‘অত্যাচারী’ স্বামীর মৃত্যুতে কারিশমার শোক, যা বললেন জয়া
Published: 14th, June 2025 GMT
কয়েক দিন আগে মারা গেছেন বলিউড অভিনেত্রী কারিশমা কাপুরের প্রাক্তন স্বামী সঞ্জয় কাপুর। কারিশমা কাপুরের দাম্পত্য জীবন সুখের ছিল না। স্বামী সঞ্জয় তাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতেন। ফলে প্রায় এক দশক আগে তাদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়। সঞ্জয়ের মৃত্যুতে কারিশমা শোকগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন বলে জানা যায়।
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারজয়ী অভিনেত্রী জয়া আহসান এখন কলকাতায় অবস্থান করছেন। ‘অত্যাচারী’ প্রাক্তন স্বামীর মৃত্যুতে শোকগ্রস্ত কারিশমা, এটা কী গ্রহণযোগ্য? জয়া আহসানের কাছে এই প্রশ্ন রাখে ভারতীয় একটি গণমাধ্যম।
জবাবে জয়া আহসান বলেন, “এই শোক স্বাভাবিক। কারণ সম্পর্কে থাকাকালীন কারিশমা-সঞ্জয় একসঙ্গে সময় পার করেছেন। সেই সময়কে তো অস্বীকার করা যায় না। সেই সম্পর্কে তো সন্তানও আছে, ভালোবাসা আছে, তিক্ততা আছে, মিষ্টতাও আছে। সেগুলো তো ভুলে যাওয়া যায় না! সম্পর্কে গার্হস্থ্য হিংসা থাকলেও প্রাক্তন স্বামীর মৃত্যুর পরে শোক থাকতে পারে। স্বামীর মধ্যে হিংসার আচরণ সেটা তার অসুস্থতার কারণ হতে পারে।”
আরো পড়ুন:
‘দঙ্গল’ সিনেমা কেন নিষিদ্ধ করেছিল পাকিস্তান?
সঞ্জয় তার বন্ধুদের সঙ্গে রাত কাটাতে আমাকে বাধ্য করেছিল: কারিশমা
কোনো মানুষকেই একভাবে দেখা উচিত নয় বলে মনে করেন জয়া। আবার একজন নারী যদি মনে করেন, স্বামী অত্যাচার করলে আশ্রয় বা নির্ভরতার সাপেক্ষে তাকে সেই স্বামীর সঙ্গে আজীবন থেকে যেতে হবে, সেটাও এই সময়ে মেনে নিতে নারাজ এই অভিনেত্রী। তার ভাষায়, “এখন সময় এমন নয় যে, মেয়েরা পুরুষের উপর নির্ভরশীল হয়ে জীবন কাটাবেন, পরজীবী হয়ে বাঁচবেন। আমি একেবারেই তা মনে করি না।”
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর জয় আহস ন চলচ চ ত র
এছাড়াও পড়ুন:
বেড়েছে মাছ, মুরগি ও ডিমের দাম
উৎপাদন ও বাজারে সরবরাহ কম থাকায় বেড়েছে ডিমের দাম। বিক্রেতারা বলছেন, উৎপাদন কম হওয়ায় খামারিরা মুরগি বিক্রি করে দিচ্ছেন এবং টানা বৃষ্টিপাতের জন্য সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে।
শুক্রবার (১ আগস্ট) রাজধানীর নিউ মার্কেট, রায়েরবাজারসহ গুরুত্বপূর্ণ বাজারগুলো ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত সপ্তাহে ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হয়েছে প্রতি ডজন ১২০ টাকায়, এ সপ্তাহে তা বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকায়। সেই হিসেবে ডিমের দাম বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা।
সবজির দাম স্বাভাবিক
এ সপ্তাহে বাজারে টমেটো ছাড়া অন্যান্য সবজির দাম স্বাভাবিক আছে। গত সপ্তাহে টমেটো বিক্রি হয়েছিল ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়, এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়। কাঁচামরিচ ২০০ টাকা, শশা ৭০ টাকা, বেগুন ৭০ থেকে ৮০ টাকা, করলা ৭০ টাকা, গাজর (দেশি) ১২০ থেকে ১৩০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০ টাকা, বরবটি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, কাকরোল ৬০ টাকা, কচুরমুখী ৬০ টাকা, প্রতিটি পিস জালি কুমড়া ৫০ টাকা এবং লাউ ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মুদিবাজারে চালসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম স্থিতিশীল আছে। তবে, পেঁয়াজের দাম সামান্য বেড়েছে। এ সপ্তাহে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি দরে। গত সপ্তাহে ৫৫ টাকায় কেজিতে বিক্রি হয়েছে। প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকায়। রসুন ১৮০ থেকে ২০০ টাকা এবং দেশি আদা ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বেড়েছে মাছ ও মুরগির দাম
বিক্রেতারা বলছেন, নদীতে পানি বৃদ্ধির জন্য জেলেদের জালে মাছ কম ধরা পড়ছে এবং উজানের পানিতে খামারিদের পুকুর ও ঘের তলিয়ে যাওয়ায় মাছের দাম বেড়েছে। বাজারে এখন মাঝারি সাইজের চাষের রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে থেকে ৩৫০ টাকায়। চাষের পাঙাসের কেজি ২০০ থেকে ২২০ টাকা, তেলাপিয়া ২০০ থেকে ২২০ টাকা, মাঝারি সাইজ কৈ মাছ ২৫০ থেকে ২৮০ টাকা, দেশি শিং ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা, বড় সাইজের পাবদা ৬০০ টাকা, চিংড়ি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, দেশি পাঁচমিশালি ছোট মাছ ৬০০ টাকা এবং এক কেজির বেশি ওজনের ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার ৬০০ টাকায়।
এ সপ্তাহে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা, যা গত সপ্তাহ ছিল ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা। সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায়। গরুর মাংস ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা এবং খাসির মাংস ১ হাজার ১৫০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ঢাকা/রায়হান/রফিক