কয়েক দিন আগে মারা গেছেন বলিউড অভিনেত্রী কারিশমা কাপুরের প্রাক্তন স্বামী সঞ্জয় কাপুর। কারিশমা কাপুরের দাম্পত্য জীবন সুখের ছিল না। স্বামী সঞ্জয় তাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতেন। ফলে প্রায় এক দশক আগে তাদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়। সঞ্জয়ের মৃত্যুতে কারিশমা শোকগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন বলে জানা যায়।

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারজয়ী অভিনেত্রী জয়া আহসান এখন কলকাতায় অবস্থান করছেন। ‘অত্যাচারী’ প্রাক্তন স্বামীর মৃত্যুতে শোকগ্রস্ত কারিশমা, এটা কী গ্রহণযোগ্য? জয়া আহসানের কাছে এই প্রশ্ন রাখে ভারতীয় একটি গণমাধ্যম।

জবাবে জয়া আহসান বলেন, “এই শোক স্বাভাবিক। কারণ সম্পর্কে থাকাকালীন কারিশমা-সঞ্জয় একসঙ্গে সময় পার করেছেন। সেই সময়কে তো অস্বীকার করা যায় না। সেই সম্পর্কে তো সন্তানও আছে, ভালোবাসা আছে, তিক্ততা আছে, মিষ্টতাও আছে। সেগুলো তো ভুলে যাওয়া যায় না! সম্পর্কে গার্হস্থ্য হিংসা থাকলেও প্রাক্তন স্বামীর মৃত্যুর পরে শোক থাকতে পারে। স্বামীর মধ্যে হিংসার আচরণ সেটা তার অসুস্থতার কারণ হতে পারে।”

আরো পড়ুন:

‘দঙ্গল’ সিনেমা কেন নিষিদ্ধ করেছিল পাকিস্তান?

সঞ্জয় তার বন্ধুদের সঙ্গে রাত কাটাতে আমাকে বাধ্য করেছিল: কারিশমা

কোনো মানুষকেই একভাবে দেখা উচিত নয় বলে মনে করেন জয়া। আবার একজন নারী যদি মনে করেন, স্বামী অত্যাচার করলে আশ্রয় বা নির্ভরতার সাপেক্ষে তাকে সেই স্বামীর সঙ্গে আজীবন থেকে যেতে হবে, সেটাও এই সময়ে মেনে নিতে নারাজ এই অভিনেত্রী। তার ভাষায়, “এখন সময় এমন নয় যে, মেয়েরা পুরুষের উপর নির্ভরশীল হয়ে জীবন কাটাবেন, পরজীবী হয়ে বাঁচবেন। আমি একেবারেই তা মনে করি না।”

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর জয় আহস ন চলচ চ ত র

এছাড়াও পড়ুন:

হস্তক্ষেপ নয়, পর্যবেক্ষণ ও সহযোগিতায় বিশ্বাসী টিম ডিরেক্টর রাজ্জা

সংবাদ সম্মেলন তখন শেষ। আব্দুর রাজ্জাককে মনে করিয়ে দেওয়া হলো, ‘‘বাংলাদেশ দলের টিম ডিরেক্টর কিন্তু টসেও ইনপুট দিতেন। আপনি কি…?’’ রাজ্জাক মুখে হাসি আটকে রাখেন। এই পদে আসন্ন আয়ারল‌্যান্ড সিরিজে দায়িত্ব পাওয়া রাজ্জাক স্রেফ এতোটুকুই বলতে পারেন, ‘‘আমাদের থেকে এমন কিছু কখনোই দেখতে পারবেন না। আমরা নতুন কিছু নিয়ে ভাববো।’’ 

জাতীয় দলকে নিয়ে সেই ভাবনা থেকেই ‍আমিনুল ইসলাম বুলবুলের বোর্ড একজনকে টিম ডিরেক্টর নিয়োগ দিয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ের জাতীয় পুরুষ দলের ব‌্যর্থতার কারণে আলোচনা হচ্ছিল, ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের ওপরে একটি ছায়া বিভাগ থাকবে যারা সরাসরি জাতীয় দল পর্যবেক্ষণ করবে।

সেই ছায়া বিভাগে সাবেক ক্রিকেটাররাই থাকবেন। প্রথম টিম ডিরেক্টর হিসেবে রাজ্জাক পেলেন দায়িত্ব। কেন টিম ডিরেক্টর নিয়োগ দেওয়ার প্রয়োজন অনুভব হলো সেই প্রশ্ন করা হয় তাকে। নাজমুল হাসান বোর্ড সভাপতির দায়িত্বে থাকার সময় টিম ডিরেক্টর পদটি বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছিল। সাবেক অধিনায়ক ও বোর্ড পরিচালক খালেদ মাহমুদ এই দায়িত্ব পালন করেছেন বিশ্বকাপসহ বেশ কয়েকটি সিরিজে। দলের সঙ্গে গভীরভাবে মিশে যেতেন তিনি। টস থেকে শুরু করে টিম মিটিংয়ে দিতেন ইনপুট। যা নিয়ে পরবর্তীতে অভিযোগ করেছিলেন কোচ ও অধিনায়ক।

তবে রাজ্জাক নিজের কাজ, পরিধি এবং দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন বলেই নিশ্চিত করলেন,"অন্যান্য যে কোনো টিম ডিরেক্টরের মতোই হবে আমার কাজ। আমি সব কিছু পর্যবেক্ষণ করব, সব কিছুতে নজর রাখব। আর কখনও যদি টিম ম্যানেজমেন্ট মনে করে আমার কোনো সহযোগিতা প্রয়োজন, তাহলে সেটিও দেওয়ার চেষ্টা করব। তাদের সাহায্য প্রয়োজন হলে আমি করব।"

"ক্রিকেট বোর্ডের মনে হয়েছে, দলের সঙ্গে একজন টিম ডিরেক্টর থাকলে ভালো হবে। এই পদটি কিন্তু আগেও ছিল। অনেক দিন ধরেই ছিল। সাম্প্রতিক সময়ে বোর্ড পরিচালকের সংখ্যা কম থাকায় হয়তো দলের সঙ্গে কেউ যায়নি। তবে এর আগে প্রায় সিরিজেই দলের সঙ্গে টিম ডিরেক্টর থাকত।" - যোগ করেন তিনি।

ঢাকা/ইয়াসিন 

সম্পর্কিত নিবন্ধ