সাগরে মাছ ধরায় ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ আজ, সুফল পাওয়া নিয়ে প্রশ্ন
Published: 11th, June 2025 GMT
মাছের বংশবিস্তার, বেড়ে ওঠা ও টেকসই আহরণের জন্য বঙ্গোপসাগরে সব ধরনের মাছ ধরার ওপর ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হচ্ছে আজ বুধবার মধ্যরাতে। গত ১৫ এপ্রিল থেকে ১১ জুন পর্যন্ত ৫৮ দিন বঙ্গোপসাগরে সব ধরনের মাছ ধরা, পরিবহন ও সংরক্ষণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল সরকার। আগে এই নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ ছিল ৬৫ দিন।
তবে এ নিষেধাজ্ঞা কতটা কার্যকর হয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকুয়াকালচার বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মীর মোহাম্মদ আলী। তিনি ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা পুনর্বিন্যাস করার বিষয়ে কারিগরি গবেষণার তাগিদ দিয়ে আসছিলেন। তিনি বলেন, ‘এটা দুঃখজনক হলেও সত্য যে বড় ট্রলারগুলোর অধিকাংশ নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে মাছ ধরেছে। এটা এই উদ্যোগের কার্যকারিতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।’
বঙ্গোপসাগরে ভারত ও বাংলাদেশ সরকার বছরের নির্দিষ্ট একটি সময়ে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা দেয়। প্রতিবছর বাংলাদেশের জলসীমায় এ নিষেধাজ্ঞা ছিল ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই, ৬৫ দিন। আর ভারতের জলসীমায় তা থাকে ১৫ এপ্রিল থেকে ১৪ জুন, ৬১ দিন। জেলেদের অভিযোগ, বাংলাদেশের নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকার মধ্যে প্রায় ৩৯ দিন ভারতীয় জেলেরা দেদারে বাংলাদেশের জলসীমায় প্রবেশ করে মাছ ধরে নিয়ে যান। এতে দেশের লাখ লাখ জেলেকে ক্ষতিগ্রস্ত হতে হয়। সেই সঙ্গে সরকার যে উদ্দেশে এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করত, তা শুধু ব্যাহতই হয় না; বরং দেশের সমুদ্র ও অভ্যন্তরীণ উৎসে মাছের মজুতও হুমকিতে পড়ে।
এমন দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সরকার মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞার সময়সীমা পুনর্বিন্যাস করে যে প্রজ্ঞাপন জারি করে, তাতে প্রতিবছর ১৫ এপ্রিল থেকে ১১ জুন পর্যন্ত ৫৮ দিন নির্ধারণ করা হয়। একই সময়ে নিষেধাজ্ঞা থাকবে বঙ্গোপসাগরের ভারতের জলসীমায়ও। এ ক্ষেত্রে ভারতের নিষেধাজ্ঞো বলবৎ থাকার দুই দিন আগে বাংলাদেশের সামুদ্রিক জলসীমায় নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়ে যাবে।
সাগর মোহনা ও উপকূলে ছোট নৌকা ও ট্রলারে যেসব সাধারণ জেলে মাছ শিকার করেন, তাঁরা অধিকাংশই নিষেধাজ্ঞা মেনে মাছ ধরায় বিরত ছিলেন। বরগুনার তালতলী, নিদ্রা, সখিনা ও বরিশালের লাহারহাট ও কালীগঞ্জ এলাকার অন্তত ১১ জন জেলে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বড় ট্রলারের বেশির ভাগই নিষেধাজ্ঞার সময় সাগরে গেছে। ছোট ট্রলারের গরিব জেলেরা সাগরে নামেননি।
বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, ‘অনেক ট্রলারমালিক ও জেলে নিষেধাজ্ঞা মানেননি, আমাদের কথা শোনেননি। এটা দুঃখজনক।’
নিষেধাজ্ঞার সফলতা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে বিভাগীয় মৎস্য অধিদপ্তরের পরিচালক মো.
শিক্ষক মীর মোহাম্মদ আলীর পরামর্শ, ট্রলারগুলোকে নিবন্ধনের আওতায় আনা দরকার। নিষেধাজ্ঞার সময়ে নজরদারির জন্য প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানোর চিন্তা করা উচিত।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র জলস ম য় ৫৮ দ ন সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রযুক্তি ইউনিটে ভর্তি: মাইগ্রেশন, বিষয় ও প্রতিষ্ঠান বরাদ্দ প্রকাশ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) প্রযুক্তি ইউনিটে ২০২৪–২৫ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির সব কার্যক্রম শেষ করার লক্ষ্যে অভ্যন্তরীণ মাইগ্রেশন ও খালি আসনে বরাদ্দের জন্য আবেদনকারীদের বিষয় ও প্রতিষ্ঠান বরাদ্দ প্রকাশ করা হয়েছে। এ তালিকায় নাম আসা শিক্ষার্থীদের আজ মঙ্গলবার ও আগামীকাল বুধবার (১৬ ও ১৭ সেপ্টেম্বর) ভর্তি কার্যক্রম শেষ করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিবিষয়ক ওয়েবসাইটে এ–সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন১২ দিনের ছুটিতে যাচ্ছে সরকারি নিম্ন মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রযুক্তি ইউনিট ২০২৪–২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তির সব কার্যক্রম সমাপ্তি করার লক্ষ্যে অভ্যন্তরীণ মাইগ্রেশন ও খালি আসনে বরাদ্দের জন্য আবেদনকারীদের বিষয় ও প্রতিষ্ঠান বরাদ্দ প্রকাশ করা হয়েছে। প্রার্থীদের চূড়ান্ত মাইগ্রেশনে বরাদ্দ পাওয়া তালিকায় সর্বশেষ মেধাক্রমকে ভিত্তি করে শুধু আবেদনকারী প্রার্থীদের মধ্যে মেধাক্রমের ভিত্তিতে বিভাগগুলোয় অভ্যন্তরীণ মাইগ্রেশনের মাধ্যমে বিভাগ পরিবর্তন করা হয়েছে এবং খালি আসনে মেধাক্রম অনুযায়ী বিভাগ ও প্রতিষ্ঠান বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
আবেদনকারী প্রার্থীরা লগইন করে বরাদ্দ পাওয়া বিভাগ ও প্রতিষ্ঠান দেখতে পারবেন। উল্লেখ্য যে যেসব প্রার্থীর মেধাক্রম চূড়ান্ত মাইগ্রেশনের বিভাগের সর্বশেষ মেধাক্রমের আওতাভুক্ত নয়, তাঁদের অভ্যন্তরীণ মাইগ্রেশনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির নিয়ম অনুযায়ী বিভাগ পরিবর্তন হয়নি। ফলে তাঁদের আগের ভর্তি হওয়া বিভাগ ও প্রতিষ্ঠান বলবৎ থাকবে। এ ছাড়া নতুন আবেদনকারীদের মধ্যে একই নিয়ম বলবৎ প্রযোজ্য হয়েছে।
আরও পড়ুনজাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে আবেদন আজ বিকেলে, ক্লাস ১৩ নভেম্বর৩ ঘণ্টা আগেগতকাল সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) প্রকাশিত বরাদ্দে যাঁদের বিভাগ পরিবর্তন হয়েছে এবং নতুনভাবে বিভাগ ও প্রতিষ্ঠান বরাদ্দ পেয়েছেন, তাঁদের অবশ্যই ১৬ ও ১৭ সেপ্টেম্বর তারিখের মধ্যে অভ্যন্তরীণ মাইগ্রেশন ও খালি আসন বরাদ্দের জন্য আবেদন ও ভর্তিসংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত নির্দেশনা অনুযায়ী ভর্তির সব কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে।
আরও পড়ুনবাংলাদেশ বিমানে ইন্টার্নশিপ, দৈনিক হাজিরায় সম্মানী ৬০০ টাকা৭ ঘণ্টা আগে