নারায়ণগঞ্জ রূপগঞ্জে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় মামুন মিয়া নামে এক মুদি দোকানি গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন। গুরুতর আহত হয়েছেন খোকা মিয়া নামে আরেক যুবক। 

মঙ্গলবার বিকেলে রূপগঞ্জ উপজেলার মাঝিপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত মামুন ওই এলাকার আব্দুল মন্নাফের ছেলে ও খোকা মিয়া একই এলাকার কবির মিয়ার ছেলে। 

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভুলতা ইউনিয়ন যুবদল নেতা বাদল মিয়া বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মুস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়া দিপুর সঙ্গে রাজনীতি করেন। অন্যদিকে বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য কাজী মনিরুজ্জামান মনিরের সঙ্গে রাজনীতি করেন ভুলতা ইউনিয়ন ছাত্রদল নেতা জাহিদুল ইসলাম বাবু। এই দুই গ্রুপের মাঝে এলাকার নানা আধিপত্য নিয়ে বিরোধ রয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে বাদল মিয়া ও তার লোকজন লাঠিসোঁটা নিয়ে বাবুর সমর্থক খোকা মিয়াকে নিজ বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে এসে নির্যাতন করে এবং হাত-পা ভেঙে দেয়। পরে বাবু ও তার লোকজন লাঠিসোঁটা নিয়ে খোকাকে উদ্ধার করতে যায়।

পরে বাদলের লোকজনের সঙ্গে বাবুর লোকজনের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে দুই পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এ সময় বাদল মিয়ার ভাই মুদি দোকানি মামুন মিয়া মাথায় গুলিবিদ্ধ হন। পরে মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে এবং খোকা মিয়াকে পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মঙ্গলবার রাত সাড়ে আটটায় মামুন ঢামেক হাসপাতালে মারা যান।

নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মেহেদী ইসলাম বলেন, গোলাগুলি ও সংঘর্ষের ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব এনপ হত য ন র য়ণগঞ জ র ল কজন স ঘর ষ ব এনপ

এছাড়াও পড়ুন:

বেলাবতে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ, যুবক নিহত

নরসিংদীর বেলাব উপজেলায় দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে সাইফুল ইসলাম (২৭) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১১ পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ৩০ জন।

বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে উপজেলার বেলাব ইউনিয়নের মাটিয়ালপাড়া ও চরবেলাব গ্রামের মধ্যবর্তী সেতু এলাকায় দফায় দফায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। নিহত সাইফুল চরবেলাব গ্রামের মো. জীবন মিয়ার ছেলে। 

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, বুধবার বিকেলে বেলাব হোসেন আলী সরকারি কলেজ মাঠে একটি প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। খেলা শেষে বাড়ি ফেরার পথে চরবেলাব গ্রামের মোটরসাইকেল আরোহী ও বেলাব মাটিয়ালপাঁড়া গ্রামের অটোরিকাশচালকের মধ্যে সড়কে সাইড দেওয়াকে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটি হয়। পরে এ ঘটনায় দুই গ্রামের বেশ কয়েকজন যুবক সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় আহত হন চারজন। এ ঘটনার জেরে আজ সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বেলাব মাটিয়ালপাঁড়া ও চরবেলাব গ্রামের শত শত মানুষ লাঠিসোঁটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাবার বুলেট ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে। এ সময় ১১ পুলিশ সদস্যসহ  দুই গ্রামের অন্তত ১৯ জন আহত হন। তাদের বেলাব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ নরসিংদী ও ভৈরবের বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

নিহত সাইফুলের পরিবারের দাবি, পুলিশের ছোড়া রাবার বুলেটে  সাইফুলে মৃত্যু হয়েছে।

বেলাব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর মাহবুবুর রহমান বলেন, সংঘর্ষে দেশীয় অস্ত্রের পাশাপাশি দুই গ্রামের মানুষই আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে। এসময় উত্তেজিত গ্রামবাসী পুলিশের ওপরও
হামলা করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও আত্মরক্ষার্থে পুলিশও রাবার বুলেটে ছোড়ে। যিনি মারা গেছেন তিনি গ্রামবাসীর নাকি পুলিশের গুলিতে মারা গেছেন, তা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে জানা যাবে।

নরসিংদী অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুজন চন্দ্র সরকার জানান, ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত। 
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ