পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ১৬ বাংলাদেশিকে ফেরত দিলো বিএসএফ
Published: 14th, June 2025 GMT
ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্ত দিয়ে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে নারী শিশুসহ ১৬ বাংলাদেশিকে ফেরত দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। এই ১৬ বাংলাদেশি নাগরিক অবৈধভাবে ভারতে বসবাস করছিলেন বলে জানিয়েছে বিজিবি।
১৯৪ বিএসএফ ব্যাটেলিয়ানের কুমারীপাড়া বিএসএফ সদস্যরা এই ১৬ বাংলাদেশিকে ভারতীয় সীমান্তের ভেতর থেকে আটক করে। এদের মধ্যে ৪ জন পুরুষ, ৪ জন নারী ও ৮ জন শিশু।
শুক্রবার (১৩ জুন) রাত সাড়ে ৮ টায় মহেশপুর ৫৮ বিজিবি ব্যাটেলিয়ানের সহকারী পরিচালক ও ভারপ্রাপ্ত কোয়ার্টার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজিবি জানিয়েছে, শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে ১৯৪ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের অধীন কুমারিপাড়া বিএসএফ কোম্পানি কমান্ডার মহেশপুর ব্যাটালিয়ন (৫৮ বিজিবি) এর অধীন বাঘাডাংগা কোম্পানির খোসালপুর বিওপি কমান্ডারকে এদের আটকের বিষয়ে জানান।
পরে বিএসএফ আটক বাংলাদেশি নাগরিকদের ফেরত নিতে বিজিবিকে অনুরোধ করে পতাকা বৈঠক আহ্বান করে। বিএসএফ ও বিজিবির দ্বিপাক্ষিক আলোচনার লক্ষ্যে বিকাল সাড়ে ৫ টার দিকে সীমান্ত পিলার ৬০/৮৫-আর (পিলার) এর নিকটে কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকের মাধ্যমে ১৬ বাংলাদেশিকে ফেরত নেয় বিজিবি।
এই ১৬ জনকে মহেশপুর থানায় তাদের সোপর্দ করার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছে বিজিবি।
মহেশপুর থানার ওসি সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘‘এখনো আমরা এ ধরনের কাউকে পাইনি। হয়তো অফিসিয়াল কার্যক্রম শেষে বিজিবি তাদেরকে থানায় সোপর্দ করবে।’’
ঢাকা/শাহরিয়ার/টিপু
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
১২ হাজার তরুণ–তরণীকে বিনা মূল্যে প্রশিক্ষণ দেবে পিকেএসএফ
পেশাগত দক্ষতা বাড়াতে দেশের ১২ হাজার তরুণ-তরুণীকে বিনা মূল্যে প্রশিক্ষণ দেবে পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)। কারিগরি ও পেশাগত শিক্ষানির্ভর তিন বছর মেয়াদি এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হবে স্কিলস ফর ইন্ডাস্ট্রিজ কম্পিটিটিভনেস অ্যান্ড ইনোভেশন প্রোগ্রামের (এসআইসিআইপি) আওতায়। এ প্রকল্পে সহায়তা করছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)।
আজ সোমবার রাজধানীর পিকেএসএফ ভবনে এসআইসিআইপি ও পিকেএসএফের প্রকল্পের উদ্বোধন ও প্রশিক্ষণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানানো হয়।
প্রকল্পের আওতায় প্রশিক্ষণার্থী তরুণেরা ১২টি খাতের প্রশিক্ষণ পাবেন। প্রশিক্ষণ চলাকালে থাকা-খাওয়ার সব খরচ প্রকল্প থেকে বহন করা হবে। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৩০ শতাংশ আসন নারীদের জন্য সংরক্ষিত। বাকি ৭০ শতাংশের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন নিম্ন আয়ের ও প্রান্তিক অঞ্চলের তরুণেরা। প্রশিক্ষণ শেষ হওয়ার পর অংশগ্রহণকারীদের আত্মকর্মসংস্থান বা মজুরিভিত্তিক চাকরির ক্ষেত্রেও সহায়তা করা হবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থসচিব খায়েরুজ্জামান মজুমদার বলেন, দেশে দক্ষ জনশক্তির চাহিদা রয়েছে, বিশেষ করে বিদেশে। এই প্রকল্পের সফল বাস্তবায়নের মাধ্যমে পিকেএসএফ ও এর সহযোগী সংস্থাগুলো সেই চাহিদা পূরণে ভূমিকা রাখতে পারবে।
পিকেএসএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফজলুল কাদের বলেন, ‘প্রতিবছর ২০ লাখের বেশি তরুণ শ্রমবাজারে প্রবেশ করছেন। এটি একই সঙ্গে আমাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা। প্রকল্পের আওতায় জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের স্বীকৃত কোর্স অনুযায়ী প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে, যাতে প্রশিক্ষণ শেষে তাঁরা সহজেই কর্মসংস্থানে যুক্ত হতে পারেন।’
অনুষ্ঠানে পিকেএসএফের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. জসীম উদ্দিন বলেন, বর্তমানে ১২ হাজার ছাড়াও আরও ৮ হাজার ৫০০ তরুণকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার প্রস্তাব সরকারের কাছে দেওয়া হয়েছে। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ও তৃতীয় লিঙ্গের তরুণদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। পাশাপাশি ২ হাজার এতিম ও দুস্থ তরুণকেও প্রশিক্ষণের আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে।
এ সময় অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ ওয়ালিদ হোসেন ও পিকেএসএফের চেয়ারম্যান জাকির আহমেদ খান বক্তব্য দেন।