২ দিন পরে কবিগুরুর কাছারি বাড়িতে প্রবেশ উন্মুক্ত
Published: 13th, June 2025 GMT
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিবিজড়িত সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে অবস্থতি কাছারি বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় অনির্দিষ্টকালের জন্য দর্শনার্থীদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার দুদিন পর দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। কাছারি বাড়িতে প্রবেশ উন্মুক্ত করায় দর্শনার্থীরাও খুশি।
শুক্রবার (১৩ জুন) দুপুরে জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম এক দর্শনার্থীকে প্রবেশ টোকেন হাতে দিয়ে কাছারি বাড়িতে প্রবেশ উন্মুক্তের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছেন।
জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, “রবীন্দ্র কাছারি বাড়িতে কোনো প্রকার হামলার ঘটনা ঘটেনি। সম্পূর্ণ অক্ষত রয়েছে কাছারি বাড়ি। হামলা হয়েছে মূলত কাছারি বাড়ির পাশেই রবীন্দ্র অডিটোরিয়ামে। সেটাও কাছারি বাড়িকে টার্গেট করে নয় বরং প্রবেশ টোকেন নিয়ে একজন প্রবাসী দর্শনার্থীর সাথে স্টাফদের ব্যাক্তিগত অনাকাঙ্খিত ঘটনাকে কেন্দ্র করে। কোন মৌলবাদ বা কোন রাজনৈতিক কারণে এ ঘটনা ঘটেনি। রবীন্দ্র কাছারি বাড়িতে আর কোন নিরাপত্তার ঘাটতি নেই।”
এসময় জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম, প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (প্রশাসন) শেখ কামাল হোসেন, সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপার মো.
তদন্ত কমিটির প্রধান প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (প্রশাসন) শেখ কামাল হোসেন বলেন, “ইতোমধ্যেই তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করেছে। খুব শিগগিরই ঘটনার বিস্তারিত রিপোর্ট তৈরি হবে। তদন্ত রিপোর্ট দেখে ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।
পুলিশ সুপার মো. ফারুক হোসেন সাংবাদিকদের জানান, কবিগুরুর কাছারি বাড়িতে সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে। আর কোন অপ্রীতিকর ঘটনার সম্ভাবনা নেই। ঘটনার সাথে জড়িত ছয় জনকে আটক করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গ, গত (৮ জুন) প্রবাসী শাহনেওয়াজ নামের এক দর্শনার্থী পরিবারের সদস্যদের নিয়ে কাছারি বাড়ি পরিদর্শনে গেলে পার্কিং ফি নিয়ে গেটের এক কর্মচারীর সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে ওই দর্শনার্থীকে অডিটোরিয়ামের ভিতরে আটকে মারধর করে। পিটানোর সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।
সেই ঘটনায় ভুক্তভোগী শাহনেওয়াজ বাদী হয়ে শাহজাদপুর থানায় ঐদিন রাতেই কাস্টোডিয়ান হাবিবুর রহমানকে ১নং আসামি করে একটি লিখিত অভিযোগ দেন। ঘটনার দুইদিন পরেও কার্যকর কোন ব্যবস্থা থানা পুলিশ না নেওয়ায় ঘটনার প্রতিবাদে স্থানীয়রা গত (১০ জুন) শাহজাদপুর প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করে।
পরে উত্তেজিত জনতা কাছারিবাড়িতে প্রবেশ করে অডিটোরিয়ামের দরজা, জানালা ভাঙচুর করে। খবর পেয়ে পুলিশ ও সহকারী কমিমনার (ভুমি) মো. মুশফিকুর রহমান ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ঢাকা/অদিত্য/এস
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর রব ন দ র র রহম ন ঘটন র
এছাড়াও পড়ুন:
দুই সীমান্ত দিয়ে ২৮ জনকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ
পঞ্চগড় ও মৌলভীবাজার সীমান্ত দিয়ে ২৮ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। গতকাল শুক্রবার গভীর রাত থেকে আজ শনিবার ভোর পর্যন্ত তাঁদের ঠেলে পাঠানো হয়। তাঁদের আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
পঞ্চগড়পঞ্চগড়ের দুটি সীমান্ত এলাকা দিয়ে ৪ জন ভারতীয় নাগরিকসহ মোট ১৬ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠিয়েছে বিএসএফ। সদর উপজেলার মিস্ত্রিপাড়া সীমান্তে ১১ জন এবং তেঁতুলিয়া উপজেলার পেদিয়াগছ সীমান্তে ৫ জনকে ঠেলে পাঠিয়েছে বিএসএফ।
সংশ্লিষ্ট থানা-পুলিশের মাধ্যমে আটক বাংলাদেশিদের পবিরারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে। ভারতীয় পরিচয় দেওয়া চারজনের পরিচয় নিশ্চিত হয়ে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ভারতে ফেরত পাঠানোর চেষ্টা চালাচ্ছে বিজিবি।
পঞ্চগড় ১৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মনিরুল ইসলাম প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, আটক ব্যক্তিরা দীর্ঘদিন ধরে ভারতে ছিলেন। তাঁদের মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিরা সেখানে বিভিন্ন কাজ করতেন। সম্প্রতি তাঁদের ভারতের মুম্বাই ও এর আশপাশের এলাকা থেকে ভারতীয় পুলিশ আটক করে উড়োজাহাজে করে কলকাতায় পাঠায়। পরে বাসে করে সীমান্তে এনে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠানো হয়। ভারতীয়দের বিএসএফের মাধ্যমে ফেরত পাঠানো হবে। এ ঘটনায় বিজিবি-বিএসএফের পতাকা বৈঠক ডাকা হয়েছে।
এর আগে গত ১৬ মে ১১ জন, ২১ মে ২১ জন, ২ জুন ২৬ জন ও ১৩ জুন সাতজনকে পঞ্চগড়ের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে ঠেলে বাংলাদেশে পাঠায় বিএসএফ।
মৌলভীবাজারমৌলভীবাজারের বড়লেখার কুমারশাইল সীমান্ত দিয়ে নারী-শিশুসহ আরও ১২ জনকে ভারত থেকে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠিয়েছে বিএসএফ। প্রাথমিক পরিচয় যাচাই-বাছাই শেষে তাদের বড়লেখা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
বিজিবি, পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রাতে কুমারশাইল সীমান্ত এলাকা থেকে বিজিবি নারী-শিশুসহ ১২ জনকে আটক করে। আটক ব্যক্তিরা নিজেদের রোহিঙ্গা হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন।
মৌলভীবাজার ৫২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. আরিফুল হক চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
বড়লেখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কাশেম সরকার বলেন, যাচাই-বাছাই করে আটক ব্যক্তিদের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।