চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) দেশটিতে অবৈধভাবে বসবাসকারী ২৬ বাংলাদেশিকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কাছে হস্তান্তর করেছে। আজ বুধবার দুপুরে উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের বেণীপুর সীমান্তের প্রধান খুঁটি ৬৪-এর শূন্যরেখায় বিজিবি-বিএসএফ কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তাঁদের হস্তান্তর করা হয়।

আজ রাত আটটার দিকে মহেশপুর ব্যাটালিয়নের (৫৮ বিজিবি) উপ-অধিনায়ক ও অতিরিক্ত পরিচালক আবু হানিফ মো.

সিহানুক স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। হস্তান্তর করা বাংলাদেশিদের মধ্যে ১৩টি শিশু এবং বাকি ১৩ জনের মধ্যে ৭ জন পুরুষ ও ৬ জন নারী। তাঁরা কুড়িগ্রাম ও জয়পুরহাট জেলার বাসিন্দা। তাঁরা বিভিন্ন সময়ে ভারতে অনুপ্রবেশ করে দেশটির হরিয়ানা অঞ্চলে ১৪ বছর ধরে বসবাস করে আসছিলেন।

বিজিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়, বিএসএফ ৩২ ব্যাটালিয়ন মহেশপুর ব্যাটালিয়নকে (৫৮ বিজিবি) গতকাল মঙ্গলবার রাত আটটার দিকে জানায়, ভারতে অবৈধভাবে বসবাস করা ২৬ জন বাংলাদেশিকে হরিয়ানা পুলিশ বিএসএফের কাছে হস্তান্তর করেছে। তাঁদের ফেরত নিতে নাম, ঠিকানা ও আত্মীয়স্বজনের মুঠোফোন নম্বরসহ বিজিবিকে অনুরোধ জানানো হয়। যাচাই করে ২৬ জনের পরিচয় নিশ্চিত হয় বিজিবি। আজ বেলা দেড়টায় বিজিবি-বিএসএফের কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তাঁদের গ্রহণ করা করা হয়। এরপর সন্ধ্যা পৌনে ছয়টার দিকে সাধারণ ডায়েরির মাধ্যমে তাঁদের জীবননগর থানায় হস্তান্তর করা হয়।

হস্তান্তর করা বাংলাদেশিরা হলেন কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী থানার বড়ইল গ্রামের মোহাম্মদ মকবুল হোসেন (৪৫) ও তাঁর স্ত্রী আছিয়া বেগম (৪০), বড় মেয়ে মোছা. মরিয়ম (২৫) এবং ১৭, ১১, ৮ ও ৬ বছর বয়সী আরও চার মেয়ে; একই গ্রামের মোহাম্মদ আপেল মামুন (৪০) ও তাঁর ২ ও ১ বছর বয়সী ‍দুই ছেলে; একই থানাধীন আটিয়াবাড়ি গ্রামের মোহাম্মদ আবুল কালাম (৪৫) ও তাঁর বড় ছেলে মোহাম্মদ আতিকুল ইসলাম (১৮) ও ৭ বছর বয়সী ছোট ছেলে; কবিরেরভিটা গ্রামের মোহাম্মদ রাজু মিয়া (৩৮) ও তাঁর স্ত্রী রিজিয়া বেগম (৩৭) এবং তাঁদের ১০, ৭ ও ৫ বছর বয়সী তিন মেয়ে এবং হাসান নূরের মেয়ে লিপি আক্তার (১৯) ও তাঁর ৩ বছর বয়সী মেয়ে; বালাটরি গ্রামের লাভলু হক (৪৫) ও তাঁর স্ত্রী নুর নাহার বেগম (৪৪), বড় মেয়ে লাভলী খাতুন (২২) এবং ১১ বছর বয়সী ছোট মেয়ে ও ২ বছর বয়সী নাতি। এ ছাড়া জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল থানার দারসা গ্রামের মো. আবদুস সামাদ (২৫)।

চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম ও অপস) কনক কুমার দাস বলেন, ওই ২৬ জন বাংলাদেশিকে বাড়িতে নিয়ে যেতে তাঁদের স্বজনদের কাছে খবর পাঠানো হয়েছে। স্বজনেরা না আসা পর্যন্ত তাঁদের জীবননগর থানায় রাখা হবে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: গ র ম র ম হ ম মদ বছর বয়স ব এসএফ

এছাড়াও পড়ুন:

সুন্দরবনের ভারতীয় অংশের বিএসএফের হাতে আটক ১৯ বাংলাদেশি মৎস্যজীবী

অবৈধভাবে ভারতীয় জলসীমায় প্রবেশের অভিযোগে ১৯ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে গ্রেপ্তার করেছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ।

বিএসএফ সূত্রে জানানো হয়েছে, সুন্দরবনের ভারতীয় অংশের উত্তাল নদীতে দীর্ঘক্ষণ ধাওয়া করে তাদের আটক করা হয়।  ধৃত মৎসজীবীরা বাংলাদেশের বরিশাল বিভাগের ভোলা জেলার পুরালিয়া গ্রামের বাসিন্দা। মাছ ধরার ট্রলার ও জালসহ তাদেরকে আটক করা হয়। 

আরো পড়ুন:

কলকাতায় সম্মিলিত সেনা সম্মেলন উদ্বোধন নরেন্দ্র মোদির

অবৈধ অভিবাসীদের প্রতি নরম হওয়ার দিন শেষ: ট্রাম্প

বিএসএফ জানায়, রবিবার সীমান্তের সুন্দরবন অংশে রুটিন টহল দেয়ার সময় গোসাবা রেঞ্জের বাঘমারি জঙ্গল এলাকায় বাংলাদেশি অবৈধ ট্রলারের উপস্থিতি নজরে আসে বিএসএফ জওয়ানদের। বিএসএফ জওয়ানদের পেট্রোল বোট ট্রলারটির কাছে যাওয়ার চেষ্টা করতেই ট্রলারটি পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। দ্রুততার সঙ্গে ট্রলারের পিছু ধাওয়া করা হয়। দীর্ঘক্ষণ ধাওয়া করে পরবর্তীতে পাকড়াও করা হয় বাংলাদেশি ট্রলারটিকে। অবৈধ অনুপ্রবেশ এর অভিযোগে আটক করা হয় এতে থাকা ১৯ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে। বাজেয়াপ্ত করা হয় ট্রলারটি।

বিএসএফ আরো জানায়, আটকের পর দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্তরা অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগের বিপরীতে কোনো যুক্তিসঙ্গত কারণ দেখাতে পারেনি। ফলে জিজ্ঞাসাবাদের পরে তাদের স্থানীয় সুন্দরবন কোস্টাল থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। আজ সোমবার তাদের আলিপুর আদালতে তোলা হবে।

ঢাকা/সুচরিতা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সাতক্ষীরা সীমান্তে ১৫ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর করল বিএসএফ
  • সাতক্ষীরা সীমান্তে ১৫ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর
  • সুন্দরবনের ভারতীয় অংশের বিএসএফের হাতে আটক ১৯ বাংলাদেশি মৎস্যজীবী