স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, এপ্রিলের প্রথমার্ধে নির্বাচনের সম্ভাব্য যে ডেট (তারিখ) দেওয়া হয়েছে, তা মাথায় রেখে যথাসময়ে রোডম্যাপ দেবে নির্বাচন কমিশন। 

আজ সোমবার সকালে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার জাহাপুর বাজারে সাধারণ মানুষের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

আসিফ মাহমুদ বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো থেকে যে কনসার্ন ছিল- স্থানীয় সরকার নির্বাচন হলে সংসদ নির্বাচন পিছিয়ে যেতে পারে। এখন তো আর সেই সম্ভাবনাটা নেই; যেহেতু প্রধান উপদেষ্টা একটা সময় নির্ধারণ করে দিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, জনগণ অধিকাংশ সেবা স্থানীয় সরকার মাধ্যমে পেয়ে থাকেন, সেগুলো বিঘ্নিত হচ্ছে দীর্ঘদিন ধরে। এটা আমাদের একটা কনসার্ন। আমরা অনেক জনকল্যাণমূলক কাজ করার চেষ্টা করছি। কিন্তু যে দৈনন্দিন সেবাগুলো দেওয়ার কথা, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি না থাকায় সেগুলো দিতে পারছি না। স্থানীয় সরকার নির্বাচন আয়োজন করাটা সরকারের প্রথম থেকেই সদিচ্ছা ছিল। স্থানীয় সরকারের অনেকগুলো স্তর রয়েছে, কতটুকু আমরা করতে পারি সেটা দেখব এবং সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনকে নির্বাচন আয়োজনের জন্য বলতে পারি।
 
মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাদেশ নিয়ে গুজব ছড়ানো হয়েছে বলে উল্লেখ করে আসিফ মাহমুদ বলেন, এটা মেইন স্ট্রিম মিডিয়া থেকেও হয়েছে। এটা সবচেয়ে দুঃখজনক। সোশ্যাল মিডিয়া একটা গুজব ছড়াতেই পারে, কিন্তু সেটা যখন মেইন স্ট্রিম মিডিয়া যায়, এটা আসলে জাতিগতভাবে আমরা পিছিয়ে আছি। পরবর্তীতে সেটা ফ্যাক্ট চেক এর মাধ্যমে জানতে হয় কতটুকু সত্যি।

এ সময় কুমিল্লা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নাজির আহমেদ খান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) পঙ্কজ পড়ুয়া, মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.

আব্দুর রহমানসহ প্রশাসনের পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

মুরাদনগরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মুখপাত্র কেয়ার পদত্যাগ

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম সংগঠক এবং কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র খাদিজা আক্তার কেয়া পদত্যাগ করেছেন। শনিবার (২৬ জুলাই) রাতে নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডি থেকে এক আবেগঘন পোস্টের মাধ্যমে তিনি এই ঘোষণা দেন।

খাদিজা আক্তার কেয়া মুরাদনগর উপজেলার উত্তর ত্রিশ গ্রামের বাসিন্দা এবং মৃত কবির হোসেনের মেয়ে। তিনি বর্তমানে কোম্পানিগঞ্জ বদিউল আলম ডিগ্রি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।

নিজের পোস্টে কেয়া লেখেন, “যার জন্য করলাম চুরি, সেই বলে চোর! এটা আমার ক্ষেত্রেই যে প্রযোজ্য হবে না, কে বলল? আপনারা সবাই জানেন, আমি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একজন দায়িত্বশীল কর্মী ছিলাম। কিন্তু আজকের পর থেকে এই আন্দোলনের সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই।”

আরো পড়ুন:

আগস্টে পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবা

যশোরে শিক্ষা বোর্ড ও ডিসি অফিসের সামনে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

তিনি আরো বলেন, “আমরা গণ-অভ্যুত্থানের পর একটি প্লাটফর্মে এসেছিলাম মুরাদনগর থেকে। সেই অভ্যুত্থানে আমাদের হাজারো ভাই-বোন শহীদ হয়েছেন। আমি তাদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি করতে পারি না। তাই আমি নিজেই এইসব কিছু থেকে সরে দাঁড়ালাম। আজ থেকে এই প্লাটফর্মের সঙ্গে আমার সংশ্লিষ্টতা থাকবে না।”

কেয়া তার বক্তব্যে স্পষ্ট করেন, তিনি কোনো রাজনৈতিক দল বা ব্যক্তি কেন্দ্রিক রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন না এবং ভবিষ্যতেও থাকবেন না। তবে দেশের স্বার্থে ও সংস্কারের পক্ষে তিনি সবসময় সংগ্রামে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। তিনি লেখেন, “দেশের স্বার্থে আমি সবসময় লড়াই করে যাবো। আমাকে সবসময় দেশের পক্ষে পাওয়া যাবে ইনশাআল্লাহ।”

কেয়ার এ পদত্যাগে ছাত্র আন্দোলনের ভেতরে আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়ে আন্দোলনের অন্যান্য নেতারা এখনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানাননি। 
 

ঢাকা/রুবেল/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মুরাদনগরে দুই সন্তানসহ নারীকে হত্যায় বিএনপি নেতা গ্রেপ্তার, পরিবার বলছে ষড়যন্ত্র
  • কুমিল্লায় ট্রিপল মার্ডার মামলায় বিএনপি নেতা গ্রেপ্তার
  • মুরাদনগরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মুখপাত্র কেয়ার পদত্যাগ