বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের আইনজীবী তালিকাভুক্তির লিখিত পরীক্ষা ২৮ জুন অনুষ্ঠিত হবে। প্রার্থীদের সুবিধার জন্য লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতির পরামর্শ প্রকাশ করা হচ্ছে। আজ চতুর্থ পর্বে থাকছে, সাক্ষ্য আইন ১৮৭২ বিষয়ে প্রস্তুতির পরামর্শ। পরামর্শ দিয়েছেন ঢাকা জজকোর্টের আইনজীবী রিয়াজুর রহমান।

প্রতিবারের মতো এবারও আইনজীবী তালিকাভুক্তির লিখিত পরীক্ষায় সাক্ষ্য আইন ১৮৭২ থেকে দুটি প্রশ্ন আসার সম্ভাবনা রয়েছে। এর মধ্যে থেকে একটি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। নম্বর থাকবে ১৫।

১৬৭টি ধারা নিয়ে সাক্ষ্য আইন ১৮৭২। আইনটি যেহেতু সাক্ষ্য, প্রমাণ, জবানবন্দি ও জেরাসংক্রান্ত, তাই দেওয়ানি ও ফৌজদারি উভয় ধরনের মামলায় এটি ব্যবহৃত হয়। ফলে সাক্ষ্য আইনের প্রতিটি ধারা, উপধারা ও ব্যাখ্যা বেশ গুরুত্বসহকারে পড়তে, লিখতে ও বুঝতে হবে। এরপরও আইনজীবী তালিকাভুক্তির লিখিত পরীক্ষায় বেশির ভাগ সময়ে নির্দিষ্ট অধ্যায় বা অংশ থেকে প্রশ্ন আসে। ফলে অধিক চর্চিত ধারাগুলো গুরুত্বসহকারে পড়তে হবে।

বেশি বেশি যা পড়বেন

সাক্ষ্য আইনের শুরুতেই বেশ কিছু সংজ্ঞা প্রদান করা হয়েছে। এই সংজ্ঞাগুলো টিকা বা শর্ট নোট আকারে পরীক্ষায় আসতে পারে। ফলে সংজ্ঞাগুলো পড়তে হবে। পরের অংশে অনুমান, ঘটনার প্রাসঙ্গিকতা, স্বীকৃতি, দোষ স্বীকারোক্তি, ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তির রেকর্ড করার আইনি আনুষ্ঠানিকতা, সহ–আসামির স্বীকারোক্তির ওপর ভিত্তি করে অপর আসামিকে শাস্তি দেওয়া যায় কি?, মৃত্যুকালীন ঘোষণা, যদি মৃত্যুকালীন ঘোষণাকারী বেঁচে যায়, তার ফলাফল কী হতে পারে বিশারদের অভিমত, যেসব ঘটনা প্রমাণ করার প্রয়োজন নেই, মৌখিক সাক্ষ্য, দালিলিক সাক্ষ্য, পারিপার্শ্বিক সাক্ষ্য, বিচার্য বিষয়, সত্যায়িত দলিলের প্রমাণ, প্রমাণের দায়িত্ব, এস্টোপেল, সাক্ষীর পরীক্ষা, সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ, প্লি অব অ্যালিবাই কী? ইঙ্গিতবাহী প্রশ্ন, বৈরী সাক্ষীর সংশ্লিষ্ট ধারা, ব্যাখ্যা ও উদাহরণগুলো ভালোভাবে পড়তে হবে।

লিখিত পরীক্ষায় বেশির ভাগ পরীক্ষার্থী অকৃতকার্য হন প্রশ্ন না বুঝে লেখার কারণে। ফলে সংশ্লিষ্ট আইনের ওপর বিগত সালে যত ধরনের প্রশ্ন এসেছে, সব কটির সমাধান করতে হবে। প্রশ্নগুলো একবার হলেও পড়তে হবে। এতে প্রশ্নপত্রের প্রশ্নগুলো সম্পর্কে একটি স্বচ্ছ ধারণা তৈরি হবে। মূলত বেয়ার অ্যাক্ট বা মূল আইনে ধারার শিরোনাম ও ধারার বক্তব্য সুসংগঠিতভাবে লেখা থাকে। কিন্তু পরীক্ষায় প্রশ্ন হুবহু মূল আইনের ধারার মতো হবে না। ধারার সঙ্গে মিল রেখে কৌশলী বা সমস্যামূলক প্রশ্ন আসবে। ফলে আগে থেকেই এ সম্পর্কে সচেতনভাবে পড়াশোনা করতে হবে।

পরীক্ষার হলে যেভাবে লিখবেন

কয়েক বছর ধরেই আইনজীবী তালিকাভুক্তির লিখিত পরীক্ষায় সরল বাক্যে প্রশ্নের পরিবর্তে সমস্যামূলক প্রশ্ন বেশি আসছে। ফলে সমস্যামূলক প্রশ্নের উত্তর লেখার কয়েকটি ধরন আয়ত্ত করতে হবে। একই সঙ্গে মনে রাখতে হবে, এটি একটি প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা। ফলে প্রশ্নপত্রে যেকোনো ধরনের প্রশ্নই আসতে পারে। তাই রচনামূলক প্রশ্নের প্রস্তুতিও থাকতে হবে। অনেক সময় দেখা যায়, কোনো একটি ধারার গুরুত্বপূর্ণ উদ্ধৃতি প্রশ্নে হুবহু তুলে দিয়ে ব্যাখ্যা করতে বলা হয়। আবার কখনো কখনো একটি বা একাধিক ধারার কনসেপ্টের সঙ্গে মিল রেখে প্রশ্ন করা হয়, যা ধারার মধ্যে সরাসরি বলা নেই। তবে ধারার মূল বক্তব্যের সঙ্গে মিলে যায়। এসব প্রশ্নকে ট্রিকি বা কৌশলী প্রশ্ন বলা হয়। যেমন মাঝেমধ্যেই একটি প্রশ্ন আসে—প্লি অব অ্যালিবাই কী? ব্যাখ্যা করুন। সাক্ষ্য আইনের কোথাও সরাসরি প্লি অব অ্যালিবাইয়ের কথা উল্লেখ নেই। তবে এটি একটি প্রতিষ্ঠিত নীতি, যা সাক্ষ্য আইনের দুটি ধারার সঙ্গে মেলে। চলুন দেখে নিই, এই প্রশ্নের উত্তর কীভাবে লেখা উচিত—প্লি অব অ্যালিবাইয়ের অর্থ হচ্ছে অন্যত্র। অর্থাৎ যে ঘটনার জন্য কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে, তিনি চাইলে ডিফেন্স হিসেবে বলতে পারেন, তিনি ঘটনার সময় উক্ত স্থানে ছিলেন না।

কাজী মাহবুবুদ্দিন আহমেদ বনাম রাষ্ট্র, ৫৭ ডিএলআর (২০০৫) ৫১৩ মামলায় বলা হয়, অ্যালিবাই অভিযুক্তের পক্ষ থেকে আত্মরক্ষার জন্য ব্যবহার করা সুবিধাজনক শব্দ, যার অর্থ ঘটনাটি ঘটার সময় তিনি ঘটনাস্থল থেকে এত দূরে ছিলেন যে অপরাধে অংশ নেওয়া তাঁর পক্ষে সম্ভব ছিল না।

সাক্ষ্য আইনের ১১ ও ১০৩ ধারায় এ–সংক্রান্ত বিধান আলোচনা করা হয়েছে। সাক্ষ্য আইনের ১০৩ ধারা অনুসারে আসামি যদি প্রমাণ করাতে চান, তিনি অপরাধ সংঘটনের সময়ে ঘটনাস্থলে ছিলেন না (অর্থাৎ প্লি অব অ্যালিবাইয়ের দাবি), তাহলে উক্ত দাবিটি দাবিকারকেরই প্রমাণ করতে হবে। অর্থাৎ নির্দিষ্ট কোনো ঘটনার অস্তিত্ব যে দাবি করবে, তাকেই তা প্রমাণ করতে হবে।

উদাহরণ: ‘এ’ চুরির দায়ে ‘বি’কে অভিযুক্ত করে। ‘এ’ আদালতকে বিশ্বাস করাতে চায়, ‘বি’ চুরির কথা ‘সি’–এর কাছে স্বীকার করেছে। এখন স্বীকৃতির বিষয়টি ‘এ’কে প্রমাণ করতে হবে। অপর দিকে ‘বি’ আদালতকে বিশ্বাস করাতে চায়, সে অপরাধ সংঘটনের সময়ে অন্য জায়গায় ছিল। এটা ‘বি’কে প্রমাণ করা হবে।

লিখিত পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীরা যদি এভাবে সংশ্লিষ্ট আইন, কেস রেফারেন্স ও উদাহরণ দিয়ে লিখতে পারেন, তবে সাক্ষ্য আইনে ভালো নম্বর পাওয়া সম্ভব।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ত ল ক ভ ক ত র ল খ ত পর ক ষ ল খ ত পর ক ষ য় স ক ষ য আইন র অব অ য ল ব ই পর ক ষ র আইনজ ব র সময় ঘটন র

এছাড়াও পড়ুন:

তত্ত্বাবধায়ক সরকারযুক্ত সংবিধানই জনগণ চায়

ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা যুক্ত হয়েছিল সংবিধানে, তা–ই জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য বলে আপিল বিভাগে এ–সংক্রান্ত শুনানিতে বলেছেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল–পরবর্তী নির্বাচনগুলোর চিত্র দেখিয়ে জয়নুল আবেদীন বলেছেন, ২০১৪ সালে ভোটারবিহীন এবং ২০১৮ সালে দিনের ভোট রাতে হয়েছে—দেশের জনগণ এমন বিতর্কিত কোনো নির্বাচন হোক, তা চায় না।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিলের ওপর আজ রোববার ষষ্ঠ দিনের মতো শুনানি হয়। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত সদস্যের আপিল বেঞ্চে বিএনপি মহাসচিবের আপিল–সংক্রান্ত শুনানি করেন জয়নুল আবেদীন।

সকাল ৯টা ২০ মিনিটে শুনানি শুরু হয়। বেলা ১১টা থেকে মাঝে বিরতি দিয়ে ১টা পর্যন্ত শুনানি চলে। পরবর্তী শুনানির জন্য মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) দিন রাখা হয়েছে। এদিন বিরতির পর শুনানি শুরুর আগে প্রধান বিচারপতি ও আপিল বিভাগের অপর বিচারপতিদের সঙ্গে এজলাসে আসেন বাংলাদেশে সফররত নেপালের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ মান সিং রাউত। বিচারপতিদের সঙ্গে এজলাসে বসে এই শুনানি পর্যবেক্ষণ করেন তিনি।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনেই একটি আলোচিত বিষয়। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগসহ বিরোধী দলগুলোর আন্দোলনের মুখে তৎকালীন বিএনপি সরকার সংবিধানে ত্রয়োদশ সংশোধনী এনে নির্বাচনকালীন অন্তর্বর্তীকালীন এই সরকারব্যবস্থা শাসনতন্ত্রে যুক্ত করেছিল। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় যাওয়ার দুই বছর পর সংবিধানে পঞ্চদশ সংশোধনী এনে এই ব্যবস্থা বাতিল করে। তার আগে সর্বোচ্চ আদালতের এক রায়ে তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছিল।

ওই রায়ের ক্ষেত্রে দেশের প্রচলিত আইন ও আপিল বিভাগের রুলসের ব্যত্যয় ঘটেছে দাবি করে শুনানিতে জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘রায়ে সইয়ের আগেই তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার, সংসদ তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতার বলে সংবিধান সংশোধন (পঞ্চদশ সংশোধনী) করে। পূর্ণাঙ্গ রায় লেখা ও স্বাক্ষরের (বিচারপতিদের রায়ে সই করা) আগে সরকার সংসদ তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সংসদ সদস্যের বলে তড়িঘড়ি করে সংবিধান সংশোধন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বিলুপ্ত করে, যা দেশবাসীর জানা। দেশের বিবেকবান মানুষ আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের আগে এই সংবিধান সংশোধনকে সরকারের হীন রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র বলে আখ্যায়িত করেছিল। এটি জনগণের বিরুদ্ধে বড় ষড়যন্ত্র।’

বিএনপির একসময়ের আইনবিষয়ক সম্পাদক জয়নুল আবেদীন শুনানিতে বলেন, ‘সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক দেশের সর্বোচ্চ আদালতকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ব্যবহার করেছেন। সরকারের রাজনৈতিক সিদ্ধান্তকে বহাল রাখার লক্ষ্যে সাবেক প্রধান বিচারপতি (বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক) দেশের প্রচলিত আইন ও সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রুলস যথাযথভাবে অনুসরণ না করে সর্বশেষ (পূর্ণাঙ্গ রায়) রায় দেন, যা প্রথমে দেওয়া রায়ের (শর্ট অর্ডার সংক্ষিপ্ত রায়) সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ।’

শুনানিতে অবসরের পর রায়ে সই প্রসঙ্গ

অবসরের পর কোনো বিচারপতি রায়ে সই করলে তার আইনগত মূল্য কী হবে—এ প্রসঙ্গ ওঠে শুনানিতে। বিরতির পর শুনানিতে অংশ নিয়ে এ বিষয়ে বিএনপির মহাসচিবের অপর আইনজীবী মো. রুহুল কুদ্দুস বলেন, রায় ঘোষণা ও রায়ে সই করা দুটি ভিন্ন বিষয়। রায় ঘোষণার সময় এ বি এম খায়রুল হক প্রধান বিচারপতির পদে আসীন ছিলেন। সংক্ষিপ্ত রায়ে যা ছিল, পূর্ণাঙ্গ রায়ে তা পরিবর্তন করা হয়েছে।

দেওয়ানি কার্যবিধি, আপিল বিভাগের রুলস ও সংবিধানের ১০৫ অনুচ্ছেদ তুলে ধরে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস বলেন, ‘শর্ট অর্ডারের সঙ্গে পূর্ণাঙ্গ রায়ে যে পার্থক্য, তা পূর্ণাঙ্গ রায়ে উল্লেখ করেছেন একজন বিচারপতি। এই বিচারপতিও বলেননি অবসরের পরে বিচারপতি খায়রুল হকের লেখা রায়টি অবৈধ হয়েছে। স্বাক্ষর পরে করেছেন বলে রায় অবৈধ বলা যাবে না। কারণ, অবসরের পর কোনো বিচারপতি রায়ে সই করতে পারবেন না কিংবা কত দিনের মধ্যে সই না করলে সেটি অবৈধ হবে, এমন বাধ্যবাধকতা আইনে নেই।’

রুহুল কুদ্দুস বলেন, ‘প্রকাশ্য আদালতে কোনো বিচারপতি যখন কোনো রায় দেন, সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতে দিলে ছোটখাটো দাড়ি, কমা, শব্দ বাদ পড়েছে—এগুলো ছাড়া যেকোনো পরিবর্তন করতে হলে অবশ্যই সেটি রিভিউ (পুনর্বিবেচনা) ছাড়া হবে না, যার ওপর শুনানি চলছে।’

এ মামলায় সেন্টার ফর ল গভর্ন্যান্স অ্যান্ড পলিসি নামের একটি সংগঠন ইন্টারভেনার (পক্ষ) হিসেবে যুক্ত হয়। ওই প্রসঙ্গে সংগঠনটির জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এহসান এ সিদ্দিক বলেন, ‘অবসরের পর রায়ে সই করলে তা বাতিল বা অকার্যকর হবে না। যেদিন প্রকাশ্য আদালতে রায় ঘোষণা করলেন, সেই তারিখ হচ্ছে মূল। এটি হচ্ছে রায়ের তারিখ। কবে সই করলেন, এটি প্রাসঙ্গিক নয়। আপিল বিভাগের রুলসে বলা আছে, এ ক্ষেত্রে দেওয়ানি কার্যবিধির (সিপিসি) বিধান কার্যকর হবে না। আপিল বিভাগের জন্য সিপিসি প্রযোজ্য নয়।’

মামলার পূর্বাপর

আওয়ামী লীগ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর আপিল বিভাগের ২০১১ সালের রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ বিশিষ্ট ব্যক্তি, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার ও নওগাঁর রানীনগরের নারায়ণপাড়ার বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোফাজ্জল হোসেন পৃথক আবেদন (রিভিউ) করেন। সেন্টার ফর ল গভর্ন্যান্স অ্যান্ড পলিসি ইন্টারভেনার (পক্ষ) হিসেবে যুক্ত হয়।

রিভিউ আবেদনের ওপর শুনানি শেষে গত ২৭ আগস্ট লিভ মঞ্জুর (আপিলের অনুমতি) করে আদেশ দেন আপিল বিভাগ। বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ বিশিষ্ট ব্যক্তি এবং বিএনপির মহাসচিবের করা রিভিউ আবেদন থেকে উদ্ভূত আপিলের সঙ্গে অপর রিভিউ আবেদনগুলো শুনানির জন্য যুক্ত হবে বলে আদেশে উল্লেখ করা হয়। এ অনুসারে পাঁচ বিশিষ্ট ব্যক্তির করা আপিলের সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেলের করা রিভিউসহ অপর রিভিউ আবেদন এবং বিএনপির মহাসচিবের আপিল শুনানির জন্য আদালতের কার্যতালিকায় ওঠে।

পাঁচ বিশিষ্ট ব্যক্তির করা আপিলের ওপর ২১ অক্টোবর শুনানি শুরু হয়। এরপর ইন্টারভেনার হিসেবে যুক্ত সংগঠনের পক্ষে শুনানি করেন সংশ্লিষ্ট আইনজীবী। এরপর জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেলের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির শুনানি করেন। এরপর বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোফাজ্জল হোসেনের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এম বদরুদ্দোজা বাদল এবং এ এস এম শাহরিয়ার কবির শুনানি করেন। শাহরিয়ার কবিরের বক্তব্য উপস্থাপনের পর হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটির (রিভিউ আবেদনকারী) পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ইমরান এ সিদ্দিক শুনানি করেন। এরপর বিএনপির মহাসচিবের পক্ষে জয়নুল আবেদীন শুনানি শুরু করেন।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের এক বছর পর গত আগস্টে বিচারপতি খায়রুল হক গ্রেপ্তার হন। তিনি এখন কারাগারে রয়েছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আরপিওর বিধানের বৈধতার রায় রিভিউর জন্য হলফনামার অনুমতি
  • সন্দিগ্ধ আসামি হিসেবে দেশ টিভির আরিফ ও নাসার নজরুলকে গ্রেপ্তার দেখানো হলো
  • অপরাধ আমলে নেওয়ায় দুই বছরের সময়সীমার বিধান প্রশ্নে রুল
  • আপিল বিভাগের বিচারকাজ পর্যবেক্ষণ করলেন নেপালের প্রধান বিচারপতি
  • তত্ত্বাবধায়ক সরকারযুক্ত সংবিধানই জনগণ চায়
  • খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন স্থগিত
  • এখন দেখছি নতুন প্রতারকের জন্ম হয়েছে: কায়সার কামাল
  • ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিকের বিরুদ্ধে ৫০ কোটি ডলার ঋণ জালিয়াতির অভিযোগ