পরিবেশকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ ও অন্যান্য সমাজকর্মীরা ‘ফ্রিডম ফ্লোটিলা’ নামের একটি ত্রাণবাহী জাহাজ নিয়ে গাজা অভিমুখে সমুদ্রপথে যাত্রা করেছিলেন। তবে তাদের সে জাহাজ এবার আন্তর্জাতিক জলসীমা থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে অপহৃত হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গ্রেটা নিজেই। খবর আল জাজিরার।

একটি ভিডিও বার্তায় গ্রেটা বলেন, “আমার নাম গ্রেটা থুনবার্গ, আমি সুইডেন থেকে এসেছি। আন্তর্জাতিক জলসীমায় আমাদের আটকে রাখা হয়েছে। দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী কিংবা ইসরায়েলকে সমর্থন জোগানো বাহিনী আমাদের অপহরণ করেছে।”

এই ভিডিওটি ইসরায়েলি বাহিনীর হস্তক্ষেপের সম্ভাবনা মাথায় রেখে আগেই রেকর্ড করা হয়েছিল বলে জানা গেছে। ভিডিওতে গ্রেটা তার বন্ধু, পরিবার এবং সহকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান যেন তারা সুইডিশ সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করে, তার ও তার সহযাত্রীদের মুক্তির ব্যবস্থা করতে।

আরো পড়ুন:

ইসরায়েলি হামলায় আরো ১০৮ ফিলিস্তিনি নিহত

গাজায় ঈদের দ্বিতীয় দিন ইসরায়েলের হামলায় নিহত ৭২

গ্রেটা ভিডিও প্রকাশের কিছুক্ষণ পরেই রবিবার (৮ জুন) গভীর রাতে টেলিগ্রামে এক পোস্টে ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন (এফএফসি) নিশ্চিত করে যে, ইসরায়েলি সেনারা তাদের গাজামুখী জাহাজ ‘ম্যাডলিন’-এ প্রবেশ করেছে। টেলিগ্রামে এফএফসি জানায়, “এসওএস! ‘ম্যাডলিন’-এর স্বেচ্ছাসেবকদের ইসরায়েলি বাহিনী অপহরণ করেছে।”

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ আগেই বলেছিলেন যে, “আমি ইসরায়েলি সেনাবাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছি যেন ম্যাডলিন জাহাজ গাজার দিকে না যেতে পারে।”

জার্মানভিত্তিক প্রেস কর্মকর্তা মাহমুদ আবু-ওদে এএফপি-কে জানান, ‘অ্যাকটিভিস্টদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলেই মনে হচ্ছে।’

ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, নৌবাহিনী জাহাজটিকে দিক পরিবর্তন করতে বলেছিল, কারণ এটি ‘নিষিদ্ধ এলাকায়’ প্রবেশ করছিল। 

রবিবার রাতে ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ম্যাডলিনকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার তথ্য স্বীকার করেছে। জাহাজটিতে ‘সেলফি ইয়ট’ অভিহিত করে এক্সে দেওয়া পোস্টে ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, তারকাদের বহনকারী সেলফি ইয়টকে নিরাপদে ইসরায়েলের উপকূলের দিকে নিয়ে আসা হচ্ছে।

মানবাধিকার কর্মীরা গণমাধ্যমকে উসকে দিয়ে কেবল প্রচার পেতেই জাহাজটি নিয়ে রওয়ানা হয়েছিলেন বলেও অভিযোগ করেছে ইসরায়েলি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

দেড় বছরের বেশি সময় ধরে ইসরায়েলি আগ্রাসন ও অবরোধে বিপর্যস্ত ফিলিস্তিনের গাজায় ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার জন্য ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশনের উদ্যোগে ১৮ মিটার লম্বা পালতোলা জাহাজ ম্যাডলিন গত ১ জুন ইতালির সিসিলির কাতানিয়ার সান জিওভানি লি কুটি বন্দর থেকে গাজার উদ্দেশ্যে যাত্রা করে।

ম্যাডলিনে মোট ১২ জন আরোহী, যার মধ্যে ১১ জন অ্যাক্টিভিস্ট এবং একজন সাংবাদিক।

তাদের মধ্যে রয়েছেন সুইডিশ জলবায়ু কর্মী গ্রেটা থুনবার্গ, ফরাসি-ফিলিস্তিনি ইউরোপীয় সংসদ সদস্য রিমা হাসান, জার্মানির ইয়াসেমিন আকার, ফ্রান্সের ব্যাপটিস্ট আন্দ্রে, প্যাসকেল মৌরিয়েরাস, ইয়ানিস মাহামদি এবং রেভা ভিয়ার্ড; ব্রাজিলের থিয়াগো আভিলা, তুরস্কের সুয়াইব ওরডু, স্পেনের সার্জিও টোরিবিও, নেদারল্যান্ডসের মার্কো ভ্যান রেনেস এবং আল জাজিরার সাংবাদিক ওমর ফাইয়াদ, তিনিও ফ্রান্সের।

আয়োজকদের মতে, জাহাজটি গাজার জনগণের জন্য জরুরিভাবে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বহন করছে, যার মধ্যে রয়েছে শিশুর ফর্মুলা, আটা, চাল, ডায়াপার, নারীদের স্যানিটারি পণ্য, পানি ডিস্যালিনেশন কিট, চিকিৎসা সরবরাহ, ক্রাচ এবং শিশুদের প্রস্থেটিক্স।

ঢাকা/ফিরোজ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইসর য় ল ইসর য় ল র জ হ জট

এছাড়াও পড়ুন:

বন্ধুদের নিয়ে ‘উড়াল’

আট বছর আগে জোবায়দুর রহমানকে গল্পটা শুনিয়েছিলেন সম্রাট প্রামানিক। জোবায়দুর তখন সহকারী পরিচালক, স্বপ্ন চলচ্চিত্র নির্মাতা হওয়া। কয়েক বছর পর সত্যি সত্যিই যখন সিনেমা নির্মাণের কথা ভাবলেন, শুরুতেই তাঁর সেই গল্পের কথা মনে পড়ল। সম্রাটকে ফোন করলেন জোবায়দুর, চায়ের দোকানে বসে আবারও গল্পটা শুনলেন। ঠিক করলেন, এ গল্প থেকেই ছবি বানাবেন তিনি।

পেশাদার কোনো প্রযোজকের কাছে যাননি জোবায়দুর, নিজেরাই স্বাধীনভাবে ছবিটি নির্মাণ করেছেন; পাশে ছিলেন ভাই-বন্ধুরা। নির্মাতা বললেন, ‘এটাই আমার প্রথম নির্মাণ, আগে কোনো কাজ করিনি। কী করা যায়? আশপাশের ভাই–বন্ধুদের সঙ্গে আলোচনা করলাম। শরীফ সিরাজ, সম্রাট প্রামানিক, জহিরুল ইসলামসহ তিন-চারজন মিলে কাজটা শুরু করি।’ তাঁরা কেন বিনিয়োগ করলেন? এমন প্রশ্নের জবাবে নির্মাতা জোবায়দুর বলেন, ‘গল্পের কারণে আগ্রহী হয়েছেন তাঁরা।’

শুটিংয়র ফাঁকে তোলা ছবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ