নিজেকে বুঝিয়েছিলাম কেঁদে লাভ নেই, দেবশ্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদ নিয়ে প্
Published: 10th, June 2025 GMT
ভারতীয় বাংলা সিনেমার তারকা জুটি প্রসেনজিৎ চ্যাটার্জি ও দেবশ্রী রায়। পর্দায় এ জুটির রোমান্স দেখে মুগ্ধ হয়েছেন অসংখ্য ভক্ত। রুপালি পর্দার রোমান্স ব্যক্তিগত জীবনেও গড়ায়। ভালোবেসে দেবশ্রী রায়কে বিয়ে করেন প্রসেনজিৎ। কিন্তু কয়েক বছর পরই এ বিয়ে ভেঙে যায়। তারপর দুজনের পথ আলাদা হয়ে যায়।
বিয়ে ভেঙে যাওয়ার প্রায় তিন দশক পর প্রথম বিয়েবিছেদ নিয়ে মুখ খুললেন প্রসেনজিৎ। দেবশ্রীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয়ে যাওয়ার পর মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন বলে জানিয়েছেন এই অভিনেতা।
টাইমস নাউকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রসেনজিৎ বলেন, একটা সময় ছিল যখন খুবই কম কাজ করতাম। এতটাই হতাশায় ডুবে গিয়েছিলাম যে, ঠিকমতো কাজ করতেও পারছিলাম না। আমরা একে অপরকে দোষারোপ করতাম, মানসিকভাবে এতটাই বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছিলাম যে সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে পারছিলাম না।
আরো পড়ুন:
তানিন সুবহার জীবনের অজানা অধ্যায়
শাকিব খান সম্পর্কে এই চমকপ্রদ তথ্যগুলো জানেন?
ব্যক্তিগত জীবনের পাশাপাশি পেশাগত কারণে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন প্রসেনজিৎ। এ তথ্য জানিয়ে তিনি বলেন, ‘‘যে সময় আমি হতাশায় ডুবে ছিলাম, ঠিক সেই সময়ে শীর্ষস্থানীয় সংবাদপত্রে বাংলা অভিনেতাদের নাম প্রকাশ হয়েছিল যেখানে এক থেকে দশের মধ্যে আমার নাম ছিল না। ব্যক্তিগত জীবনের পাশাপাশি পেশাগত দিক থেকেও তখন ভীষণ চিন্তায় ছিলাম আমি।’’
খারাপ পরিস্থিতি কাটিয়ে ওঠার গল্প জানিয়ে প্রসেনজিৎ বলেন, ‘‘আমি যখন আবার সেটে ফিরে আসি, তখন একসঙ্গে নয়টি সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হই। এটা আমার কাছে একটা আশীর্বাদ ছিল। আমার মনে হয়েছিল আবেগ প্রকাশের কোনো মানে হয় না। সবকিছুর জন্য নির্দিষ্ট একটি স্থান থাকে। আমারও একটি ছোট্ট বাগান আছে, সেটাই আমার নিজস্ব জায়গা। সেই সময় ৩০ দিন সময় নিয়েছিলাম নিজেকে ফিরিয়ে আনার জন্য। নিজেকে বুঝিয়েছিলাম কেঁদে কোনো লাভ নেই।’’
দেবশ্রী-প্রসেনজিৎ অনেক ছোটবেলা থেকে একে অপরকে চিনতেন। দেবশ্রীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের পর প্রসেনজিৎ অপর্ণা গুহ ঠাকুরতার সঙ্গে প্রেম করেন। কিন্তু এই বিয়েও ভেঙে যায়। বর্তমানে অর্পিতাকে বিয়ে করে সুখে সংসার করছেন।
ঢাকা/শান্ত/বকুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
২২ অনাথ কাশ্মীরি শিশুর পড়াশোনার দায়িত্ব নিলেন রাহুল গান্ধী
অপারেশন সিঁদুর চলাকালীন পাকিস্তানি গোলায় ভারত–নিয়ন্ত্রিত জম্মু–কাশ্মীরে যাঁরা নিহত হয়েছিলেন, তাঁদের পরিবারের ২২ অনাথ শিশুর লেখাপড়ার পুরো দায়িত্ব নিয়েছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। ওই শিশুরা পুঞ্চ জেলার সীমান্তবর্তী এলাকার বাসিন্দা।
স্কুলের গণ্ডি পেরিয়ে কলেজে উঠে স্নাতক হওয়া পর্যন্ত ওই শিশুদের পড়াশোনার সব খরচ রাহুল গান্ধী বহন করবেন। সেই খরচের প্রথম কিস্তির টাকা বুধবার ওই পড়ুয়াদের স্কুলে পৌঁছে যাবে বলে জানিয়েছেন জম্মু–কাশ্মীরের কংগ্রেস সভাপতি তারিক হামিদ কাররা।
পেহেলগামে গত ২২ এপ্রিল পর্যটকদের ওপর সশস্ত্র হামলা চালিয়েছিল কয়েকজন জঙ্গি। সেই হামলায় নিহত হয়েছিলেন মোট ২৬ জন পর্যটক। প্রত্যাঘাতের জন্য ভারত শুরু করে অপারেশন সিঁদুর। চার দিনের সেই লড়াইয়ের সময় জম্মুর সীমান্তবর্তী এলাকায় প্রবল গোলাবর্ষণ করে পাকিস্তান। সেই হামলায় মারা গিয়েছিলেন ২৭ জন গ্রামবাসী। আহত হয়েছিলেন ৭০ জনের বেশি। যাঁরা নিহত হয়েছিলেন, ওই ২২ শিশু ওইসব পরিবারেরই সন্তান। তাদের কেউ বাবা, কেউ মা, কেউ–বা দুজনকেই হারিয়েছে। কারও পরিবারের একমাত্র কর্মক্ষম ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।
রাহুল গত মে মাসে ওইসব এলাকায় গিয়েছিলেন। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। অনাথ শিশুদের স্কুলেও গিয়েছিলেন। ওই সময় তিনি দলীয় নেতাদের নির্দেশ দিয়েছিলেন অনাথ শিশুদের তালিকা তৈরি করতে। সরকারি নথির সঙ্গে সেই নাম মিলিয়ে ২২ জনের চূড়ান্ত তালিকা প্রস্তুত হয়। পুঞ্চ জেলা সফরের সময় রাহুল তাঁর ইচ্ছার কথা জানিয়ে বলেছিলেন, ওই শিশুদের স্নাতক স্তর পর্যন্ত পড়াশোনার সব খরচ তিনি দেবেন।
পাকিস্তানের গোলার আঘাতে মারা গিয়েছিলেন ১২ বছরের দুই যমজ ভাই–বোন জাইন আলি ও উরবা ফতিমা। রাহুল তাঁদের স্কুলে গিয়েছিলেন। সেই স্কুলের পড়ুয়াদের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। তাঁদের বলেছিলেন, তোমরা তোমাদের বন্ধুদের হারিয়েছ। সে জন্য তোমাদের মন খারাপ। ওই মৃত্যু আমাকেও দুঃখ দিয়েছে। তোমাদের দুঃখ আমি বুঝি। কিন্তু তোমাদের জন্য আমি গর্বিত। তোমরা ভয়কে জয় করেছ। রাহুল ওই শিশুদের বলেছিলেন, ভয়কে জয় করতে হবে। সুদিন আসবে। সব আবার স্বাভাবিক হবে।
ওই ২২ জনের জন্য বছরে কত খরচ হবে প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব তা জানাননি।