চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের পতাকা বৈঠক, ২৬ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর
Published: 11th, June 2025 GMT
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) দেশটিতে অবৈধভাবে বসবাসকারী ২৬ বাংলাদেশিকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কাছে হস্তান্তর করেছে। আজ বুধবার দুপুরে উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের বেণীপুর সীমান্তের প্রধান খুঁটি ৬৪-এর শূন্যরেখায় বিজিবি-বিএসএফ কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তাঁদের হস্তান্তর করা হয়।
আজ রাত আটটার দিকে মহেশপুর ব্যাটালিয়নের (৫৮ বিজিবি) উপ-অধিনায়ক ও অতিরিক্ত পরিচালক আবু হানিফ মো.
বিজিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়, বিএসএফ ৩২ ব্যাটালিয়ন মহেশপুর ব্যাটালিয়নকে (৫৮ বিজিবি) গতকাল মঙ্গলবার রাত আটটার দিকে জানায়, ভারতে অবৈধভাবে বসবাস করা ২৬ জন বাংলাদেশিকে হরিয়ানা পুলিশ বিএসএফের কাছে হস্তান্তর করেছে। তাঁদের ফেরত নিতে নাম, ঠিকানা ও আত্মীয়স্বজনের মুঠোফোন নম্বরসহ বিজিবিকে অনুরোধ জানানো হয়। যাচাই করে ২৬ জনের পরিচয় নিশ্চিত হয় বিজিবি। আজ বেলা দেড়টায় বিজিবি-বিএসএফের কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তাঁদের গ্রহণ করা করা হয়। এরপর সন্ধ্যা পৌনে ছয়টার দিকে সাধারণ ডায়েরির মাধ্যমে তাঁদের জীবননগর থানায় হস্তান্তর করা হয়।
হস্তান্তর করা বাংলাদেশিরা হলেন কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী থানার বড়ইল গ্রামের মোহাম্মদ মকবুল হোসেন (৪৫) ও তাঁর স্ত্রী আছিয়া বেগম (৪০), বড় মেয়ে মোছা. মরিয়ম (২৫) এবং ১৭, ১১, ৮ ও ৬ বছর বয়সী আরও চার মেয়ে; একই গ্রামের মোহাম্মদ আপেল মামুন (৪০) ও তাঁর ২ ও ১ বছর বয়সী দুই ছেলে; একই থানাধীন আটিয়াবাড়ি গ্রামের মোহাম্মদ আবুল কালাম (৪৫) ও তাঁর বড় ছেলে মোহাম্মদ আতিকুল ইসলাম (১৮) ও ৭ বছর বয়সী ছোট ছেলে; কবিরেরভিটা গ্রামের মোহাম্মদ রাজু মিয়া (৩৮) ও তাঁর স্ত্রী রিজিয়া বেগম (৩৭) এবং তাঁদের ১০, ৭ ও ৫ বছর বয়সী তিন মেয়ে এবং হাসান নূরের মেয়ে লিপি আক্তার (১৯) ও তাঁর ৩ বছর বয়সী মেয়ে; বালাটরি গ্রামের লাভলু হক (৪৫) ও তাঁর স্ত্রী নুর নাহার বেগম (৪৪), বড় মেয়ে লাভলী খাতুন (২২) এবং ১১ বছর বয়সী ছোট মেয়ে ও ২ বছর বয়সী নাতি। এ ছাড়া জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল থানার দারসা গ্রামের মো. আবদুস সামাদ (২৫)।
চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম ও অপস) কনক কুমার দাস বলেন, ওই ২৬ জন বাংলাদেশিকে বাড়িতে নিয়ে যেতে তাঁদের স্বজনদের কাছে খবর পাঠানো হয়েছে। স্বজনেরা না আসা পর্যন্ত তাঁদের জীবননগর থানায় রাখা হবে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: গ র ম র ম হ ম মদ বছর বয়স ব এসএফ
এছাড়াও পড়ুন:
১২ হাজার তরুণ–তরণীকে বিনা মূল্যে প্রশিক্ষণ দেবে পিকেএসএফ
পেশাগত দক্ষতা বাড়াতে দেশের ১২ হাজার তরুণ-তরুণীকে বিনা মূল্যে প্রশিক্ষণ দেবে পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)। কারিগরি ও পেশাগত শিক্ষানির্ভর তিন বছর মেয়াদি এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হবে স্কিলস ফর ইন্ডাস্ট্রিজ কম্পিটিটিভনেস অ্যান্ড ইনোভেশন প্রোগ্রামের (এসআইসিআইপি) আওতায়। এ প্রকল্পে সহায়তা করছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)।
আজ সোমবার রাজধানীর পিকেএসএফ ভবনে এসআইসিআইপি ও পিকেএসএফের প্রকল্পের উদ্বোধন ও প্রশিক্ষণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানানো হয়।
প্রকল্পের আওতায় প্রশিক্ষণার্থী তরুণেরা ১২টি খাতের প্রশিক্ষণ পাবেন। প্রশিক্ষণ চলাকালে থাকা-খাওয়ার সব খরচ প্রকল্প থেকে বহন করা হবে। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৩০ শতাংশ আসন নারীদের জন্য সংরক্ষিত। বাকি ৭০ শতাংশের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন নিম্ন আয়ের ও প্রান্তিক অঞ্চলের তরুণেরা। প্রশিক্ষণ শেষ হওয়ার পর অংশগ্রহণকারীদের আত্মকর্মসংস্থান বা মজুরিভিত্তিক চাকরির ক্ষেত্রেও সহায়তা করা হবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থসচিব খায়েরুজ্জামান মজুমদার বলেন, দেশে দক্ষ জনশক্তির চাহিদা রয়েছে, বিশেষ করে বিদেশে। এই প্রকল্পের সফল বাস্তবায়নের মাধ্যমে পিকেএসএফ ও এর সহযোগী সংস্থাগুলো সেই চাহিদা পূরণে ভূমিকা রাখতে পারবে।
পিকেএসএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফজলুল কাদের বলেন, ‘প্রতিবছর ২০ লাখের বেশি তরুণ শ্রমবাজারে প্রবেশ করছেন। এটি একই সঙ্গে আমাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা। প্রকল্পের আওতায় জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের স্বীকৃত কোর্স অনুযায়ী প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে, যাতে প্রশিক্ষণ শেষে তাঁরা সহজেই কর্মসংস্থানে যুক্ত হতে পারেন।’
অনুষ্ঠানে পিকেএসএফের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. জসীম উদ্দিন বলেন, বর্তমানে ১২ হাজার ছাড়াও আরও ৮ হাজার ৫০০ তরুণকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার প্রস্তাব সরকারের কাছে দেওয়া হয়েছে। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ও তৃতীয় লিঙ্গের তরুণদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। পাশাপাশি ২ হাজার এতিম ও দুস্থ তরুণকেও প্রশিক্ষণের আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে।
এ সময় অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ ওয়ালিদ হোসেন ও পিকেএসএফের চেয়ারম্যান জাকির আহমেদ খান বক্তব্য দেন।