ী হন।

জাফর ইসলাম জানালেন, তিন দিনের বেচাকেনায় লাভ ভালোই হয় তাঁর। বলেন, ‘আকাশের অবস্থা ভালো থাকলে সফল হইয়া যামু।’ আর যদি খারাপ হয়? এমন প্রশ্নে হাসিমুখ মিলিয়ে যায় জাফরের।

জাফর ইসলাম জানান, প্রতি আঁটি বিচালি এবং কাঁচা ধান তিনি ৩৫ টাকা দরে কিনে এনেছেন আর বিক্রি করছেন ৪০ টাকায়। প্রতিটি চাটাই বিক্রি করছেন ২৪০ থেকে ২৫০ টাকায়। আর খাইট্টা বিক্রি করছেন আকার ভেদে ২০০ থেকে ৫০০ টাকায়। জানালেন, তেঁতুলগাছের গুঁড়ি দিয়ে বানানো হয় খাইট্টা। কোরবানির গরুর মাংস কোপানোর জন্য ব্যবহার হয় সেটি। এর সবই তাঁর গ্রামের বাড়ি ভোলা থেকে ঢাকায় এনেছেন। তিনি জানান, ভ্যান গাড়ি চালিয়ে সারা বছর যে টাকা সঞ্চয় করেন, সেই টাকা মৌসুমি ব্যবসায় বিনিয়োগ করেন।

জাফর ইসলামের দোকান পেরিয়ে কিছুটা সামনে যেতেই শোনা গেল, ‘ভুসি নেন, মিকশ্চার নেন; সত্তর, সত্তর’ বলে ডাকছেন আরেক দোকানি। দোকানের সামনে যেতেই দেখা গেল, পাঁচ রকমের বস্তা সাজিয়ে পেছনে বসে আছেন দোকানি; নাম বাবলু মিয়া। কথা বলে জানা গেল, বস্তায় থাকা সামগ্রীগুলো গরু ও ছাগলের খাবার। বাবলু মিয়া জানালেন, তিনিও ঈদের আগের তিন দিন গোখাদ্য ব্যবসায়ী হয়ে যান। ২০ বছর ধরে প্রতি ঈদের আগে এই ব্যবসা করছেন তিনি।

বাবুলের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, তাঁর দোকানে মোটা, চিকন ও মিশ্রণ মিলিয়ে তিন রকমের গমের ভুসি রয়েছে। এর মধ্যে মোটা ও মিশ্রণ বিক্রি করছেন প্রতি কেজি ৭০ টাকায়। আর চিকন ভুসি বিক্রি করছেন ৮০ টাকায়। ভুসি ছাড়াও তাঁর দোকানে রয়েছে খইল ও ছোলার খোসা। ছোলার খোসা প্রতি কেজি ৭০ টাকা এবং খইল প্রতি কেজি ১০০ টাকায় বিক্রি করছেন।

তবে ইদানীং লাভ তেমন হয় না বলে জানালেন বাবুল। গতবারের চেয়ে বেশি দাম দিয়ে এবার গোখাদ্যগুলো কিনে এনেছেন বলে অভিযোগ তাঁর। দাম বেশি হওয়ায় ক্রেতারা ফিরে যাচ্ছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কোরবানির পশুর খাদ্য হওয়ায় ক্রেতারা দাম নিয়ে তেমন অভিযোগ করেন না।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: জ ফর ইসল ম ক রব ন র ব যবস য় র জন য খ ইট ট করছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

মধ্যরাতে দরজায় কড়া...

ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে সংগ্রাম নিয়ে কথা বলেছেন অনেক বলিউড অভিনেত্রী। কেউ বলেছেন ছোট শহর থেকে মুম্বাইয়ে টিকে থাকার সংগ্রাম নিয়ে, কেউ আবার বলেছেন সিনেমা পরিবারের বাইরে থেকে এসে বলিউডে জায়গা করে নেওয়া প্রসঙ্গে। এবার নিজে নিজেই হিন্দি সিনেমায় জায়গা করে নেওয়া প্রসঙ্গে কথা বলেছেন দিয়া মির্জা। সম্প্রতি ইউটিউব চ্যানেল দ্য অফিশিয়াল পিপল অব ইন্ডিয়ায় সাক্ষাৎকার দেন দিয়া মির্জা। সেখানে তিনি বলিউডে ক্যারিয়ারের শুরুর দিকের নানা ঘটনা নিয়ে কথা বলেন ৪৩ বছর বয়সী অভিনেত্রী।

আরও পড়ুনমনে হচ্ছে মা হওয়ার বিষয়টা খুব সিরিয়াসলি নিচ্ছেন...১১ মে ২০২৫

২০০০ সালে ‘মিস ইন্ডিয়া’র মুকুট ওঠে দিয়া মির্জার মাথায়। এরপর ‘রেহনা হ্যায় তেরে দিল মে’ সিনেমায় অভিনয়ের মাধ্যমে বলিউডে যাত্রা শুরু করেন তিনি। তিনি একজন ‘বহিরাগত’ হয়েও হিন্দি সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিতে নিজের জায়গা করে নেন। কোনো সমর্থন ছাড়াই ইন্ডাস্ট্রিতে টিকে থাকা নিয়ে বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে দিয়া বলেন, ‘এটা বলতে গেলে আমাকে এ বিষয়ে একটি বই লিখতে হবে। এই প্রশ্নের উত্তর অনেক জটিল, এর অনেকগুলো স্তর রয়েছে। সহজভাবে বলতে গেলে, এটি কঠিন এবং ভয়ংকর ছিল।’

দিয়া জানান, ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে অনাকাঙ্ক্ষিত দর্শনার্থীদের মধ্যরাতে দরজায় কড়া নাড়ার মতো পরিস্থিতিতেও পড়তে হয়েছিল তাঁকে। এ ধরনের পরিস্থিতি এড়াতে তিনি নিজের হেয়ারড্রেসারের সঙ্গে রুম ভাগাভাগি করতেন। দিয়া বলেন, ‘অনাকাঙ্ক্ষিত দর্শনার্থীদের এড়াতে আমি বহু বছর আমার হেয়ারড্রেসারের সঙ্গে থেকেছি। এটি আমার জন্য সত্যিই কঠিন ছিল। পেছন ফিরে তাকালে আমার মনে হয়, কীভাবে আমি সেই সময় পার করেছি!’

দিয়া মির্জা। অভিনেত্রীর ইনস্টাগ্রাম থেকে

সম্পর্কিত নিবন্ধ