খাগড়াছড়ির বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে স্থানীয়দের ভিড়
Published: 9th, June 2025 GMT
ঈদের টানা ছুটিতে খাগড়াছড়ির বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে বেড়েছে দর্শনাথী সংখ্যা। তারা আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্র, রিচাং ঝরনা, খাগড়াছড়ি হর্টিকালচার পার্ক ঘুরে বেড়াচ্ছেন। যারা ঘুরতে এসেছেন তাদের অধিকাংশ স্থানীয়।
পর্যটন সংশ্লিষ্টরা বলেছে, যেহেতু ঈদের ছুটি শেষ হতে এখনো কিছুদিন বাকি, ফলে অন্য জেলাগুলো থেকে পর্যটকরা আসতে পারেন।
ঢাকা থেকে ঘুরতে আসা মো.
আরো পড়ুন:
পর্যটক বরণে প্রস্তুত রাঙামাটি
তিন শর্তে খুলল রুমা ও থানচির পর্যটন
চট্টগ্রাম থেকে ঘুরতে আসা নির্মল দে জানান, তিনি পরিবার নিয়ে প্রথমবার খাগড়াছড়ি ঘুরতে আসা। তারা খাগড়াছড়ির অনেকগুলো পর্যটন স্পট ঘুরে দেখেছেন। তাদের খুব ভালো লেগেছে।”
আলুটিলা পর্যটনকেন্দ্র
এদিকে, জেলার বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে দর্শনাথী সংখ্যা বাড়ায় বেচাবিক্রি ভালো হচ্ছে বলে জানান পর্যটন নির্ভর ব্যবসায়ীরা।
খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ হর্টিকালচার পার্কের কাপড় ব্যবসায়ী গীতা চাকমা বলেন, “ঈদের ছুটিতে বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে দর্শনাথী বৃদ্ধি পাওয়ায় তাদের ব্যবসা ভালো হচ্ছে। এখনো ছুটি শেষ হতে কয়েকদিন বাকি। অন্য জেলাগুলো থেকে পর্যটকরা আসলে বেচাবিক্রি আরো বৃদ্ধি পাবে।”
আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্রের টিকেট বিক্রেতা লিটন ত্রিপুরা জানান, ঈদের দ্বিতীয় দিন রবিবার তাদের প্রায় ২২০০ টিকেট বিক্রি হয়েছে। এই পর্যটন কেন্দ্রে যারা ঘুরতে এসেছেন তাদের অধিকাংশই স্থানীয়।
খাগড়াছড়ি পর্যটন মোটেলের ব্যবস্থাপক উত্তম কুমার মজুমদার জানান, তাদের ৭০ভাগ রুম বুকিং হয়েছে। পর্যটকদের সেবা দিতে তারা প্রস্তুত।
খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার আরেফিন জুয়েল জানান, ঈদের ছুটিতে পর্যটকেরা যাতে নিরাপদে ঘুরে চলে যেতে পারেন সে বিষয়ে কাজ করছে পুলিশ। পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য সেনাবাহিনীও কাজ করছে।
ঢাকা/রূপায়ন/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ভ রমণ পর যটক আল ট ল ব যবস
এছাড়াও পড়ুন:
কাপ্তাই হ্রদে পানি বেড়ে ডুবে গেছে রাঙামাটির ঝুলন্ত সেতু
টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে কাপ্তাই হ্রদে পানি বেড়ে যাওয়ায় ডুবে গেছে রাঙামাটির ঝুলন্ত সেতু। দুর্ঘটনা এড়াতে পর্যটকদের সেতুটিতে উঠতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে রাঙামাটি পর্যটক কমপ্লেক্স।
পর্যটক কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের কারণে গত সোমবার সেতুর কিছু অংশে পাটাতনের ওপর পানি ওঠে। তবে আজ বুধবার সকাল ছয়টার দিকে পানি বেড়ে সেতুটি তলিয়ে যায়। এ পরিস্থিতিতে সকাল ১০টার দিকে সেতুতে উঠতে পর্যটকদের জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
রাঙামাটি পর্যটন কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপক আলোক বিকাশ চাকমা সকালে প্রথম আলোকে বলেন, ‘সেতুর পাটাতনের ওপর এখন চার ইঞ্চির মতো পানি রয়েছে। পর্যটকদের জন্য সেতুতে উঠতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হলেও নিকটবর্তী এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা সেতু দিয়ে পারাপার করতে পারবেন।’