Risingbd:
2025-06-08@14:06:24 GMT

রমনা পার্কে ঈদের আনন্দ

Published: 8th, June 2025 GMT

রমনা পার্কে ঈদের আনন্দ

সারা দেশে উদযাপিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল আজহা। ঈদের দ্বিতীয় দিন রাজধানীসহ দেশজুড়ে আনন্দ বিরাজ করছে।

এদিন সকাল থেকেই রাজধানীর অন্যতম প্রধান বিনোদনকেন্দ্র রমনা পার্কে বিনোদনপ্রেমীদের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। পরিবার-পরিজন কিংবা বন্ধুবান্ধব নিয়ে রমনা পার্কে একটু সুন্দর সময় কাটানোর জন্য এসেছেন তারা। তবে সবচেয়ে বেশি ভিড় দেখা গেছে শিশুচত্বরে।

স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করতে কোটি মানুষ রাজধানী ছেড়েছেন। ফলে, চিরচেনা ব্যস্ত নগরী ঢাকা এখন ফাঁকা। তাই যানজট না থাকায় ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে সকাল থেকে অনেকেই রাজধানীর বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে ভিড় করছেন।

আরো পড়ুন:

বাঁধনের প্রথম, ঘুম নেই সারা রাত!

নাঈমের বাড়িতে শাবনাজের প্রথম ঈদের স্মৃতি

রবিবার (৮ জুন) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রমনা পার্কে ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

ঈদের দ্বিতীয় দিন নানা বয়সের মানুষ রমনা পার্কে ঘুরতে এসেছেন।অনেকে সবুজ ঘাসের ওপর বসে আছেন। কেউ কেউ পার্কে বসে আড্ডা দেওয়ার জন্য বাসা থেকে বিছানার চাদর নিয়ে এসেছেন। সেখানে বসে তারা বেশ আয়েশ করে গল্প-গুজব করছেন। সবুজে ঘেরা এ এলাকায় বাচ্চারা দৌড়াদৌড়ি, হই-হুল্লোড় করছে।তাদের বাবা-মা সঙ্গ দিচ্ছেন। কোথাও বাচ্চারা খেলাধুলা করছে। শিশুদের সঙ্গে বড়দেরকেও খেলাধুলা করতে দেখা গেছে।

পার্কে লেকের পাড় ঘিরে নির্মিত রেলিংয়ে দাঁড়িয়ে গল্প করছেন অনেকে। কেউ কেউ লেকে বোট রাইড করছেন। পার্কের কোনো কোনো জায়ায় কিশোর-কিশোরীরা দল বেঁধে আড্ডা দিচ্ছেন। সব মিলিয়ে ঈদের প্রথম দিন রমনা পার্ক দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে।

ঈদকে কেন্দ্র করে রমনা পার্কের বাইরে ও ভেতরে বসানো হয়েছে ভ্রাম্যমাণ ফুলের দোকান। অনেকে ফুল কিনছেন। পার্কের ভেতরে বিভিন্ন ধরনের খেলনা ও খাবারের দোকানও দেখা গেছে।

শান্তিনগর এলাকা থেকে দুই মেয়েকে নিয়ে রমনা পার্কে ঘুরতে এসেছেন ব্যবসায়ী সরোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, “বাচ্চাদের নিয়ে রমনা পার্কে ঘুরতে এসেছি। বাচ্চারা খেলাধুলা করতে বেশ স্বাচ্ছন্দ বোধ করে। সময় সুযোগ পেলেই তাদেরকে এখানে নিয়ে আসি। পার্কে এসেই দৌড়াদৌড়ি, হই-হুল্লোড় করছে।তাদের বেশ আনন্দে সময় কাটছে।”

পার্কের ভেতরে ফুল বিক্রেতা হেলেনা বলেন, “ঈদ বা বিভিন্ন বিশেষ দিনে পার্কে বেশি মানুষ ঘুরতে আসে। মানুষ বেশি হলে ফুল বা মালা বেশি বিক্রি হয়। সকাল থেকে ২০০ টাকার ফুল ও মালা বিক্রি করছি।”

ঢাকা/এনটি/এসবি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর এস ছ ন করছ ন আনন দ

এছাড়াও পড়ুন:

‘ইনসাফ’-এ ন্যাড়া মাথার চঞ্চল, সারপ্রাইজ ক্যামিওতে যা বলছেন দর্শক

এই ঈদে মুক্তিপ্রাপ্ত ছয়টি সিনেমার মধ্যে অন্যতম আলোচিত ছবি হয়ে উঠেছে তাসনিয়া ফারিণ ও শরীফুল রাজ অভিনীত ‘ইনসাফ’। শুরু থেকেই সিনেমাটি নিয়ে দর্শকদের কৌতূহল ছিল তুঙ্গে। তবে হলে গিয়ে দর্শকরা যে চমক পেয়েছেন, তা একেবারেই অনাকাঙ্ক্ষিত—হঠাৎ করেই পর্দায় হাজির চঞ্চল চৌধুরী!

‘ইনসাফ’-এর কাস্টিং তালিকায় ছিল না চঞ্চলের নাম। তাই সিনেমা দেখতে গিয়ে তাকে পর্দায় দেখে বিস্ময়ে হতবাক হয়েছেন দর্শকেরা। জানা যাচ্ছে, তিনি একটি রহস্যময় ক্যামিও চরিত্রে অভিনয় করেছেন। আর চমকের বড় কারণ ছিল তার লুক—একেবারে ন্যাড়া মাথা, রক্তমাখা দা হাতে, অথচ শান্তভাবে বাজাচ্ছেন ভায়োলিন!

চঞ্চলের এই লুক ও উপস্থিতি যেন পুরো সিনেমার আবহটাই পাল্টে দিয়েছে বলে মনে করছেন ভক্তরা। তাদের ভাষায়, “ন্যাড়া মাথায় চঞ্চলের এই সারপ্রাইজ ক্যামিও সিনেমাটিকে এক অন্য মাত্রা দিয়েছে।”

এরইমধ্যে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে চঞ্চলের এই দৃশ্যের একটি স্থিরচিত্র। ভাইরাল হওয়া একটি পোস্টে দেখা যায়, নিজেই সেটিতে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন চঞ্চল চৌধুরী। ফলে নেটিজেনদের ধারণা, তিনি ভক্তদের ভালোবাসা ও প্রতিক্রিয়াকে গ্রহণ করেছেন আনন্দের সাথেই।

চঞ্চল চৌধুরীর রহস্যময় চরিত্রের প্রতি দর্শকদের আগ্রহ নতুন কিছু নয়। আগেও ‘কারাগার’ ওয়েব সিরিজে রহস্যময় চরিত্রে অভিনয় করে ব্যাপক সাড়া ফেলেছিলেন। সেই ধারাবাহিকতায় ‘ইনসাফ’-এ তার এই নতুন অবতারে আবারও তিনি প্রমাণ করলেন—তিনি চমক দিতে জানেন!

সম্পর্কিত নিবন্ধ