সাতক্ষীরার শ্যামনগরে কোরবানির মাংস কাটার সময় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে আব্দুল হাই শেখ (৪৩) নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। 

শনিবার দুপুর একটার দিকে উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের চাঁদনীমুখা গ্রামে মাংস কাটার সময় হৃদরোগে আক্রান্ত হন তিনি। পরে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে আব্দুল হাই মারা যান। 

আব্দুল হাই শেখ চাঁদনীমুখা গ্রামের গোলাপ শেখের ছেলে। তার নিকটাত্মীয় মো.

শরীফ উদ্দিন জানিয়েছেন, আব্দুল হাই শেখ চাঁদনীমুখা ঈদগাহে শনিবার ঈদুল আজহার জামাতে অংশ নেন। কিছুক্ষণ পর প্রতিবেশী খালিদ হোসেনের ডাকে তার পশু কোরবানিতে অংশ নেন। চামড়া ছাড়ানো শেষে মাংস কাটার সময় আব্দুল হাই হৃদরোগে আক্রান্ত হন। 

স্বজন ও প্রতিবেশীরা দ্রুত সময়ের মধ্যে তাকে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। চিকিৎসক তাকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। সেখানে পৌঁছানোর আগেই পথে মারা যান আব্দুল হাই। 

গাবুরা ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদুল আলম এ ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আব্দুল হাই দুই ছেলেমেয়ের বাবা। জানাজা শেষে শনিবার বিকেলে পারিবারিক কবরস্থানে তার দাফন হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকাবাসী শোকাহত।
 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: মরদ হ স ক ট র সময় হ দর গ

এছাড়াও পড়ুন:

সাতক্ষীরায় ৩ সাবেক এমপিসহ ২৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা

সাতক্ষীরা-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) আতাউল হক, এস এম জগলুল হায়দার, এইচ এম গোলাম রেজা ও শ্যামনগরের সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাঈদুজ্জামান সাঈদসহ আওয়ামী লীগের ২৯ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রের অভিযোগে মামলা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে শ্যামনগর থানায় মামলাটি করেন মাসুম বিল্লাহ নামের এক ব্যক্তি। তিনি উপজেলার যাদবপুর গ্রামের বাসিন্দা।

মামলার এজাহারে বলা হয়, বুধবার রাতে শ্যামনগর উপজেলার দেবলায় গ্রামে জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক স ম আব্দুস সাত্তারের বাড়িতে আসামিরা একত্র হয়ে সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র, সরকারের চলমান উন্নয়ন প্রকল্পের বিরুদ্ধে অপপ্রচার, অস্থিরতা ও নৈরাজ্য সৃষ্টির মাধ্যমে রাষ্ট্রে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরির অপচেষ্টা করেন। সেই সঙ্গে তাঁদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দ্রব্য রাখার অভিযোগও আনা হয়।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও সদর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান জহুরুল হায়দার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও ভুরুলিয়া ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান জাফরুল আলম, কাশিমাড়ী ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান গাজী আনিছুজ্জামান, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বাবলুর রহমান, কৈখালী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান রেজাউল ইসলাম, জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য ও যুবলীগ নেতা গোলাম মোস্তফাসহ ২৯ জন।

শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হুমায়ুন কবীর জানান, এ মামলায় আজ বৃহস্পতিবার ভোরে আব্দুস সাত্তারের বাড়ি থেকে জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক স ম আব্দুস সাত্তার, ‍যুবলীগের কর্মী আব্দুল আলিম ও আজিবর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সাতক্ষীরায় ৩ সাবেক এমপিসহ ২৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা