তারেক রহমান অল্প সময়ের মধ্যেই দেশে ফিরবেন: জাহিদ হোসেন
Published: 12th, June 2025 GMT
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান খুব অল্প সময়ের মধ্যেই বাংলাদেশে আসবেন বলে জানিয়েছেন দলটির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
বৃহস্পতিবার (১২ জুন) দুপুরে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার মাওনা চৌরাস্তা এলাকার একটি রেস্টুরেন্টে জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে শহীদ ও আহত পরিবারের সদস্যদের আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
অধ্যাপক জাহিদ হোসেন বলেন, “যুক্তরাজ্যে বুধবার (১৩ জুন) বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সঙ্গে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। সেই বৈঠক থেকেই দেশের মানুষ আশার বার্তা পাবেন। আমরা বলব, এটি শীর্ষ নেতাদের একটি বৈঠক।”
আরো পড়ুন:
কাদের সিদ্দিকীর বাসায় বিএনপি নেতা টুকু
রাজশাহীর ২ বিএনপি নেতা আজীবন বহিষ্কার
তিনি বলেন, “সব ধোঁয়াশা কেটে একটি সুন্দর রাজনৈতিক পরিবেশ তৈরি হবে। কালো মেঘ দূর হবে, ঘাতকের বিচার হবে, দেশের পাচার হওয়া টাকা ফেরত আসবে।”
অনুষ্ঠানে বিএনপি এই নেতা বলেন, “যারা আন্দোলনে শহীদ হয়েছেন বা আহত হয়েছেন, তাদের হয়তো আমরা ফিরিয়ে দিতে পারব না। তবে, তাদের পাশে দাঁড়ানোর ক্ষমতা আমাদের আছে। বিএনপি কখনো জনগণকে ছেড়ে যায়নি, পালিয়ে যায়নি। বিএনপি বহু নির্যাতন-নিপীড়নের মধ্যেও রাজপথে থেকেছে।”
তিনি বলেন, “তারেক রহমানের নির্দেশনায় বিএনপি সব সময় আপনাদের পাশে থাকবে। আপনাদের দুঃখ-কষ্টের কথা স্থানীয় নেতাকর্মীদের মাধ্যমে আমরা জানব। আপনাদের পাশে দাঁড়ানোর নির্দেশনাও সবসময় দিয়ে রেখেছেন আমাদের নেতা।”
অধ্যাপক জাহিদ হোসেন বলেন, “বিএনপিকে শেষ করে দেওয়ার অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে। আমরা মনে করি, দলের চেয়ে দেশ বড়। তাই দেশের মানুষ বিএনপিকে বাঁচিয়ে রেখেছেন। আমরা গণতন্ত্র ফিরে না পাওয়া পর্যন্ত রাজপথে থাকব। গণতন্ত্রের পক্ষে হবে আগামীর বাংলাদেশ।”
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির স্বাস্থ্যবিষয়ক সহ-সম্পাদক অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম বাচ্চু। এসময় বিএনপির কেন্দ্রীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতাকর্মী এবং জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের শহীদ ও আহত পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/রফিক/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ ব এনপ র অন ষ ঠ
এছাড়াও পড়ুন:
যশোরে ফুফুর বাড়িতে বেড়াতে যাওয়া শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা, গ্রেপ্তার ২
যশোরের ঝিকরগাছায় পবিত্র ঈদুল আজহার দিন ফুফুর বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিল ১০ বছর বয়সী এক মাদ্রাসাশিক্ষার্থী। ওই দিন দুপুরে ফুফাতো ভাই তাকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করেন। পরে লাশটি বাড়ির পাশে একটি ডোবায় ফেলে দেন। পরে শিশুটি নিখোঁজ হয়েছে বলে নাটক সাজানো হয়। এ ঘটনায় ফুফাতো ভাই ও ফুফাকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের মূল রহস্য উদ্ঘাটনের দাবি করে এ তথ্য জানিয়েছে জেলা পুলিশ। গ্রেপ্তার বাবা-ছেলে ঝিকরগাছার একটি গ্রামের বাসিন্দা। নিহত শিশুটি পাশের গ্রামের বাসিন্দা এবং স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ত।
পুলিশের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ফুফাতো ভাই পুলিশকে জানিয়েছে, ঘটনার দিন দুপুরে ঘরের ভেতরে তাঁর বোন ঘুমাচ্ছিল। বাইরে ভুক্তভোগী শিশুটি দোলনায় দোল খাচ্ছিল। তাকে একা দেখে ফুফাতো ভাই জাপটে ধরে তাঁর কক্ষে নিয়ে যান। পরে গলা ও মুখ চেপে ধরে ধর্ষণ করেন। একপর্যায়ে শ্বাসরোধে মারা যায় শিশুটি। তখন বাড়ির পাশের একটি পুকুরে তার লাশ ফেলে দেওয়া হয়। পরে বোনকে ঘুম থেকে জাগিয়ে বিষয়টি গোপন করতে শিশুটিকে পাওয়া যাচ্ছে না বলে নাটক সাজান।
এদিকে বাড়ির লোকজন শিশুটিকে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে তাঁর বাড়িতে খবর দেন। পরদিন সকালে ফুফু বাড়ির পশ্চিম পাশের ডোবায় লাশ দেখে চিৎকার করলে লোকজন ছুটে আসেন। পরে শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হয়। খবর পেয়ে শিশুটির বাবা ঘটনাস্থলে যান এবং মেয়ের ঠোঁটে জখমের চিহ্ন দেখতে পারেন। এ ঘটনায় তিনি অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
ঝিকরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর মোহাম্মদ বলেন, গ্রেপ্তার তরুণ প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শিশুটিকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। গত বুধবার ওই তরুণ ও তাঁর বাবাকে গ্রেপ্তার করে বৃহস্পতিবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।