ঈদের টানা ছুটিতে খাগড়াছড়ির বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে বেড়েছে দর্শনাথী সংখ্যা। তারা আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্র, রিচাং ঝরনা, খাগড়াছড়ি হর্টিকালচার পার্ক ঘুরে বেড়াচ্ছেন। যারা ঘুরতে এসেছেন তাদের অধিকাংশ স্থানীয়।

পর্যটন সংশ্লিষ্টরা বলেছে, যেহেতু ঈদের ছুটি শেষ হতে এখনো কিছুদিন বাকি, ফলে অন্য জেলাগুলো থেকে পর্যটকরা আসতে পারেন।

ঢাকা থেকে ঘুরতে আসা মো.

শাহাব উদ্দিন বলেন, “এই প্রথম দুই ছেলে-মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে খাগড়াছড়িতে ঘুরতে এসেছি। রিচাং ঝরনা ও হর্টিকালচার পার্ক ঘুরে আলুটিলা ঘুরে দেখেছি। খুব ভালো লেগেছে। আলুটিলা থেকে শহর ও জেঙ্গী নদী সবকিছু দেখা যায়।”

আরো পড়ুন:

পর্যটক বরণে প্রস্তুত রাঙামাটি

তিন শর্তে খুলল রুমা ও থানচির পর্যটন

চট্টগ্রাম থেকে ঘুরতে আসা নির্মল দে জানান, তিনি পরিবার নিয়ে প্রথমবার খাগড়াছড়ি ঘুরতে আসা। তারা খাগড়াছড়ির অনেকগুলো পর্যটন স্পট ঘুরে দেখেছেন। তাদের খুব ভালো লেগেছে।”

আলুটিলা পর্যটনকেন্দ্র 

এদিকে, জেলার বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে দর্শনাথী সংখ্যা বাড়ায় বেচাবিক্রি ভালো হচ্ছে বলে জানান পর্যটন নির্ভর ব্যবসায়ীরা।

খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ হর্টিকালচার পার্কের কাপড় ব্যবসায়ী গীতা চাকমা বলেন, ‍“ঈদের ছুটিতে বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে দর্শনাথী বৃদ্ধি পাওয়ায় তাদের ব্যবসা ভালো হচ্ছে। এখনো ছুটি শেষ হতে কয়েকদিন বাকি। অন্য জেলাগুলো থেকে পর্যটকরা আসলে বেচাবিক্রি আরো বৃদ্ধি পাবে।”

আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্রের টিকেট বিক্রেতা লিটন ত্রিপুরা জানান, ঈদের দ্বিতীয় দিন রবিবার তাদের প্রায় ২২০০ টিকেট বিক্রি হয়েছে। এই পর্যটন কেন্দ্রে যারা ঘুরতে এসেছেন তাদের অধিকাংশই স্থানীয়।

খাগড়াছড়ি পর্যটন মোটেলের ব্যবস্থাপক উত্তম কুমার মজুমদার জানান, তাদের ৭০ভাগ রুম বুকিং হয়েছে। পর্যটকদের সেবা দিতে তারা প্রস্তুত।

খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার আরেফিন জুয়েল জানান, ঈদের ছুটিতে পর্যটকেরা যাতে নিরাপদে ঘুরে চলে যেতে পারেন সে বিষয়ে কাজ করছে পুলিশ। পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য সেনাবাহিনীও কাজ করছে।

ঢাকা/রূপায়ন/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ভ রমণ পর যটক আল ট ল ব যবস

এছাড়াও পড়ুন:

ফাটল-ধসে বিপর্যস্ত মাধবকুণ্ড, ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে লাল পতাকা

গত কয়েক দিনের ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের কারণে দেশের অন‍্যতম জলপ্রপাত মৌলভীবাজারের মাধবকুণ্ডের প্রবেশ রাস্তা দেবে গেছে। ফাটল দেখা দিয়েছে পাশের গাইডওয়ালে। পর্যটকদের সতর্কতার সঙ্গে চলাচলের আহ্বান জানিয়েছে বনবিভাগ। তাদের সতর্ক করার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে লাল পতাকা ও সাইনবোর্ড টাঙানো হয়েছে।

এর আগে, ২০১৭ সালে ভারীবর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে সড়কের একইস্থান কয়েক ফুট মাটির নিচে দেবে গিয়েছিল। পরে কর্তৃপক্ষ তা মেরামত করে চলাচলের উপযোগী করে।

স্থানীয়রা জানান, অব্যবস্থাপনা ও কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারণে জলপ্রপাতস্থলে যাওয়ার রাস্তাটি দিন দিন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। ভারী বর্ষণ অব্যাহত থাকলে ফের রাস্তাটি দেবে যেতে পারে। ফলে অনাকাঙ্খিত দুর্ঘটনার শঙ্কা বাড়ছে।

আরো পড়ুন:

দর্শণার্থীদের পদভারে মুখর রাঙামাটি

কুয়াকাটায় কাঙ্ক্ষিত পর্যটক নেই

সাম্প্রতিক ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢল নামে। এতে দেশের অন্যতম মাধবকুণ্ড জলপ্রপাত ও ইকোপার্কে যাওয়ার রাস্তার প্রায় ৩৫ মিটার স্থান নিচের দিকে দেবে যায়। রাস্তা ছাড়াও পাশের গাইডওয়ালেও ফাটল দেখা দেয়। স্থানীয় বনবিভাগ রাস্তার দেবে যাওয়া অংশে ইতিমধ্যে বালুর বস্তা ফেলে তা মেরামত করে চলাচলের উপযোগী করেছে। 

মাধবকুণ্ড ইকোপার্কের পর্যটন রেস্তোরার সামনের রাস্তার একাংশ দেবে গেছে। গাইডওয়ালও ফেটে গেছে। বেকে গেছে রাস্তার পাশের রেলিং। বনবিভাগ রাস্তাটির দেবে যাওয়া অংশ মেরামত করে সেখানে সতর্কতামূলকভাবে লাল পতাকা টাঙিয়েছে। জলপ্রপাতে নামার সিঁড়ির নিচের মাটি অল্প অল্প করে সরে যাচ্ছে। 

সিরাজগঞ্জ থেকে মাধবকুণ্ডে বেড়াতে আসা শিক্ষার্থী আব্দুল আলিম ও আছের উদ্দিন জানান, তারা সবাই শিক্ষার্থী। এখানে তারা প্রথমবার ঘুরতে এসেছেন। মাধবকুণ্ডের জলপ্রপাত ও প্রকৃতি খুবই মনোমুগ্ধকর। জলপ্রপাতের রাস্তা দেবে যাওয়ার বিষয়টি তারা জানতেন না। এখানে এসে জানতে পেরেছেন। অনেক দূর থেকে আসায় ঝুঁকি নিয়েই রাস্তা পার হয়েছেন।

স্থানীয় ক্যামেরাম্যান জুয়েল আহমদ বলেন, “কয়েকদিন আগে ভারী বৃষ্টি ও ঢলের কারণে জলপ্রপাতের যাওয়ার রাস্তা দেবে যায়। বর্তমানে এটি মেরামত করা হয়েছে।” 

মাধবকুণ্ড পর্যটন পুলিশের এসআই সুমন সিংহ বলেন, “বৈরী আবহাওয়ার মধ্যে আমরা পর্যটকের নিরাপত্তায় কাজ করছি। ভারী বর্ষণে রাস্তা কিছুটা দেবে গেলেও কোনো অনাকাঙ্খিত কোনো ঘটনা ঘটেনি। আমরা সবসময় সতর্ক রয়েছি।”

বন বিভাগের বড়লেখা রেঞ্জের দায়িত্বে থাকা সহকারী বন সংরক্ষক মো. রেজাউল মৃধা বলেন, “চারদিনের ভারীবর্ষণ আর প্রবল পাহাড়ি ঢলে মাধবকুণ্ড জলপ্রপাত ও ইকোপার্কে যাওয়ার রাস্তাটির প্রায় ৩৫ মিটার স্থান দেবে যায়। এর আগেও একইস্থান দেবে গিয়েছিল। ইতোমধ্যে দেবে যাওয়া স্থানে বালুর বস্তা ফেলে পর্যটক চলাচলের উপযোগী করা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলোতে সতর্কতামূলক সাইনবোর্ড লাগানো হয়েছে।” 

তিনি জানান, এ বিষয়টি তিনি লিখিতভাবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষে জানিয়েছেন। তিনি ঈদের ছুটিতে আগত পর্যটকদের সতর্কতার সঙ্গে চলাচল ও সৌন্দর্য উপভোগের আহ্বান জানিয়েছেন।

ঢাকা/আজিজ/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • রুমা ও থানচি যেতে পর্যটকদের বাড়তি আগ্রহ
  • ঈদের তৃতীয় দিন কুয়াকাটা পর্যটকে মুখর
  • পর্যটকে মুখর সাগরকন্যা কুয়াকাটা 
  • সাগরকন্যা কুয়াকাটায় পর্যটকের আনাগোনা কম, হতাশ ব্যবসায়ীরা
  • ঈদের ছুটি কাটাতে কক্সবাজার সৈকতে পর্যটকের ভিড় বাড়ছে
  • ফাটল-ধসে বিপর্যস্ত মাধবকুণ্ড, ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে লাল পতাকা
  • নিস্তব্ধ পাহাড়ের পাদদেশে মুখরিত টাঙ্গুয়ার হাওর
  • কাঙ্ক্ষিত পর্যটক নেই কুয়াকাটায়
  • পাহাড়, নদী ও লেকের অপার সৌন্দর্য নিয়ে অপেক্ষায় টাঙ্গুয়ার হাওর