বাস ও গাছের মাঝখানে আটকে পড়া ব্যক্তিকে ঢাকায় নেওয়ার পথে মৃত্যু
Published: 6th, June 2025 GMT
সড়কে দাঁড়িয়ে ছিলেন আমিনুল ইসলাম (৫৫)। পাশেই ছিল তাঁর ব্যাটারিচালিত রিকশা। হঠাৎ একটি বাস এসে চাপা দেয় তাঁকে। সেখানে একটি পাকুড়গাছ ও বাসের মাঝখানে আটকা পড়েন তিনি। প্রায় দুই ঘণ্টা পর তাঁকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে আজ শুক্রবার বেলা আড়াইটার দিকে আমিনুলের মৃত্যু হয়।
নিহত আমিনুল ইসলামের বাড়ি ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার কামালদি ইউনিয়নের কালপোয়া গ্রামে। আজ সকাল সাড়ে নয়টার দিকে মধুখালী উপজেলার মেছরদিয়া মোড়ে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে দুর্ঘটনার শিকার হন তিনি।
করিমপুর হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাউদ্দিন চৌধুরী বলেন, আমিনুলের দুই পায়ে গুরুতর আঘাত লেগেছিল। দুর্ঘটনাস্থল থেকে তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে পাঠানো হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। পথে বেলা আড়াইটার দিকে ভাঙ্গা এলাকায় তাঁর মৃত্যু হয়।
ওসি মোহাম্মদ সালাউদ্দিন চৌধুরী জানান, পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই তাঁদের হাতে মরদেহ তুলে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুনমহাসড়কে পাকুড়গাছে বাসের ধাক্কা, বাস ও গাছের মাঝে আটকে আছেন এক ব্যক্তি৭ ঘণ্টা আগেস্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আজ সকাল সাড়ে নয়টার দিকে ঢাকা থেকে যশোরগামী একটি বাসের চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মধুখালী উপজেলার মেছরদিয়া মোড় এলাকায় উল্টো দিক (ডান দিকে) দিয়ে গিয়ে সড়কের পাশে দাঁড়ানো একটি পাকুড়গাছে আঘাত করে। পাকুড়গাছ ও বাসের মধ্যে আটকে পড়েন আমিনুল ইসলাম। দুপুর পৌনে ১২টার দিকে একটি রেকারের সাহায্যে দুর্ঘটনাকবলিত বাসটিকে টেনে বের করা হয়। এরপর আমিনুলকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
আরও পড়ুনবাস ও গাছের মাঝে আটকে পড়া ব্যক্তিকে ২ ঘণ্টা পর জীবিত উদ্ধার৪ ঘণ্টা আগেআমিনুলের পরিবারে স্ত্রী ও তিন সন্তান আছে। বড় মেয়ের বিয়ে হয়েছে। ছেলে এবার এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে। আর ছোটে মেয়ে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে।
কামালদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য সয়েল আহমেদ বলেন, ‘আমিনুল ব্যাটারিচালিত রিকশা ভাড়া নিয়ে চালাতেন। তিনি ছিলেন পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম। তাঁর মৃত্যুতে পরিবারটা নিঃস্ব হয়ে গেল।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
হস্তক্ষেপ নয়, পর্যবেক্ষণ ও সহযোগিতায় বিশ্বাসী টিম ডিরেক্টর রাজ্জা
সংবাদ সম্মেলন তখন শেষ। আব্দুর রাজ্জাককে মনে করিয়ে দেওয়া হলো, ‘‘বাংলাদেশ দলের টিম ডিরেক্টর কিন্তু টসেও ইনপুট দিতেন। আপনি কি…?’’ রাজ্জাক মুখে হাসি আটকে রাখেন। এই পদে আসন্ন আয়ারল্যান্ড সিরিজে দায়িত্ব পাওয়া রাজ্জাক স্রেফ এতোটুকুই বলতে পারেন, ‘‘আমাদের থেকে এমন কিছু কখনোই দেখতে পারবেন না। আমরা নতুন কিছু নিয়ে ভাববো।’’
জাতীয় দলকে নিয়ে সেই ভাবনা থেকেই আমিনুল ইসলাম বুলবুলের বোর্ড একজনকে টিম ডিরেক্টর নিয়োগ দিয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ের জাতীয় পুরুষ দলের ব্যর্থতার কারণে আলোচনা হচ্ছিল, ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের ওপরে একটি ছায়া বিভাগ থাকবে যারা সরাসরি জাতীয় দল পর্যবেক্ষণ করবে।
সেই ছায়া বিভাগে সাবেক ক্রিকেটাররাই থাকবেন। প্রথম টিম ডিরেক্টর হিসেবে রাজ্জাক পেলেন দায়িত্ব। কেন টিম ডিরেক্টর নিয়োগ দেওয়ার প্রয়োজন অনুভব হলো সেই প্রশ্ন করা হয় তাকে। নাজমুল হাসান বোর্ড সভাপতির দায়িত্বে থাকার সময় টিম ডিরেক্টর পদটি বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছিল। সাবেক অধিনায়ক ও বোর্ড পরিচালক খালেদ মাহমুদ এই দায়িত্ব পালন করেছেন বিশ্বকাপসহ বেশ কয়েকটি সিরিজে। দলের সঙ্গে গভীরভাবে মিশে যেতেন তিনি। টস থেকে শুরু করে টিম মিটিংয়ে দিতেন ইনপুট। যা নিয়ে পরবর্তীতে অভিযোগ করেছিলেন কোচ ও অধিনায়ক।
তবে রাজ্জাক নিজের কাজ, পরিধি এবং দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন বলেই নিশ্চিত করলেন,"অন্যান্য যে কোনো টিম ডিরেক্টরের মতোই হবে আমার কাজ। আমি সব কিছু পর্যবেক্ষণ করব, সব কিছুতে নজর রাখব। আর কখনও যদি টিম ম্যানেজমেন্ট মনে করে আমার কোনো সহযোগিতা প্রয়োজন, তাহলে সেটিও দেওয়ার চেষ্টা করব। তাদের সাহায্য প্রয়োজন হলে আমি করব।"
"ক্রিকেট বোর্ডের মনে হয়েছে, দলের সঙ্গে একজন টিম ডিরেক্টর থাকলে ভালো হবে। এই পদটি কিন্তু আগেও ছিল। অনেক দিন ধরেই ছিল। সাম্প্রতিক সময়ে বোর্ড পরিচালকের সংখ্যা কম থাকায় হয়তো দলের সঙ্গে কেউ যায়নি। তবে এর আগে প্রায় সিরিজেই দলের সঙ্গে টিম ডিরেক্টর থাকত।" - যোগ করেন তিনি।
ঢাকা/ইয়াসিন